পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৩৮

कञ्जुश्रङ्ख्य শৈশব সহচরী। - (वक्रम*न, अt६, २९०९ I | পাইলেন না। বাটীর এদিক ওদিকু চতু কোথাও বরকে দেখিতে পাইল না, তখন কন্যাকত্রী চীৎকার করিয়া আছাড়িয়া ভূমিতে পড়িলেন। ജങ്ങജങ്ങ് সপ্তম পরিচ্ছেদ। বিপদের উপর বিপদ । রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর, গভীরশব্দে শ্ৰাবণের মেঘ ডাকিতেছে, শন শন শব্দে ঘোরতর বায়ু বহিতেছে, রজনীকান্ত জনহীন প্রকাও এক প্রান্তরমধ্যে একাকী । বর্ষাকালে প্রান্তরের স্থানে স্থানে জল দাড়াইয়াছে, কদম হইয়াছে, রাত্রি ঘনান্ধকার—ত্রয়োদশীর রাত্রি। রজনীকান্ত চলিলেন। অন্ধকারে কোথায় যাইবেন ? কিন্তু দুঃসহ মনের চাঞ্চল্য হেতু রজনীকান্ত একস্থানে স্থির হইতে পারিলেন না, সুতরাং চলিলেন,—কাদার উপর দিয়া চলিলেন,—মধ্যে মধ্যে জলের উ | পর দ্বিয়া চলিলেন। আবার পথ অন্বেষণে - দাড়াইলেন, অন্ধকারে কোথায় পথ। | পশ্চাতে একবার মনুষ্য-পদশব্দ শুনিতে i না। আলো আনিলেন, তথাচ দেখিতে । ! কি অবশেষে সমুদায় গ্রাম আলো ল: | ! हेब्र ভৃত্যবর্গ অনুসন্ধান করিল, কিন্তু । পাইলেন, চীৎকার করিয়া বলিলেন; | #কেও?” কোন উত্তর পাইলেন মা,কিছু লেন ; একবার ভাবিলেন, তাহার भमा -- . . } হঠাৎ সম্মুখে দেখিলেন বহুবারিপূর্ণ শ্রী; } বিবাহিত স্বর্ণপ্রভাকে ত্যাগ করিয়া । বর্ণ নামের গল বললে বেতন্ত্ৰ । কুকৰ্ম্ম করিয়াছেন,সন্মুখে একটি বৃহৎ বট বৃক্ষ বাতাসে শনশন শব্দ করিতেছিল # রজনীকান্ত তাহাতে বুঝিলেন যেন বৃক্ষতা- | হাকে ভৎসনা করিতেছে-“কি কুকাজ | করিলে’ পবনদেব যেন রাগাম্বিত হুইয়া | তাহার কাণে কাণে কহিতেছেন “ ছি,ছি ! | কি কাজ করিলে?” আবার তখন কি ভা- | বন মনোমধ্যে উদয় হইল, রজনী অমনি { দ্রুত চলিলেন। এবার হাটুসমান জলে আসিয়া পড়িলেন । কোথাও পথ দেখিতে পাইলেন না, সম্মুখে এক ধবল পদার্থ দেখিলেন । মনুষ্য বলিয়া বোধ হইল । জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেও ?”এবার উত্তর পাইলেন “পথিক, রজনীকান্ত অনুভবে বুঝিলেন যে, পথিক এক দীর্ঘকার সন্ন্যাসী । তাহাকে ডাকিয়া জিজ্ঞাস । করিলেন,আমাকে প্রান্তর উত্তীর্ণ হইবার | পথ দেখাইতে পার? পথিক কহিল অt. মার পশ্চাৎ পশ্চাৎ আইন, রজনীকান্ত | চলিলেন । কিঞ্চিৎ দূর যাইয়। পথিককে । আর দেখিতে পাইলেন না, চীৎকার । করিয়া ডাকিলেন,“ কোথা গেলে গে।” { উত্তর নাই, কেবল প্রান্তরের অপর পাশ্ব } হইতে প্রতিধ্বনি হইল”হে হে৷” রজনী' } কাস্ত আবীর দাড়াইলেন, এবার কলকল- | নাদী সমীরণ-সন্তাড়িত ভাগীরথীর তরঙ্গ- { গর্জন শুনিতে পাইলেন। সেই শস্ব উ- } দেশে চলিলেন । এখন একটু আকাশ { পরিষ্কার হওয়াতে পথ দেখিতে পাইলেন।