રકહ ! \లి -- “পাষাণ মানব মন, সময়েতে সব স্বয়—” শুনিলাম যবে । শোণিতে বিজলি বলি, হৃদয় বিদীর্ণ হলো, আজি সেই স্বপ্নকথা হইল জগত ময় ৷ ” 38 象 নিৰ্ব্বাপিত প্রায় আশা, আবার হইল আজি দ্বিগুণ উজ্জ্বল ! - এই উনবিংশ শতাব্দীতে মনুষ্যের অসীম ক্ষমতা দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন হইতে হয়। এই ক্ষমতা কেবল মাত্র বুদ্ধিসস্তুত,বস্তুতঃ শারীরিক বলে মনুষ্য অনেক জন্তু অপেক্ষা হীন কল্প। কত শত বৎসরে মনুষ্যবুদ্ধি চালিত ও মার্জিত হইয়। যে বাষ্পীয় কল ও তড়িতবার্তাবহ প্রস্তুত করিতে সক্ষম হইয়াছে তাহ-কে নির্ণয় করিবে ? মমুষ্যের আদিম অবস্থার কোন পুরাবৃত্ত নাই। মনুষ্যজাতি এত কাল পৃথিবীতে বর্তমান আছে তাহার সহিত তুলনায় ঐতিহাসিক কাল গত কল্য আরম্ভ হইয়াছে বলিলেও অযথা উক্তি হয় না । যে সকল লেখকের মনুষ্য স্বষ্টি খ্ৰীষ্ট জন্মের কেবল কয়েক সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে নির্দেশ করেন তাহদের আবার পাষাণেপ্রিয়ে,তবচিত্র দেখা দিল, জীবন সিন্ধুর জল " হাসিল আলোকে সাজি । se : কিন্তু বৃথা আশা প্রিয়ে,যাবেদিন যাবে মাস, বর্ষ যুগান্তর ; ফলিবেন আশাময়, জীবনের এই তীরে, কিন্তু অন্ততীরে, প্রিয়ে ! - মত সম্পূর্ণ ভ্ৰমাত্মক প্রতিপন্ন হইয়াছে । পুরাইব অভিলাষ । আদিম মনুষ্য । ভূতত্ত্ব শাস্ত্র দ্বার সাব্যস্ত হইয়াছে যে, মনুষ্যজাতি শত শত শতাব্দী পূৰ্ব্বে এই ৷ পৃথিবীতে বর্তমান ছিল । . . কোন এক জাতীয় মনুষ্য অন্য জা- ' তীয় অধিকতর সভ্য লোকের বিনা সাহায্যে উন্নতি সোপানে আরোহণ করিতে । পারে কি না, এবিষয়ে পণ্ডিতদিগের * মত ভেদ আছে। কেহ কেহ বলেন, স: | ভ্যতা ঈশ্বর প্রদত্ত; মনুষ্য হীনাৰস্থা প্রাপ্ত হইলে অসভ্য হইয় উঠে। পক্ষান্তরে - অনেকে বলেন যে, অসভ্যতাই মনুষ্যের আদিম অবস্থা ও কোন না কোন সুযোগ ; পাইয়া মনুষ্য ক্রমে ক্রমে আপন মান | সিক বলে সভ্যপদারূঢ় হয়। এই ; দুই মতের মধ্যে কোনট সঙ্গত তাহ ] মীমাংসা করা কঠিন। লিখিত ইতিহাস: | অতি সামান্য কাল অর্থাৎ প্রায় ২৫০ -l
পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/২১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।