. 4-ം്, 91 - 1) শৈশব সহচরী। &○○ কোন উত্তর না করাতে পূজক পুনরপি কহিলেন, go “ আপনি ভীত হইবেন না। স্বচ্ছদে পরিচয় দিন কোন ভয় নাই। রমণী অবগুণ্ঠন হইতে অতি মৃদুস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন “ তবে কি কারণে দক্ষ্যদ্বারা আমায় ধৃত করিলেন।” উত্তর, আমার চিরশত্রুকে ধরিতে গিয়া ভ্রমক্রমে আপনাকে ধরিয়াছে । আপনার কোন আশঙ্কা নাই । র। কোন আশঙ্কা নাই তাহার বিশ্বাস কি ? উত্তর, বিশ্বাস এই যে আমি এই ইষ্টদেবতার সম্মুখে অসত্য কথা কহিব না বা অন্যায় কাৰ্য্য করিব না । অবগুণ্ঠনবতী দস্থ্যকে মন্দিরহইতে যাইতে ইঙ্গিত করিয়া কহিলেন, “কিন্তু যখন এই ইষ্টদেবতার সম্মুখে বন্দী করিবার অভিলাষে রজনীকান্তকে ধৃত করিবার অনুমতি করিয়াছিলেন তখন আপনাকে বিশ্বাস কি ? যেমন নিকটস্থ কোন বস্তুতে বজ্রাঘাত হইলে পথিক চমকিত ও বিহবল হয়, পূজক সেই প্রকার হইলেন এবং কিয়ৎকালপরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ আপনি কে ? ? রমণী দুই এক পদ অগ্রসর হইয়া অবগুণ্ঠন কিঞ্চিৎ উন্মোচন করিয়া কহিলেন, “ আমি তোমার অগ্রজের পত্নী কুমু দিনী ।” - o পাঠক এতক্ষণে বোধ হয় শ্মশ্রীবিশিষ্ট க wo পূজককে চিনিতে পারিয়াছেন । তিনি রতিকাস্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি রজনীকাস্তের পিতার দ্বারা হৃত-সৰ্ব্বস্ব হষ্টয়া উদাসীন হইয়াছেন । তিনি ক্ষণেক নীরব রহিলেন ; পরে বিহালের স্যায় অঙ্কুটস্বরে স্বগত বলিতে লাগিলেন “ইনি এখানে কেন ?” - কুমুদিনী কিঞ্চিং কঠিন স্বরে কছিলেন, “ তুমিই আমায় ধরিয়া আনাইয়াছ ?” রতিকান্ত অতি কাতর স্বরে বলিলেন, ** আপনার কি আমার এ অবস্থা দেখিয়া দয়া হয় না, এখনও ভৎসিন !” কুমুদিনী উত্তর করিলেন না; কিন্তু রতিকান্ত বুঝিতে পারিলেন যে, কুমুদিনী কঁদিতেছেন,তাহার পাষাণ নিৰ্ম্মিত হৃদয় । ভার্স হইল, চক্ষে এক ফোটা জল আসিল । কিয়ৎক্ষণ পরে কুমুদিনী কম্পিত স্বরে বলিলেন, “ এ দুঃখ কি জন্য? কেন স্ত্রী পুত্র ত্যাগ করিয়া উদাসীন হইয়াছ ? এস, গৃহে চল, তাহাদিগকে লইয়া সংসার করিবে চল ।” রতি। গৃহে যাইয়া কি খাইব ? কুম । আমার বহুমূল্যের অলঙ্কার আছে, তাহ বিক্রয় করিয়া খাইবে । রতিকাস্তের পুনরায় কঠিন হৃদয় দ্রব হইল, নয়নে দরবিগলিত ধারা বহিতে লাগিল । * রতি । আমি আপনার অনুরোধে গুহে যাইতে পারি,কিন্তু আমার পৈতৃক ঐশ্বৰ্য্য যে রজনীকান্ত আমার সম্মুখে ভোগ করিরে তাহা অামার অসহ্য হইবে ।.
পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।