পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! ( ५८ न “fग, ७षtfश्व:, » २० २ 1) - -- .--چت--اے-ججچے রজনীর চক্ষে হস্তদিয়া পরীক্ষা করিলেন এবং তৎক্ষণাৎ রজনীর গলা ধরিয়া গদগদ স্বরে কহিলেন, “আমার মন সুস্থির হই য়াছে সব অমুখ সেরে গিয়াছে, আর র্কাদিব না।” এই বলিয়া হাসিবার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু পরক্ষণেই আবার রজনীর ক্রোড়ে অবোধ বালিকার ন্যায় শয়ন করিয়া রহিলেন। রজনী দুঃখিত হইয়া এই দ্বাদশবর্ষীয়া বালিকার অনুরাগ চিন্তা করিতেছিলেন। দুঃখিত হইবার কারণ এই যে, এই গাঢ় প্রেমের পরিবর্তে স্বর্ণপ্রভাকে কেবল মাত্র তিনি কৃতজ্ঞতা দিতে পারিয়াছিলেন, তাহার প্রণয় দিতে অক্ষম হইয়াছিলেন, সে প্রণয় কেবল মাত্র তিনি কুমুদি মীর জন্য রাখি রাছিলেন। এবম্বিধ চিন্তা করিতেই রজনী অন্তমনস্ক হইলেন । পৃথিবী নিশব্দ, স্বর্ণ প্রভা নিঃশব্দে তাহার ক্রোড়ে শয়ন করিয়া ক্ষীণ দীপালোকের প্রতি চাহিয়া আছেন । অকস্মাৎ রজনীকান্ত সাবধান সুচক রমণীকণ্ঠে “বিধু বিধু বলিয়া থিড়কী দ্বার দেশে কে ডাকিতেছে,শুনিতে পাইলেন। রজনীকান্ত চমকিত হুইয়! শুনিতে লাগি লেন । স্বর্ণপ্রভাও রজনীর ক্রোড় হইতে মস্তক তুলিয়। রজনীর মুখপ্রতি চাহিয়া রহিলেন। পরে পুনঃপুনঃ উভয়েই সেই মৃদুস্বরে “ বিধু বিধু বলিয়া ডাকিতে শুনিতে পাইলেন । এই ভীষণগভীর তিমিরাবৃত যামিনীতে সেই স্বর শুনিয়া স্বর্ণপ্রভার শরীর রোমাঞ্চিত হইল, বাল স্বভাব সুচক উহাকে অনৈসর্গিক জ্ঞান শৈশব সহচরী। করিলেন &b" ন। রজনীকান্ত আস্তেই উঠির । কক্ষদ্বার উদঘাটন পুৰ্ব্বক ছাদের উপর আসিলেন। স্বর্ণপ্রভা দৃঢ় মুষ্টিতে রজনীর করধারণপূৰ্ব্বক সঙ্গে সঙ্গে আসিলেন । যে ছাদ হইতে খিড়কী দ্বার নিকট, উভয়ে সেই ছাদে আসিলেন, কিছুই দেখিতে পাইলেন না—অনস্ত অন্ধকারে পৃথিবী আচ্ছন্ন, গগনমণ্ডল অনন্ত মেঘান্ধকারে আবৃত, কেবল কোথাও দুই একটি বৃক্ষ, অসংখ্য খদ্যোতমালায় হীরক খচিত বৃক্ষের দ্যায় জলিতেছিল, আর নিকটস্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলাশয় হইতে বর্ষার অমুচরগণের কলরব শুন যাইতেছিল। রজনীকান্ত খিড়কীর নিকটস্থ ছাদে আসিয়া পুনঃ২ সেই ডাক শুনিতে পাইলেন, কিন্তু মনুষ্যাবয়ব দেখিতে পাইলেন না। ডাকিয় জিজ্ঞাসা করিলেন “কে তুমি ?” কোন উত্তর পাইলেন না—স্ত্রীলোক বোধ করিয়া স্বর্ণপ্রভা জিজ্ঞাসা করিলেন “কেগা তুমি?” স্ত্রীলোক উত্তর করিলেন “ আমি কুমুদিনী। শিগগীর দোর খুলে দিতে বল।” স্বর্ণপ্রভা অতি কাতর স্বরে রজনীকে কহিলেন “ ঐ দেখ আজ কি বিপদ ঘটি. য়াছে। নহিলে দিদি কেনএতরীত্রে এখানে আসিবে।” তৎপরে বিধুকে জাগরিত করিয়া তাহাকে সবিশেষ অবগত করাইয়া খিড়কী দ্বার খুলিতে অনুমতি করিলেন। বিধু পূৰ্ব্বে স্বর্ণপ্রভার পিত্রলয়ের পরিচারিকা ছিল। এক্ষণে রজনীকান্তের সংসারে ঐ পদাভিষিক্ত । বিধু চক্ষু মুছিতেই উঠিয়া “ বড়দিদি এখানে |

:ಜ

جنينتقمصصبح حج