&brb" রজনী। उiझ(लw -{न অশ্বিঃ ১২৮২ ৷ একটা কথা স্থির হইল—রজনীর প্রতি শচীন্দ্রের মনের ভাব যাহাই হোঁক— র্তাহার রাগ নাই । রাগ নাই, তবে কি —অনুরাগ ? তাও কি সম্ভবে ? অন্ধের প্রতি ? আবার এত দিনের পর ? যখন রজনী নিকটে ছিল—সুপ্রাপণীয়া ছিল, তখন ত ইহার কোন লক্ষণ দেখি নাই —এখন কেন হইবে ? - যাহা হোক, একবার রজনীকে, অনিয়া বাছাকে, দেখাইতে হইতেছে। উপায় কি? তখন, কৰ্ত্তার কাছে গেলাম। র্তা হাকে আমার মনের সন্দেহ সকল আভাস ইঙ্গিতে নিবেদন করিলাম ! রজনীর যে সন্ধান করিয়া, অকৃতকাৰ্য্য হইয়াছি, তাহাও বলিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, এক্ষণে উপায় কি? আমি বলিলাম “ অমর নাথ ভিন্ন সবিশেষ সন্ধান আর কেহ বলিতে পারিবে না । তুমি তাহাকে নিমন্ত্রণ করিয়া অান ।” তিনি প্রথমে অস্বীকার করিলেন, কিন্তু আমার কথা কতক্ষণ ঠেলিবেন ? তাহাকে নিমন্ত্রণ করিতে স্বীকার করিলেন । অমরনাথও নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিলেন, যদি উকি ঝুকি মারিয়া আমাকে একবার দেখিতে পান, সে লোভ ছিল। পরদিন প্রাতে আসিয়া, অমরনাথ সশরীরে আমাদিগের ক্ষুদ্র গৃহে দর্শন দিলেন । আমি স্বামীকে প্রণাম করিয়া, তাহার কাছে অনুমতি লইয়া অমরনাথের মনের সাধ ; পূরাইবার জন্য—তাহার,আহারের নিকট পূতনা হইয়া বসিলাম। পূতনা—কেননা বিষপান করাইবার ইচ্ছা বিলক্ষণ ছিল। কিন্তু যেখানে বাক্য বিষ আছে সেখানে অন্য বিষের প্রয়োজন কি? নারীজন্ম যেন কেহ গ্রহণ করে না । না করিতে হয় এমন কাজ নাই। যাহা তে মনের বড় বিরাগ, হাসিতে হাসিতে ; তাহাও করিতে হয়। বিষ, অমৃত উভয়ই প্রয়োগ করিতে হয় । সপী আমা দিগের অপেক্ষ ভাল—তাহার অমৃত নাই—কেবল বিষ আছে। সে ইচ্ছাধীন বিষপ্রয়োগ করে। লোকে সপীকে চিনে,তাহার নিকট দিয়া কেহ পথ ছাটে না। নারী সপীর অমৃত আছে—সেই ! লোভে তাহার নিকটে আসিয়া,মুর্থ পুরুষ জাতি অনায়াসে দংশিত হয়--বিশ্বাস ঘাতিনী নারী অনায়াসে দংশন করে । । হায়! লৰঙ্গসপাঁর কি হইবে ?
পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।