২৯০ রজনী । (ৰঙ্গ দশম কীঃ ১২৮২ ৷ বলি শুন । প্রথম যৌবনকালে লোকে আমাকে রূপবর্তী বলিত—” অ । এটা যদি রহস্য তবে সত্য কোন } কথা ? আমি। পরে শোন । সেই রূপ দে খিয়া এক চোর মুগ্ধ হইয়া, আমার পিত্রলয়ে, যে ঘরে আমি এক পরিচারিকা সঙ্গে শয়ন করিয়াছিলাম, সেই ঘরে সিধ ळिा । এই কথা বলিতে আরম্ভ করায়, তামরনাথ গলদঘৰ্ম্ম হইয়া উঠিল। আহার ত্যাগ করিয়া বলিল, “ ক্ষমা কর।” | আমি বলিতে লাগিলাম, “ আহারে মনোযোগ কর না? সেই চোয় সিধপথে, আমার কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিল। ঘরে আলো জলিতেছিল—আমি চোরকে চিনিলাম। ভীত হইয়। পরিচারিকাকে উঠাইলাম। সে চোরকে চিনিত না । আমি তখন অগতা, চোরকে আদর লাম ।” অমর। ক্ষমা কর,সেত সকলই জানি। আমি । তবু একবার স্মরণ করিয়া দেওয়া ভাল । ক্ষণেক পরে, চোরের | চারিক বাহিরে গিয়া দ্বারবানকে ডাকিয়! লইয়া সিধমুখে দাড়াইয়া রহিল। আমিও जगञ्ज বুঝিয়া, বাহিরে প্রয়োজন ছলনা করিয়া, নির্গত হইয়া ষাহির হইতে একমাত্র দ্বারের শৃঙ্খল বন্ধ করিলাম । মন্দ করিয়াছিলাম ? |
=
করিয়া, আশ্বস্ত করিয়া পালঙ্কে বসাই অলক্ষ্যে আমার সঙ্কেতানুসারে পরি | অমরনাথ বলিল, “ এ সকল কথা কেন ?” আমি। পরে চোর নির্গত হইল কি প্রকারে বল দেখি ? ডাকিয়া পাড়ার লোক জমা করিলাম। বড় বড় বলবান আসিয়া চোরকে ধরিল । চোর লজ্জায় মুখে কাপড় দিয়া রছিল, আমি দয়া করিয়া তাহার মুখের কাপড় খুলাইলাম না, তাহার পিঠে লিখিয়াদিলাম, “ চোর ” অমর বাবু অতিগ্রীষ্মেও কি আপনি গায়ের জামা খুলিয়া শয়ন করেন না? অ । না নহে । আজি আমার স্বামী চারিজন রাখিয়াছেন ; আজ আমার হাতের লেখা পড়িবে। অমর ‘ নাথ হাসিল এবং বলিল, হইবে সহজে বলনা ? রজনীর সন্ধান বলিয়া দিতে হইবে?” অামি । তাহ হইলে এক্ষণে যথেষ্ট হইবে । অমর। সহজ কথা; সে এক্ষণে কাশীবাস করিতেছে। বাঙ্গালিটোলা গোপাল অধিকারীর বাড়ীতে আছে । আমি । একথা যদি মিথ্যা হয় ? কিন্তু স্বহস্তে, লোহার শলা তপ্ত করিয়া ! আমি । লবঙ্গলতার হস্তাক্ষর মুছিবার ; পাহারাওয়ালা আমার বাড়ীতে উপস্থিত । প্রয়োজন হয়, তাহারা | “ ধমক চমক কেন ? কাজটা কি করিতে ।