„’ ৰঙ্গদর্শন কাঃ, ४९०२ ।) উপকার হইবে এমত ভরসা করা যায় মাতার একপ্রকার যত্ন, একপ্রকার কর্তব্য কৰ্ম্ম; কিন্তু পুত্র পিতৃমৃত্যুর পর পিতার করুক, কন্যা গ্রাসাচ্ছাদনের জন্যও ত যে স্ত্রীগণও পুরুষের ন্যায় বহু বিবাহে অধিকারিণী হউন ; সকলেই বলিবে, পুরুষেরও স্ত্রীর ন্যায় একমাত্র বিবাহে অধিকার । অতএব, যেখানে অধিকারটি নীতি সঙ্গত, সেইখানেই সাম্য অধিকারকে সম্প্রসারিত করে,যেখানে কার্য্যাধিকারটি অনৈতিক, সে খানে উহাকে কর্তিত এবং সঙ্কীর্ণ করে। সাম্যের ফল কদাচ অনৈতিক হইতে পারে না । সাম্য এবং স্বানুবৰ্ত্তিত এই দুই তত্ত্ব মধ্যে সমু | দায় নীতি শাস্ত্র নিহিত আছে । এই চারিটি বৈষম্যের উপর আপাততঃ বঙ্গীয় সমাজের দৃষ্টি পড়িয়াছে। যাহ। অতি গৰ্হিত তাহারই যখন কোন প্রতিবিধান হইতেছে না, তখন যে অন্যান্য বৈষম্যের প্রতি কটাক্ষ করিলে কোন না। আমরা আর দুই একটি কথার উত্থাপন করিয়া ক্ষান্ত হইব । স্ত্রীপুরুষে যে সকল বৈষম্য প্রায় সৰ্ব্ব সমাজে প্রচলিত আছে, তন্মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার সম্বন্ধীয় বিধিগুলি অতি-ভয়ানক ও শোচনীয়। পুত্র পৈতৃক সম্পত্তিতে সম্পূর্ণ অধিকারী, কন্যা কেহই নহে । পুত্র কন্যা,উভয়েই এক ঔরসে, এক গর্ভে জন্ম ; উভয়েরই প্রতি পিতা কোটি মুদ্র সুরাপানাদিতে ভস্মসাৎ সাম্য । ন্মধ্যে এক কপৰ্দক পাইতে পারে না । چ o دگ এই নীতির যে কারণ হিন্দু শাস্ত্রে নির্দিষ্ট হইয়া থাকে, যে যেই শ্রাদ্ধাধিকারী, সেই উত্তরাধিকারী; সেটি এরূপ অসঙ্গত এবং অযথার্থ, যে তাহার অযেীক্তিকতা নিৰ্ব্বাচন করাই নিম্প্রয়োজন । দেখা যাউক, এরূপ নিয়মের স্বভাব স- r ঙ্গত অন্য কোন মূল আছে কি না। ইহা কথিত হইতে পারে, যে স্ত্রী স্বামীর ধনে স্বামীর ন্যায়ই অধিকারিণী ; এবং তিনি স্বামিপৃহে গৃহিণী, স্বানীর ধনৈশ্বৰ্য্যের কত্রী, অতএব তাহার আর পৈতৃক ধনে অধিকারিণী হইবার প্রয়োজন নাই । যদি ইহাই এই ব্যবস্থানীতির মূল স্বরূপ হয়, তাহা হইলে জিজ্ঞাস্য হইতে পারে যে বিধবা কন্যা বিষয়াধিকারিণী হয় ন৷ কেন? যে কন্যা দরিদ্রে সমৰ্পিত হইয়াছে, সে উত্তরাধিকারিণী হয় না কেন ? কিন্তু আমরা এ সকল ক্ষুদ্রতর আপত্তি উপস্থিত করিতে ইচ্ছুক নহি । স্ত্রীকে স্বামী বা পুত্র, বা এবম্বিধ কোন পুরুষের আশ্রিত হইয়াই ধনভাগিনী হইতে হইবে, ইহাতেই আমাদের আপত্তি । অন্যের ধনে নহিলে স্ত্রীজাতি ধনাধিকারিণী হইতে পারিবে না—পরের দাসী হইয়া ধনী হইবে—নচেৎ ধনী হইবে না, ইহা- ৷ তেই আপত্তি। পতির পদসেবা কর, পতি দুষ্ট হোক, কুভাষী, কদাচার হোক, সকল সহ্য কর-অবাধ্য, চুমুখ, কৃতঘ্ন, পাপাত্মা পুত্রের বাধ্য হইয়া থাক-নচেৎ ধনের সঙ্গে স্ত্রীজাতির কোন সম্বন্ধ নাই। পতি পুত্রে । তাড়াইয়া দিল ত সব ঘুচিল। স্বাতন্ত্র্য —¬ы -
পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।