\ల్ఫి a অবলম্বন করিবার উপায় নাই —সহিষ্ণুতা ভিন্ন অন্য গতিই নাই । এদিকে পুরুষ, সৰ্ব্বাধিকারী—স্ত্রীর ধন ও তার ধন । ইচ্ছা করিলেই স্ত্রীকে সৰ্ব্বস্বচুত করিতে পারেন । তাহার স্বাতন্ত্র্য অবলম্বনে কোন বাধা নাই। এ বৈষম্য গুরুতর, ন্যায় বিরুদ্ধ, এবং নীতি বিরুদ্ধ । অনেকে বলিবেন, এ অতি উত্তম ব্যবস্থা । এ ব্যবস্থা প্রভাবে স্ত্রী স্বামীর বশবর্তিনী থাকে । বটে, পুরুষকৃত ব্যবস্থাবলির উদ্দেশ্যই তাই ; যত প্রকার বন্ধন আছে, সকল প্রকার বন্ধনে স্ত্রী গণের হস্তপদ বাধিয়া পুরুষ পদমূলে স্থাপিত কর—পুরুষগণ স্বেচ্ছাক্রমে পদাঘাত করুক, অধম নারীগণ বাঙনিষ্পত্তি করিতে মা পারে । জিজ্ঞাসা করি, স্ত্রীগণ পুরুষের বশবর্তনী হয়, ইহা বড় বাঞ্ছনীয়, পুরুষগণ স্ত্রীজাতির বশবৰ্ত্তী হয়, ইহা বাঞ্ছনীয় নহে কেন ? সাত বন্ধন আছে সকল বন্ধনে, স্ত্রীগণকে বধিয়াছ, পুরুষজাতির জন্য একটি বন্ধনও নাই কেন? স্ত্রীগণ কি পুরুষপেক্ষা অধিকতর স্বভাবতঃ ছশ রত্র ? না রজ্জ্বটি পুরুষের হাতে বলিয়া, স্ত্রীজাতির এত দৃঢ় বন্ধন ? ইহা যদি অধৰ্ম্ম না হয়, তবে অধৰ্ম্ম কাহাকে বলে, বলিতে পারি না । * হিন্দু শাল্লাহুসারে কদাচিৎ স্ত্রী বিষয়াধিকারিণী মরিলে। এইটুকু হিন্দু শাস্বের গৌরব । এইরূপ বিধি দুই একটা থাকাতেই আমরা প্রাচীন তা{ৰ্য্য ব্যবস্থা শাস্ত্রকে হয়, যথা-পত্রি অপুত্ৰক সাম্য । | কোন কোন অংশে আধুনিক সভ্য ইউ রোপীয় ব্যবস্তাশাস্ত্রাপেক্ষাও উৎকৃষ্ট বলিয়া গৌরব করি। কিন্তু এটুকু কেবল মন্দের ভাল মাত্র । স্ত্রী বিষয়াধিকারিণী বটে, কিন্তু দানবিক্রয়াদির অধিকারিণী । নহেন। এ অধিকার কত টুকু? আপনার ভরণ পোষণ মাত্র পাইবেন, আর : তাহার জীবন কাল মধ্যে আর কাহাকেও ৷ কিছু খাইতে দিবেন না, এইপৰ্য্যস্ত র্তাহার অধিকার । পাপাত্মা পুল্ল সৰ্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ করুক, তাহাতে শাস্ত্রের আপত্তি নাই, কিন্তুমহারাণী স্বর্ণময়ীর ন্যায় ধৰ্ম্মিষ্ঠা স্ত্রী কাহারও প্রাণ রক্ষার্থেও এক বিঘা হস্তান্তর করিতে সমর্থ নহেন । এবৈষম্য কেন ? তাহার উত্তরেরও অভাব নাই—ন্ত্রীগণ অল্পবুদ্ধি, অস্তির মতি, বিষয় রক্ষণে অহঠাৎ সৰ্ব্বস্ব হস্তান্তর করি বে, উত্তরাধিকারীর ক্ষতি হইবে, এজন্য শক্ত । তাহারা বিষয় হস্তান্তর করিতে অশক্ত হওয়াই উচিত। আমরা এ কথা স্বীকার করি না । স্ত্রীগণ বুদ্ধি, স্থৈৰ্য্য,চতুরভার,পুরুষপেক্ষ কোন অংশে নূ্যন নহে। বিষয় রক্ষার জন্য যে বৈষয়িক শিক্ষা, তাহাতে তাহার নিকৃষ্ট বটে, কিন্তু সে পুরুষেরই দোষ । তোমরা তাহাদিগকে পূর্বমধ্যে অণ বদ্ধ রাখিয়া, বিষয় কৰ্ম্ম হইতে নির্লিপ্ত রাখ, সুতরাং তাহাদিগের দৈষরিক শিক্ষা হয় না। আগে বৈষরিক ব্যাপারে লিপ্ত হইতে দাও, পরে বৈষয়িক শিক্ষার প্রত্যাশা করিও । আগে
oo: