( ج ء د د ,:n, 5t}- ب، بas ) ছুটিল একটা গোলা রক্তিম-বরণ, বিষম বাজিল পায়ে, সেই সাংঘাতিক ঘায়ে, ভূতলে হইল মির মদন পতন ! “হুরূরে, হুররো” করি গর্জিল ইংরাজ, নবাবের সৈন্যগণ, ভয়ে ভঙ্গ দিল রণ, পলাতে লাগিল সবে নাহি সহে ব্যাজ । “দাড়ারে দাড়ারে ফিরে, দাড়ারে যবন, দাড়াও ক্ষত্ৰিয়গণ, যদি ভঙ্গ দেও রণ,” গৰ্জ্জিল মোহনলাল “নিকট শমন?” তৎপরে মোহনলালের যে বীরবীক্য আছে, তাহ আরও স্বন্দর । সত্য ইতিহাসে ইহা কীৰ্ত্তিত আছে, যে হিন্দু সেনাপতি মোহনলাল পলাশির ক্ষেত্রে ক্লাইবকে প্রায় বিমুখ করিয়াছিলেন, এবং যদি মীরজাফর বিশ্বাসঘাতকতা না করিতেন,তবে ভারত সাম্রাজ্য অদ্য কে ভোগ করিত তাহা বলা যায় না । যবনসেন পলায়নোদ্যত দেখিয়া মোহনলাল তাহাদিগকে ফিরাইবার জন্য যে সকল কথা বলিয়াছিলেন, তাহা অমর। উদ্ধৃত করিব কি ? না, পাঠকের ইচ্ছা হয়, বিরলে বসিয়া আপনি পাঠ করিবেন। १५ র্তাহার বাক্যে সৈন্য আবার ফিরিল আবার রণ হইতে লাগিল—কিন্তু এমত সময়ে শঠ মিরজাফরের পরামর্শে নবাব রণস্থগিত ٭۔ ۔ ._ یہ ہستہ تختصہ পলাশির যুদ্ধ । করিবার আজ্ঞা প্রচার করি- | ৩১৫ লেন। নবাবের সৈন্য তখন র৭ে নিবৃত্ত হইল। তাহা দেখিয়া ইংরেজ দ্বিগুণ বল করিল— তেমতি বারেক যদি টলিল যবন, ইংরাজ শঙ্গিন করে, ইন্দ্ৰ যেন বজ ধরে, ছুটিল পশ্চাতে, যেন কৃতান্ত সমন । কারো, বুকে কারে পৃষ্ঠে,কাহারও গলায় লাগিল ; শঙ্গিন ঘায়, বরিষার ফোটা প্রায়, আঘাতে আঘাতে পড়ে যবন ধরায় । ঝম্ ঝম্ ঝম্ করি ব্রিটিসবাজনা, কঁপাষ্টয়া রণস্থল, কঁপাইয় গঙ্গাজল, আনন্দে করিল বঙ্গে বিজয়ঘোষণা । মূচ্ছি ত হইয়া পড়ি আচল উপর, শোণিতে আরক্তকায়, অস্ত গেল রবি, হায়! অস্ত গেল যবনের গৌরবভাস্কর । ইংলণ্ডের রণজয় হুইল—স্বৰ্য্যাস্ত হইল —কবি স্বৰ্য্যকে সাক্ষী করিয়া নিজমনের কথা কিছু লিখিরছেন । কিন্তু এরূপ উপাখ্যান কাব্যে এতাদৃশ দীর্ঘ মন্তব্য, আমাদিগের বিবেচনায় যথাস্তানে নিবিষ্ট নহে। চাইলড হেরল্ডে বাইরণ সচরাচর । এইরূপ মন্তব্য পদ্যে বিন্যস্ত করিয়া লোকমুগ্ধ করিয়াছেন। কিন্তু চাইল্ড হেরল্ড বর্ণন কাব্য, আর পলাশির যুদ্ধ উপাখ্যান কাব্য । যাহা চাইল্ড হেরন্ডে সাজে, ' co---- --- t
পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।