৩৬৪ রজনী । ৰঙ্গ দশম অঃ ১২৮২ ) “ যদি আপনার কথা সত্য হয়, তবে রজনীর পাত্রের অভাব নাই। কিন্তু আপনার কথা সত্য কি না, তাহা কিপ্রকারে জানিব ? রজনীত এসকল কথা এত দিন কিছু বলে নাই ।” আমি বুঝিলাম, রজনীর বরপাত্র কে। বলিলাম, “রজনীকে আজি জিজ্ঞাসা করি বেন । আপনি স্বয়ং জিজ্ঞাসা ना করিয়া, আপনার বিমাতাকে জিজ্ঞাসা করিতে বলিবেন । বলিবেন, আমি সকল কথা প্রকাশ করিতে অনুমতি করিতেছি।” দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । পরদিন, আবার মিত্রদিগের আলিয়ে গিয়া দেখা দিলাম। লবঙ্গলতাকে বলিয়া পাঠাইলাম, যে আমি কলিকাতা ত্যাগ করিয়া যাইব । 岑、 গমন করিব না—তিনি আমার শিষ্যা, আমি তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিব। এক্ষণে সম্প্রতি প্রত্যঃ লবঙ্গলত ইঙ্গিত বুঝিল । আমার সহিত, পূৰ্ব্বাঙ্গীকার মতে, পুনশ্চ সাক্ষাৎ করিল। অ।মি তাহাকে জিজ্ঞাসা করি
- আমি কালি যাহ! শচীন্দ্রকে বলিয়া
গিরছি, তাহ শুনিয়াছ কি ?” ল। শুনিয়াছি। তুমি অদ্বিতীয় পাষণ্ড। আমি । সে কথা কে অস্বীকার করি. তেছে? কিন্তু আমার কথায় বিশ্বাস হয় কি ? . - ল। কেবল তোমার কথায় বিশ্বাস করিতাম না । কিন্তু রজনীকে জিজ্ঞাসা : করায়, সে সমুদায় বলিয়াছে। তাহার । কথায় বিশ্বাস করি। i আমি । তাই বা কেন কর? মনে কর তাহাকে আমি এ সকল কথা শিখাইয়। আনিয়াছি । ল। কি অভিপ্রায়ে তুমি শিখাইবে? আমি । মনে কর আমাদের যথার্থ বিবাহ হইয়াছে, কিন্তু এক্ষণে উভয়ে উভয়ের উপর বিরক্ত। উভয়ে উভয়কে ছাড়িতে চাই। বিবাহ অস্বীকার ভিন্ন, ইহার আর উপায় কি ? লবঙ্গলত ভাবিল। ভাবিয়া বলিল, “ যে চুরি করে, সে গৃহস্থকে ডাকিয়া বলে না যে আমি চুরি করিতেছি।” আমি । চোরের অনেক কৌশল । ল। তুমি অনেক কৌশল জান বটে, ; কিন্তু রজনী তত জানে না । রজনী । যেগ্রকারে বলিল,তাহাতে আমার বিশ্বাস হইল। সত্য কথা ন হইলে, সে তত সবিস্তারে বলিতে পারিত না । আমি । শিখাইলে, বিচিত্র কি ? আদালতে সাক্ষি জোবালবনী দেয় কি ! প্রকারে ? শিখিলে সকলেই মিথ্যা কা- । হিনী সবিস্তারে বলিতে পারে । i ল। রজনী তোমার শিক্ষামতে কখন | পারে না। কেন না, তুমি শিখাইলে, কোন না কোন কথায় আমি বুঝিতে পারিতাম, যে চক্ষুষ্মান ব্যক্তি শিখাইয়াছে । রজনী যাহা ৰলিল, তাহাতে