بیماری গিয়া বাষ্পীয় শকটারোহণে কাশ্মীর যাত্রা করিলাম । দোকানপাট উঠিল। তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ইহার দুই বৎসর পরে, একদা ভ্রমণ করিতেই আমি ভবানীনগর গেলাম। শুনিলাম যে মিত্র বংশীয় কেহ তথায় আসিয়া বাস করিতেছেন। কৌতুহল প্রযুক্ত আমি দেখিতে গেলাম। দ্বারদেশে শচীন্দ্রের সহিত সাক্ষাৎ হইল । শচীন্দ্র আমাকে চিনিতে পারিয়া, নমস্কার আলিঙ্গন পূৰ্ব্বক আমার হস্ত ধারণ করিয়া লইয়া উত্তমাসনে বসাইলেন । অনেকক্ষণ র্তাহার সঙ্গে নানাবিধ কথোপকথন হুইল । তাহার নিকট শুনিলাম, যে তিনি রজনীকে বিবাহ করিয়াছেন । কিন্তু আমার সঙ্গে রজনীর যথার্থই বিবাহ হইয়াছিল, পাছে কলিকাতার লোক কেহ এইরূপ মনে করে, এই ভাবিয়া, তিনি কলিকাতা পরিত্যাগ করিয়া ভবানী নগরে বাস করিতেছেন। ভবানী নগরেও কতকগুলি লোক র্তাহাকে লইয়। আহার করে না, কিন্তু তিনি তাহাতে কিছু মাত্র দুঃখিন্ত নহেন । র্ত্যহার পিতা ও ভ্রাতা কলিকাতাতেই বাস করি তেছেন । , আমার নিজসম্পত্তি, এবং রজনীর সম্পত্তির কিয়দংশ প্রতিগ্রহণ করিবার জন্য শচীন্দ্র আমারে বিস্তর অনুরোধ ब्रबनी। করিলেন, কিন্তু বলা বাহুল্য যে আমি শচীন্দ্র রজনীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমাকে অনুরোধ করিলেন । আমারও সে ইচ্ছা ছিল । শচীন্দ্র আমাকে অন্তঃপুরে রজনীর নিকট লইয়া গেলেন । প্রণামপূর্বক পদধূলি গ্রহণ করিল। আমি দেখিলাম, যে ধূলিগ্রহণ কালে, পদস্পর্শ জন্য, অন্ধগণের স্বাভাবিক নিয় কিছু বিস্থিত হইলাম । সে অামাকে প্রণাম করিয়া, দাড়াইল । কিন্তু মুখ অবনত করিয়া রহিল। আমার লজ্জা তাহা তাহাদিগের ঘটতে পারে না বলিয়া, তাহার দৃষ্টি লুকাইবার জন্য মুখ নত করে না । একটা কি কথা জিজ্ঞাসা করিলাম, রজনী মুখ তুলিয়া আবার নত করিল, দেখিলাম—নিশ্চিত দেখিলাম—সে চক্ষে কটাক্ষ । জন্মান্ধ রজনী কি এখন তবে দেখিতে পায় ? আমি শচীন্দ্রকে এই কথা জিজ্ঞাসা করিতে যাইতেছিলাম, এমত সময়ে শ রজনীকে আজ্ঞা করিলেন । রজনী একখান কারপেট লইয়া পাতিতেছিল—যে -> -- هيمن তাহাতে স্বীকৃত হইলাম না। শেষে । রজনীর নিকট গেলে, সে আমাকে । মানুযায়ী সে ইতস্ততঃ হস্তসঞ্চালন করিল । না, এককালেই আমার পাদস্পর্শ করিল। । বিস্ময় বাড়িল । অন্ধদিগের লজ্জা চক্ষু | র্গত নহে । চক্ষে চক্ষে মিলনজনিত যে | চীন্দ্র আমাকে বসিবার আসন দিবার জন্ত : খানে পাতিতেছিল সেখানে অল্প একবিন্দু ! களு, আ#, ১৯৮২ | t জল পড়িয়াছিল ; রজনী আসন রাখিয়া, ;
পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।