বঙ্গ দশম, অঃ ১৯৮২ ) শৈশবসহচরী। రిశిరి বয়সী সুন্দরী, একটি স্ত্রীলোক রোষভরে হাসিতেছে । সেই অবিরত বায়ুতাড়িত স্তরঙ্গিণীর উপকূলে অস্পষ্ট উষালোকে সেই উন্মাদিনীর মূৰ্ত্তি দেখিয়া রমণীগণ চমকিত হইল । বিনোদিনী ভীত হইয়া চন্দ্রমুখীর অঞ্চল ধরিয়া তাহার পশ্চাৎ লুকাইল । উন্মাদিনীর হাসি থামিল । কিছু কাল সকলেই নিস্তব্ধ, তৎপরে উন্মাদিনী সেই অন্ধকারময় জাহ্নবীর উপকুল অালোড়িত করিয়া অতি মধুর স্বরে গায়িতে লাগিল— ডুবিতে এসেছি আমি জাহ্নবী সলিলে । কি কাজ জীবনে মম চিরদিন ভাবিলে । ধন জন ছিল যত প্রিয়তম পতি স্থত একেই সবে আসি ডুবেগেছে জলে । উন্মাদিনীর চাঞ্চল্য দেখিয়া বয়ঃকনিষ্ঠা বিনোদিনী ভীত হইল এবং তাহার ব্যস্ততা হেতু চন্দ্রমুখী তাহার সহিত গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন । যখন বিনোদিনী উন্মাদিনীর সম্মুখ দিয়া যাইতেছিলেন তখন উন্মাদিনী তাহকে দেখিয়া বলিল “হু হু! তুমি বড় সুন্দরী—সাবধান তোমার বড় বিপদ!” বিনোদিনী ভীত। হইয়া চন্দ্রমুখীর পশ্চাৎ২ চলিল—পরে কুল হইতে উপরে গিয়া বলিল,“চন্দ্রদিদি মাগি কিভয়ানক পাগল! কিন্তু কি সুন্দরী ছিল, এখনও কত রূপ রয়েছে।” রমণীগণ চলিয়া গেল, কেবল ঘাটে | একাকিনী পূৰ্ব্বোল্লিখিত প্রাচীন রহিল; | আর উপকূলে উন্মাদিনী ছিল । প্রাচীন আস্তেই আসিয়া তাহাকে বলিল, “স্থাগা । রজনীকে কেমন করে তুমি বড় মানুষ , কল্লে? সে যে তার বাপের বিষয়ে । বড়মানুষ হয়েছে।” ! উন্মাদিনী উচ্চহাসি হাসিয়া বলিল, “তার বাপ! তার বাপকে ? রমাকান্ত! হু হু! না! না! সে কেবল আমি জানি । i হি! হি!” এই বলিয়া উন্মদিনী বেগে সে স্থান হষ্টতে পলায়ন করিল। বর্ষীয়সী চমকিত হইয়া সেই স্থানে দাড়াইয়া রহিল । ষোড়শ পরিচ্ছেদ । সেই সন্ন্যাসীর পরিচয় । ডাকাতি হাঙ্গামা কিছুদিন পরে নিবিয়া গেল। তৎপরিবর্তে আর একটি । নুতন ঘটনা উপস্থিত হইল। তাহ লইয়৷ সুবর্ণপুরে পাড়ায় পাড়ায় গণ্ডগোল হইতে । লাগিল । এই আখ্যায়িকার প্রথম পরি- , চ্ছেদে উল্লেখ করা হইয়াছে যে কুমুদিনী অতি শৈশবে বিধবা হওয়াতে র্তাহার পিত হরিনাথ মুখোপাধ্যায় দ্বিতীয়বার । র্তাহার বিবাহ দিবার উদ্যোগ করিয়াছিলেন। কিন্তু সে উদ্যোগে সফল হইতে | না পারিয়া উদাসীন হইয়াছিলেন। এক্ষণে হঠাৎ হরিনাথ মুখোপাধাtয় সন্ন্যাস অ|শ্রম ত্যাগ করিয়া গুহে প্রত্যাগমন করিলেন এবং প্রচার করিলেন, যে র্তাহার } কন্যা কুমুদিনীর পুনরায় বিবাহ দিবেন। বোধ হয় বলা বাহুল্য, বিনোদিনী যে ੇ -
পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।