পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| তেছি। কথার মীমাংসা করা উচিত । কবি Vలిసి & গ্রহণ যে করিতেছি না, তাহার কি কোন কারণ নাই ? জগতে কিছুই নিষ্কারণ নহে ; আমাদের কবিত্বপ্রবণতার কি কোন কারণ নাই ? অবশ্য আছে; এবং সে কারণ কি, তাহ বলিতে চেষ্টা করি কিন্তু তৎপূৰ্ব্বে আর একটা S AASAASAASAASAASAASAAAS কাহাকে বলা যায় ? কবিত্বের প্রধান উপকরণ, অকুভাবকতা এবং কল্পনা । অনুভাবকতা সম্বন্ধে ইহা বলা যাইতে পারে যে, যে কেহ কোন ভাবের বেগ, ভাবের তরঙ্গ হৃদয়মধ্যে অনুভব করিয়াছেন তিনিই কবি । যে কেহ ভালবাসিয়াছেন অথবা ঘৃণা করিয়াছেন তিনিই কবি। যে কেহ এক निन দুঃখ ভাবিয়া মনে২ বলিয়াছেন “আজিকার রজনী যেন আর পোহায় না, যে কেহ মুখ ভাবিয়া একদিন মনে মনে বলিয়াছেন, ‘স্বৰ্য্যদেব তোমার পায়ে পড়ি, একটু শীঘ্রই পাটে গিয়ে বসে বাপু, তিনিই কবি। যে কেহ হাসিয়াছেন অথবা কাদিয়াছেন তিনিই কবি; এবং এ সুখদুঃখের সংসারে কে হাসে নাই— কে কাদে নাই ? অতি পরিষ্কার আকাশেও কালো.মেঘ দেখা যায়, আবার নিবিড় জলদের কোলেও সৌদামিনী হাসে ; তেমনি সহস্র মুখের মধ্যেও একটু দুঃখ থাকে, আবার সহস্ৰ দুঃখের মধ্যেও একটু সুখ থাকে। স্বতরাং অস্তরে অস্তরে কবি সকলেই । যার হৃদয় কঠিন তার হৃদয়ে তরঙ্গ উঠে துண்ை তা ঠিক ; তবে কি না বাঙ্গালি কবি কেন ? རྫི་རྩོམ་མམ་འམ་མ་ཟླ་བ་}


- - *so

(नञ व *म, નેિો . ४ - छ २ ! | না—সে ব্যক্তি ভাব অনুভব করে বটে কিন্তু তার হৃদয়ে তরঙ্গ নাই, কেন না । তরঙ্গ কাঠিন্যের ধৰ্ম্ম নহে। আর যার হৃদয় কোমল, যার হৃদয় তরল, ভাবের । বাতাস বহিলেই তার হৃদয়ে তরঙ্গ উঠে, কেন না তরঙ্গ তরলতারই ধৰ্ম্ম—তরল- , তার ভঙ্গী বিশেষের নামই তরঙ্গ। এই ৷ তরঙ্গ যার উঠে এবং ইহার মূৰ্ত্তি ভাষাৰ । বর্ণে যে আঁকিতে পারে, সেই প্রকাশ্যে কবি । যে পারে না, সে কবি হইয়াও কবি নহে। সেই জন্য সকলে কবি নহে । বাঙ্গালির হৃদয় কোমল, বাঙ্গা লিহৃদয় তরল, এইজন্য বাঙ্গালি কবি। আবার অশিক্ষিতের উপর কল্পনার এক1. ধিপত্য। বাঙ্গালি অশিক্ষিত, অপরি ; মার্জিত-বুদ্ধি, কুসংস্কারান্ধ, স্বতরাং বাঙ্গ ! লির কল্পনাও প্রবল, সুতরাং বাঙ্গালি কবি । কিন্তু এ কল্পনা, এ অনুভাবকতা কোথা হইতে আসিবে ? প্রাচীন আৰ্য্যগণ ধৰ্ম্মের বন্ধনে হিন্দু সমাজকে অষ্টপৃষ্ঠে ললাটে বাধিলেন। i বুদ্ধিবৃত্তির কার্য্য স্বাধীন ভাবে হইতে । থাকিলে ব্রাহ্মণের একাধিপত্য থাকে ন}, সুতরাং বুদ্ধিবৃত্তিকেও সেই বন্ধনে বঁধিতে হইল। ধৰ্ম্মশাস্ত্রের বিধি পাকা ইয়া২ বৃহৎ এক রজ্জ্ব নিৰ্ম্মাণ করিলেন। তাহাতে ভারতবর্ষকে বাধিয়া, রজুর দুই মুখ স্বহস্তে ধরিয়া বসিলেন। যদি কেহ। কখন বন্ধন মুক্ত হইবার উপক্রম করিল, অমনি রজ্জ্ব টানিয়া তাহাকে ব্যথিত করা হইল—তাহার মান গেল, কুল গেল, உம்மண்