i | 8. У о কৃষ্ণকান্তের উইল । وجه تسهحصه (বঙ্গলশন, cજો:........ રા) আপন সংসারে আপন পুত্রদিগের সহিত সমান ভাবে প্রতিপালন করিতে লাগিলেন । এবং উইল করিয়া,আপনাদিগের উপার্জিত সম্পত্তির যে তার্থাংশ দ্যায়মত রামকান্ত রায়ের প্রাপ্য, তাহা গোবিন্দলালকে দিয়া যাইবার ইচ্ছা করিলেন । কৃষ্ণকান্ত রায়ের দুই পুত্র, আর এক কন্ত। জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম হরলাল ; কনিষ্ঠের নাম বিনোদলাল, কস্তার নাম শৈলবর্তী। কৃষ্ণকান্ত এইরূপ উইল করিলেন যে র্তাহার পরলোকাস্তে, গোবিন্দলাল আট আনা, হরলাল ও বিনোদ, লাল প্রত্যেকে তিন আনা, গৃহিণী এক আনা, আর শৈলবর্তী এক আনা, সম্প ত্তিতে অধিকারিণী হইবেন । হরলাল বড় দুর্দান্ত । পিতার অবাধ্য এবং দুৰ্ম্ম খ। বাঙ্গালির উইল কখন গোপনে থাকে না । উইলের কথা হরলাল জানিতে পারিল । হরলাল, দেখিয়া শুনিয়া ক্রোধে চক্ষু রক্তবর্ণ করিয়া পিতাকে কহিল, “এটা কি হইল ? গোবিন্দলাল অৰ্দ্ধেক ভাগ পাইল আর আমরা তিন আনা ?” কৃষ্ণকান্ত কহিলেন, “ইহা ন্যায্য হইয়াছে। গোবিন্দলালের পিতার প্রাপ্য অৰ্দ্ধাংশ তাহাকে দিয়াছি।” | ইর। গোবিন্দলালের পিতার প্রাপ্য । টা কি? আমাদিগের পৈতৃক সম্পত্তি সে . লইবার কে? আর মা বহিন কে আমরা | প্রতিপালন করিব—তাহাদিগের বা একই | আন কেম। বরং তাছাদিগকে কেবল
গ্রাসাচ্ছাদনের অধিকারিণী বলিয়ালিলি शना । কৃষ্ণকান্ত কিছু রুষ্ট হইয়া বলিলেন, “ বাপু হরলাল! বিষয় অামার,তোমার নহে । আমার যাহাকে ইচ্ছ। তাহাকে : দিয়া যাইব ।” হর । আপনার বুদ্ধি শুদ্ধি লোপ পাইয়াছে—আপনাকে যাহা ইচ্ছ। তাহা । করিতে দিব না । কৃষ্ণকান্ত ক্রোধে চক্ষু আরক্ত করিয়া কহিলেন, “ হরলাল, তুমি যদি বালক হইতে, তবে আজি তোমাকে গুরুমহাশয় ডাকা ইয়া বেত দিতাম।” হর । আমি বাল্যকালে গুরুমহাশয়ের দাড়ি পুড়াইয়া দিয়াছিলাম , এক্ষণে এই উইলও সেইরূপ পুড়াইব । কৃষ্ণকান্ত রায় আর দ্বিরুক্তি করিলেন । না। স্বহস্তে লিপিকৃত উইল খানিছিড়িয়া । ফেলিলেন। তৎপরিবর্তে নুতন এক- | খানি উইল লিখাইলেন । তাহাতে গোবিন্দলাল আট আনা, বিনোদলাল পাচ আনা, কত্রী এক আনা, শৈলবর্তী এক আনা, আর হরলাল এক আনামাত্র পাইলেন । - রাগ করিয়া হরলাল পিতৃগৃহ ত্যাগ করিয়া কলিকাতায় গেলেন, তথা হইতে পিতাকে এক পত্র লিখিলেন । তাহার মৰ্ম্মার্থ এই । “ কলিকাতার পণ্ডিতের মত কঁরিয়াছেন যে বিধবাবিবাহ শাস্ত্রসম্মত। عدد جسدير