.ുജ एँ २३ {प्तःि । ৰঙ্গ দশম কীঃ ১ ৯৮২ 1) একজন ধ্বনি করিঙ্গ ভূষণ-লক্ষ্য সক লেরই এক। একজন বলিল মাতত্ত্ব, একজন ৰলিল মা, কার একজন বলিল “ মাতায়ি,” অপরে বলিল “ মাদার,” ! ইহাতে সকলেরই সেই জননীবোধক শব্দ | প্রকাশ করিবার প্রয়াস পাইল। এই মৰ্ম্মে | জৈমিনী মীমাংসার প্রমাণ পদে কহিয়াছেন “ ঔৎপত্তিকস্তু শফ স্যার্থেন সম্বন্ধ স্তস্যজ্ঞান মুপদেশেইব্যতিরেকশ্চার্থে কুপ লজে তৎপ্রমাণং বাদ রায়ণস্যানপেক্ষস্বাৎ,” (১ম পাদ ৫ স্বত্র) এই স্বত্র হইতে ইহার অনস্তর ৩১ সূত্র পর্য্যস্ত সমুদায় হুত্রে শব্দ সম্বন্ধে বিচার করিয়াছেন । | অপিচ উক্ত প্রকার শব্দের রূপ প্রকাশ করিবার জন্য লোকে নানাবিধ সঙ্কেত কল্পনা করায়, লৌকিক শক অনেক বাহুল্য হইয়া উঠিয়াছে । এই লোক কৃত সাঙ্কেতিক শব্দের প্রামাণ্য নাই । লৌকিক শব্দই পৌরুষেয়, কেন না পুরুষে ইহার সঙ্কেত করিয়াছে । বৈদিক শব্দ কাহারও সঙ্কেত দ্বারা স্থাপিত হয় নাই, কেন না উহার সঙ্কেতকর্তা কেহ দুষ্ট হয় মা, অমুমিতও হয় লা । “ বেদাংশ্চৈকে সন্নিকৰ্ষং পুরুষাখ্যা (২৭ স্থং”) “ অনিত্ত্য দর্শনচ’ (২৮ স্বং) সারস্বতঃ স্থত্তাং (অর্থাৎ সরস্বতী প্রণীত) কঠ শাখা-কঠ নামক ঋষি প্রণীত শাখা, এইরূপ পৈপপলাদক, মোস্থল, গ্রভৃতি বেদাভাগের বক্তা বিবেচন| এবং “স্বৰূর প্রবাহণী রক্ষণমুল্পত,” “ ঔদালুকি ক্ষকাময়ত্ত্ব,” এই সকল ব্যক্তি ঘটিত অাখ্যায়িক দেখিয়া ব্যক্তি বিশেষের বিশ্বাসের প্রতি লক্ষ্য করিয়া উক্ত সূত্র দ্বারা বেদ, পুরুষনিৰ্ম্মিভ এবং বেদের বিষয় বিশেষ ও অনিত্য অর্থাৎ যৎকিঞ্চিৎ ছিল, এখন নাই, এইরূপ পূৰ্ব্ব পক্ষ করিয়া পরিশেষে “উক্তন্তু শব্দ পূৰ্ব্বতং (২৯) “ আখ্যা প্রবচনাৎ’ (৩০) ইত্যাদি স্বত্রে জৈমিনী তাদৃশ বিশ্বাসের ব্যাঘাত জন্মাইয়া দিয়াছেন । এই বিচারের সং ক্ষেপ মৰ্ম্ম এই যে কাঠক প্রভৃতি আপ্যান কেবল কঠঋষি উহা প্রথমে বা প্রাধান্য ক্রমে অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন বলিয়া ঐরূপ “ নত্রিভিরপৌরুষেয়ত্বাস্বেদস্য তদৰ্থন্তাতীন্দ্ৰিয়ত্বাৎ’ (৫ অ ৪১ স্থ) এই স্থত্রে আরম্ভ করিয়া “ ন পৌরুষেয়ত্বং তৎ কর্ত, পুরুষস্য সন্তবাৎ” (৫ অ ৪৬ স্ব) এবং তান্তfন্ত বহুতর স্বত্রদ্বারা নানাপ্রকার আশঙ্ক। উদ্ভাবন করিয়া পরিশেষে সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, যে বেদ কোন পুরুষ বুদ্ধি দ্বারা নিৰ্ম্মাণ করে নাই, চিরকালই আছে —তবে কল্পাস্তকালে যে ব্যক্তি প্রথম শরীরী হন অর্থাৎ হিরণ্যগৰ্ব বা ব্ৰহ্ম প্রকাশ করেন মাত্র । সুপ্ত ব্যক্তি প্রতি শ্বাস প্রশ্বাস উচ্চারণ করিতে বুদ্ধি বা উচ্চারণ করিতেও তাহার বুদ্ধি বা যত্ন সমাখ্যান হইয়াছে। সাংখ্যকার কপিল । বুদ্ধ হইলে যেমন পুনৰ্ব্বার তাহার জাগ । তিক পদার্থ ভাণ হয়, সেইরূপ বেদ | র্তাহার ভাণ প্রাপ্ত হয় এবং পুরুষ যেমন - যত্ন অপেক্ষ করে মা, সেইরূপ বেদ | আপেক্ষিত হয় নাই। বেদান্তও এইরূপ |
পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।