পাতা:বঙ্গদর্শন-তৃতীয় খন্ড.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্রশেখর। (ৰঙ্গ দশম, বৈ:, ১২৮১ আগমনে রূপসীর শুরুতরচিন্তা দূর হইল, কিন্তু রূপসী শৈবলিনীর মৃত্যুর সম্বাদ শুনিয়া দুঃখিত হইল। প্রতাপ আসিয়াছেন শুনিয়া সুন্দরী তাহাকে দেখিতে আসিল। সুন্দরী শৈবলিনীর মৃত্যু সম্বাদ শুনিয়া নিতান্ত দুঃখিত হইল, কিন্তু বলিল, যে | “যাহা হইবার তাহা হইয়াছে। কিন্তু শৈবলিনী এখন সুখী হইল। তাহার বঁাচা অপেক্ষা মরাই যে সুখের, তা । ! আর কোন মুখে না বলিব ।” প্রতাপ রূপসী ও সুন্দরীর সঙ্গে সাক্ষীতের পর, পুনৰ্ব্বার গৃহত্যাগ করিয়া গেলেন। অচিরাং দেশে দেশে রাষ্ট হইল যে মুঙ্গের হইতে কাটোয়া পৰ্য্যস্ত যাবদীয় দস্থ্যও লাঠিয়াল দলবদ্ধ হইতেছে, প্রতাপ রায় তাহাদিগকে দলবদ্ধ করিতছে। শুনিয়া গুরগণ খী চিস্তাযুক্ত হইলেন । জগৎ শেঠের সঙ্গে প্রতাপসম্বন্ধে যে কথোপকথন হইয়াছিল, তাহ পূৰ্ব্বে বর্ণিত করিয়াছি। জনীয় অর্থ তাহারা দিবেন । প্রতাপকে অর্থের প্রলোভন দেখানই গুরগণ র্যার দূত প্ররণ করিলেন। প্রতাপ পুনৰ্ব্বার, | অশ্বপুষ্ঠে মুঙ্গের চলিলেন। ੋ: গুরুগণ ধার সহিত প্রতাপের সাক্ষাতে কি ফল ফলিল, তাঁহা পশ্চাৎ বলিৰ । জগৎ শেঠ স্বীকৃত হইলেন, যে প্রয়ো কৰ্ত্তব্য বোধ হইল। তিনি সাক্ষাতেৱ | মানস জানাইয়া প্রতাপের নিকট বিশ্বাসী | ! শৈবলিনী ও দলনীকে বিষম সঙ্কটে রা- - ستماتت تنۓ SAMS খিয়া আসিয়াছি। তাহাদিগের কি ঘটিল, তাহা এক্ষণে বলিব । এয়ন্ত্রিংশত্তম পরিচ্ছেদ । শৈবলিনী কি করিল। মহান্ধকারময় পৰ্ব্বত গুহা—পৃষ্ঠচ্ছেদী উপলশয্যায় গুইয়া—শৈবলিনী। মহাকায় পুরুষ, শৈবলিনীকে তথায় ফেলিয়া দিয়া গিয়াছেন। ঝড় বৃষ্টি থামিয়া গিয়াছে— কিন্তু গুহা মধ্যে অন্ধকার—কেবল অন্ধকার-অন্ধকারে ঘোরতর নিঃশব্দ । নয়ন মুদিলে অন্ধকার—চক্ষু চাহিলে তেমনি অন্ধকার। নিঃশব্দ-কেবল কোথাও পৰ্ব্বতন্থ রন্ধ, পথে বিন্দু বিন্দু বারি শুহা তলস্থ শিলার উপরে পড়িয়া, ক্ষণে ! ক্ষণে টিপ্ টপূ শব্দ করিতেছে। আর যেন কোন জীব মনুষ্য কি পশু কেজানে?—সেই গুহা মধ্যে নিশ্বাস ত্যাগ করিতেছে । এতক্ষণে শৈবলিনী ভয়ের বশীভুত | হইলেন । ভয় ? তাহীও নহে । মনুষ্যের স্থিরবুদ্ধিতার সীমা আছে-শৈবলিনী সেই সীমা অতিক্রম করিয়াছিলেন। 1 শৈবলিনীর ভয় নাই—কেননা জীবন তাহার পক্ষে অবহনীয়, অসহনীয় ভায় | ; হইয়া উঠিয়াছিল—ফেলিতে পারিলেই }"; | ভাল। বাকি যাহা—সুখ, ধৰ্ম্ম, জাতি, 1; কুল, মান, সকলই গিয়াছিল—আর যা ইবে কি? কিসের ভয় ?