পাতা:বঙ্গদর্শন-তৃতীয় খন্ড.djvu/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W il | বাঙ্গালার ইতিহাস । (পঙ্গদর্শন মাঃ, ১২৮১ ৷ AASAASAASAASAASAASAA AAAASASASS সেরূপ তৎপূৰ্ব্বে বা তৎপরে আর কখন হয় নাই । সেই সময়ের বাহ সৌষ্ঠব সম্বন্ধে রাজ কৃষ্ণ বাবু কি বলিতেছেন, তাহাও শুকুন। “লিখিত আছে যে হোসেন শাহার রাজারম্ভ সময়ে এতদেশীয় ধনিগণ স্বর্ণ পরে ব্যবহার করিতেন, এবং যিনি নিমন্ত্রিত সভায় যত স্বর্ণপাত্র দেখাইতে পারিতেন তিনি তত মৰ্য্যাদা পাইতেন। গৌড় ও পাণ্ডুর প্রভৃতি স্থানে যে সকল সম্পূর্ণ বা ভগ্ন অট্টালিকা লক্ষিত হয়, তদুরাও তাৎকালিক বাঙ্গালার ঐশ্বৰ্য্য শিল্প নৈপুণ্যের বিলক্ষণ পরিচয় পাওয়া যায়। বাস্তবিক তখন এদেশে স্থাপত্য বিদ্যার আশ্চৰ্য্য রূপ উন্নতি হইয়াছিল, এবং গোড়ে যেখানে সেখানে মুক্তিক খনন করিলে যেরূপ ইষ্টক দৃষ্ট হয়, তাহাতে অনুমান হয় নে নগরবাসী বহুসংখ্যক ব্যক্তি ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গৃহে বাস করিত।ণ দেশে অনেক ভূম্যধিকারী

  • গৌড়ের ইষ্টক লইয়া, মালদহ, ইং

রেজবাজার, ভোলাহাট, রাইপুর, গিলা বাড়ী, কাসিমপুর, প্রভৃতি অনেক গুলি নগর নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই সকল নগর অট্টালিকাপূর্ণ, কিন্তু তথায় অন্ত কোন ইষ্টক ব্যবহৃত হয় নাই । গৌড়ের ইষ্টক মুরশিদাবাদের ও রাজমহলের নিৰ্ম্মাণেও লাগিয়াছে। এখনও যাহ! আছে, তাহাও অপরিমিত । গৌড়ের ভগ্নাবশেষের বিস্তার দেখিয়া বোধ হয়, যে কলিকাতা অপেক্ষ গৌড় অনেক বড় क्लिढा । । sæ ছিলেন এবং তাহাদিগের বিস্তর ক্ষমতা ছিল । পাঠান রাজ্য ধ্বংসের কিয়ৎকাল পরে সঙ্কলিত আইন আকবরিতে লিথিত আছে যে বাঙ্গালার জমিদারের ...২৩,৩৩০ অশ্বারোহী , ৮,০১, ১৫৮ পদাতিক, ১৮০ গজ, ৪,২৬০ কামান এবং • ৪s০০ লোক দিয়া থাকেন। এরূপ যুদ্ধের উপকরণ যাহাদিগের ছিল, তাহাদিগের । পরাক্রম নিতাস্ত কম ছিল না ’ পঞ্চম । অতএব দেখা যাইতেছে যে, যে তাকবর বাদশাহের আমরা শত মুখে প্রশংসা করিয়া থাকি, তিনিই বাঙ্গালার কাল । তিনিই প্রথম প্রকৃত পক্ষে বাঙ্গালাকে পরাধীন করেন। সেই দিন হইতে বাঙ্গালীর শ্ৰীহানির আরস্ত। মোগল । পাঠানের মধ্যে, আমরা মোগলের অ- ' ধিক সম্পদ দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া মোগলের জয় গাইয়া থাকি, কিন্তু মোগলই আমা- ; দের শত্র, পাঠান আমাদের মিত্র। মোগলের অধিকারে পর হইতে, ইংরেজের শাসন পৰ্য্যস্ত এক খানি ভাল গ্রন্থ বঙ্গদেশে জন্মে নাই। যে দিন হইতে দিল্লীর মোগলের সাম্রাজ্যে ভুক্ত হইয়া বাঙ্গালা দুরবস্থা প্রাপ্ত হইল সেই দিন হইতে বাঙ্গালার ধন আর বাঙ্গালীয় রহিল না, দিল্লীর বা আগ্রার ব্যয় নিৰ্ব্বাহাৰ্থ প্রেরিত হইতে লাগিল । যখন আমরা তাজমহলের অাশ্চর্য্য রমণীয়তা দেখিয়া আহলাদসাগরে ভাসি, তখন কি কোন বাঙ্গালির মনে হয়, যে, যে সকল রাজ্যের রক্তশোষণ করিয়া এই রত্নমন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, i { |