পাতা:বঙ্গদর্শন-তৃতীয় খন্ড.djvu/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

H AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS | नन्नन**म, झy३, ५२४ s i) চন্দ্রশেখর । , \ურk দেখিল, নক্ষত্র মুনারীগণ নীলাম্বর মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুখগুলি সকলে বাহির করিয়া, কিরণময় অঙ্গুলির দ্বারা পরস্পরকে শৈব লিনীর শব দেখাইতেছে—বলিতেছে— দেখ, ভগিনি দেখ, মনুষ্য কীটের মধ্যে আবার অসতী আছে ! কোন তার শিহরিয়া চক্ষু বুজিতেছে; কোন তারা লজ্জায় | মেঘে মুখ ঢাকিতেছে ; কোন তারা অসতী নাম শুনিয়া ভয়ে নিবিয়া যাইতেছে । পিশাচের শৈবলিনীকে লইয়। উদ্ধে উঠিতেছে, তার পর আরও উৰ্দ্ধে, . আরও মেঘ, আরও তারা পার হইয়া আরও উদ্ধে উঠিতেছে। অতি উদ্ধে উঠিয়া সেইখান হইতে শৈবলিনীর দেহ নৱককুণ্ডে নিক্ষেপ করিবে বলিয়া উঠি i | | কার, শীত,-মেঘ নাই, তারা নাই, আলো নাই, বায়ু নাই, শব্দ নাই । শব্দ হইতে অতি ভীম কল কল ঘরঘর শব্দ | শুনা যাইতে লাগিল-–যেন অতি দূরে, কের কোলাহল শুনা যাইতেছে, এইখান হইতে শৰ ফেলিয়া দাও। এই বলিয়া করিয়া শৰ ফেলিয়া দিল । শৈবলিনী | SAASA SAASAASS A AAAAABSAAAAAAAS তেছে । যেখানে উঠিল, সেখানে অন্ধ কর । নাই—কিন্তু অকস্মাৎ অতি দূরে অধঃ ' অধোভাগে, শত সহস্ৰ সমুদ্র এককালে । | গঞ্জিতেছে। পিশাচের বলিল ঐ নৱ | কোলে করিয়া বসাইল—তাহার অঙ্গের । পিশাচের শৈবলিনীর মস্তকে পদাঘাত | রব, সহসা অন্তৰ্হিত হইল, পূতিগন্ধের 3. - .. পরিবর্তে কুম্নমগন্ধ ছুটিল। স্কুল শৈব | ঘুরিতে ঘুরিতে, ঘুরিতে ঘুরিতে, পড়িতে লাগিল। ক্রমে ঘূর্ণ গতি বৃদ্ধি পাইতে | লাগিল, অবশেষে কুম্ভকারের চক্রের নায় ঘুরিতে লাগিল। শবের মুখে, হইল-এ মৃত্যু নহে, জীবনঃ এ স্বপ্ন নহে, ! ৰুসিকায়, রক্তবমন হইতে লাগিল । । ক্রমে নরকের গর্জন নিকটে শুনা যাইতে লাগিল, পূতিগন্ধ বাড়িতে লাগিল —অকস্মাৎ সজ্ঞানমূতা শৈবলিনী দূরে | নরক দেখিতে পাইল । তাহার পরেই ; তাহার চক্ষু অন্ধ,কৰ্ণ বধির হইল,--তখন সে মনে মনে চন্দ্রশেখরের ধ্যান করিতে । লাগিল,-মনে মনে ডাকিতে লাগিল, “কোথায় তুমি—স্বামিন্‌! কোথার স্বামী —স্ত্রীজাতির জীবন সহায়, আরাধনার } দেবতা, সৰ্ব্বে সৰ্ব্বমঙ্গল! কোথায় তুমি, চন্দ্রশেখর! তোমার চরণারবিন্দে, সহস্ৰ, । সহস্ৰ, সহস্ৰ, প্রণাম ! আমার রক্ষণ কর। ; তোমার নিকটে অপরাধ করিয়া, আমি ; এই নরককুণ্ডে পতিত হইতেছি—তুমি । রক্ষণ না করিলে কোন দেবতায় আমায় । রক্ষা করিতে পারেন না—আমায় রক্ষণ । তুমি আমায় ক্ষমা কর, প্রসন্ন । হও, এইখনে আসিয়া, চরণযুগল আমার ; মস্তকে তুলিয়া দাও—তাহা হইলেই । আমি নরক হইতে উদ্ধার পাইব ।” । তখন অন্ধ, ৰাধ, মৃত শৈবলিনীর | i | | বোধ হইতে লাগিল, যে কে তাহাকে সৌরভে দিক পুরিল । সেই দুরন্ত নৱক | লিনীর বধিরতা ঘুচিল—চকু আবার | দর্শনক্ষম হইল—সহসা শৈবলিনীর বোধ প্রকৃত। শৈবদিনী চেতনাপ্রাপ্ত হইল। ]