ৰঙ্গদশম, জ্যৈ৪, ১২৮e I) ہ==============================eے۔ भभूमऊँौ। ዓ4 সঙ্গে গৃহে চল ।” যিনি বলিতেছিলেন, আহলাদে তাহার শরীর তর২ করিতে ছিল—কণ্ঠ গদগদ । তখন মধুমতী, মুখ নত করিয়া, কম্পিত কলেবরে, অদুটশ্বরে, কহিল, “গৃহে যাইব ? অামার আর গৃহ নাই। তোমার সঙ্গে আর আমার সম্বন্ধ নাই। এ জীবন আর আমার নহে। যিনি ইহা রক্ষা করিয়াছেন, এক্ষণে ইহা তাহারই । তোমার আমার ইহাতে কোন অধিকার নাই।” শুনিয়া, আগস্তুকের মাথায় যেন বজাঘাত হইল। প্রথমে তিনি কিছুই বু ঝিতে পারিলেননা—পরে মধুমতীর বিস্ময়জনক কথার মৰ্ম্মামুধাবন করিয়া, স্বেদাক্ত কলেবরে, মস্তক ধারণ করিয়া বসিলেন। বলিলেন, “আদরিনি, আমি যে তোমার স্বামী ?” আদরিণী কহিল “ছিলে, কিন্তু তোমার স্ত্রী মধুমতীর জলে ডুবিয়া মরিয়াছে।” তখন মধুমতীর পূর্বস্বামী, কিয়ৎক্ষণ বিস্ময়বিদ্ধারিত চক্ষে, মধুমতীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া, রোদন করিতে লাগিলেন,—বলিলেন, “আমি কখনই এ কথা বিশ্বাস করি না—আমার আদরিণী যে আমাকে এরূপ কথা বলিবে, ইহা বিশ্বাস করি না—তুমি আমাকে ব্যঙ্গ করিতেছ। আমার এত যত্নের কি এই ফল? যে দিন তুমি জলমগ্ন হইয়াছিলে, সেই দিন হইতে আমি শ্মশানবাসী। সেই চীৎকার কবিয়া বেড়াইয়াছি। উন্মত্তের স্তায় কি? আমি ত পাগলই হইয়াছি- } লাম—ষাটে২ মাঝি মাল্লারা “গোপাল —পাগল”বলিয়া অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া আমাকে দেখাইত। আমার শরীর দেখ, আদরিনি,—তুমি আমাকে চিনিতে পারিয়াছ, ইহাই আশ্চৰ্য্য —এমন দীন দরিদ্র কে আছে, কার শরীর অস্থি চৰ্ম্মাবশিষ্ট, শুষ্ক, মলিন—কার বস্ত্র এমন শতধা ছিন্ন— কার কেশ এমন রুক্ষ—” তিনি আর বলিতে পারিলেন না—রোদন করিতে লাগিলেন। কেহ আসিতেছে, পায়ের শব্দ হইল। গোপাল বলিলেন, “কে আসিতেছে—এ বাড়ীতে আমি চোর—সুতরাং আমি এখন চলিলাম— কালি আসিব ।” মধুমতী কহিল, “আসিও–কিন্তু কালি না। এ গৃহের স্বামী গৃহে আসিলে আসিও । আর এখানে আসিও না। সন্ধ্যার পর, ঐ গঙ্গাতীরে আসিও । সেই খানে আমার সাক্ষাৎ পাইবে।” গোপাল চলিয়া গেল। যে টি ভয়ঙ্কর কথা আদরিণী যে র্তাহাকে বিসর্জন দিয়া অন্তকে বিবাহ করিয়াছে—সে কথা গো- . পাল এখনও শুনে নাই। যাহা শুনিয়াছিল, তাহাতেই তাহার হৃদয় ভগ্ন হইয়াছিল। s কাতা হইতে বাট প্রত্যাগমন করিলেন। মধুমতী তাহাকে দেখিয়া পূর্বের স্তায় । হাস্যমুখে নিকটে ছটিয়া গেলেন না।
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।