পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; ☾i) নৈসর্গিক নিয়মের অন্যথা হওয়া সম্ভব কি না? Ꮡ میدهد و به নরক্তি দ্বারা এইটি নিঃসংশয়িত রূপে সপ্রমাণ হয়, সেই যুক্তি অখণ্ডনীয় দেখির, কেহ কেহ বলেন যে ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিলে, তিনি যদি নৈসর্গিক কাৰ্য্য পরম্পরার পূৰ্ব্বাপরত্বের নিয়ম অন্তথা করা অভিপ্রেত মনে করেন, তাহা হইলে কোন উপায় বিশেষ অবলম্বন করিয়া, সেই উদেশ্ব সাধন করেন, অর্থাৎ একটি ঘটনার দ্বারা আর একটি ঘটনার কার্য্যের অন্যথা করেন। যেমন অগ্নিসংযোগেকোন দাহমান বস্তু দগ্ধ হইতে থাকিলে জল সেচন করিয়া, আমরা সেই অগ্নি নিৰ্ব্বাণ করি । তেমনি ঈশ্বর তাহার ভক্ত দিগের প্রার্থিত ফল প্রদানের নিমিত্ত উপায় বিশেষ অবলম্বন করিয়া থাকেন। কিন্তু এরূপ হইলে ঈশ্বর উপাসনা করার প্রয়োজন কি ? যদি কোন উপায় বিশেষ অবলম্বন করিতে পারিলেই আমাদের অভিপ্রায় সিদ্ধ হইতে পারে ; তাহ হইলে, ঈশ্বরের সাহায্য ব্যতিরেকেও সেই উপায় অবলম্বন করিতে পারা যায় না কেন? এই আপত্তি সম্বন্ধে তাহারা উত্তর করেন যে, ঈশ্বর যে উপায়ে আমাদিগের প্রার্থিত ফল প্রদান করেন, সেই সকল উপায় সামাদিগের জ্ঞাতব্য নহে এবং জ্ঞাতব্যহইলেও সাধ্য নহে। সুতরাং র্তাহার নিকট প্রার্থনা ব্যতিরেকে আমাদের সেই সকল অভিপ্রায় সিদ্ধ হইতে পারে না। কিন্তু এরূপ অনুমানের বিন্দু মাত্রও প্রমাণ দৃষ্ট হয় না । ফলতঃ ঈশ্বরেচ্ছায় কাৰ্য্য কারণত্বের নিয়মের অন্যথা হইতে পারে কিনা, ইহাদের কথায় তাহার কিছুই মীমাংসা হয় না। যদি কোন সৰ্ব্বশক্তিমান পুরুষ থাকেন, এবং তাহার যদি স্তুতিবাক্যাদি কোন কারণে ইচ্ছা হয় তাহা হইলে, স্বীকাৰ্য্য কথা অনুসারে— সকলই সম্ভব বলিতে হইবে। কিন্তু অন্ত প্রমাণের দ্বারা তাদৃশ পুরুষের অস্তিত্ব সপ্রমাণ ও র্তাহার ইচ্ছা হওয়ার যথেষ্ট কারণ প্রদর্শিত না হইলে দৈব আরাধনা বলে নৈসর্গিক নিয়মের অন্যথা হইতে পারে, ইহা বিবেচনা করিয়া, কাৰ্য্য করা সঙ্গত হয় না । 密獼。 o ബ