•ক্ষেত্রপাল স্থতিরত্নকে একটু ক্ষমা করিয়াস্পষ্ট বলেম মাই। বহুবিবাহ । ཨག་སམས་མས་ཟས་ཟ་མཁན་ཁ་ཟས་ཟ་ཆབ་ཆབས་གལ་ཆབ་སྲས་ལས་བཟང་།, (ৰঙ্গদশম, অtষlঃ ১২৮৯ । চারে প্রবৃত্ত হইয়াছেন । আমরা ইহাও বলিতেছি যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দ্যায় উদার চরিত্রে কপটাচরণ কখনই স্পর্শ করিতে পারে না—তিনি স্বয়ং ধৰ্ম্মশাস্ত্রে অবিচলিত ভক্তিবিশিষ্ট সন্দেহ নাই। কেবল আমাদিগের কপালদোষে বহুবিবাহ নিবারণের সন্ধুপায় কি, তৎসম্বন্ধে তিনি কিছু ভ্রান্ত । ইহার অধিক আর কিছুই আমাদিগের বলিবার নাই । "এতদিনের পর যদি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোন বিষয়ে ভ্রাস্তি দেখি, তবে কথা কহিতে পারি না। চিরকাল অভ্রাত্ত কেহ নহে। কিন্তু কোন কোন বিষয়ে ভ্রাত্তির একটু আধিক্য হইয়াছে, বিবেচনা করিতে হয়। এমত হইতে পারে, যে এই ক্ষুদ্র পৃথিবীমধ্যে যে কয়জন পণ্ডিত আছেন, তাহাদের . সৰ্ব্বাপেক্ষা বিদ্যাসাগর মহাশয়ই ধৰ্ম্মশাস্ত্রে বিশারদ । কিন্তু সে কথা পরের মুখেই ভাল শুনায়। বিদ্যাসাগর মহাশর ততক্ষণবিলম্ব করিতে পারেন নাই। শ্ৰীযুক্ত তারানাথ তর্কবাচম্পতি, শ্ৰীযুক্ত রাজকুমার হায়রত্ন, শ্ৰীযুক্ত ক্ষেত্রপাল স্থতিরত্ন, শ্ৰীযুক্ত সত্যব্রত সামশ্রমী, ও শ্ৰীযুক্ত গঙ্গাধর কবিরাজ কবিরত্ব .তাহার প্রতিবাদী। বিদ্যাসাগর মহাশয় একে একে পাচ জনকেই বলিয়াছেন যে তাহারা ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের অনুশীলন করেন নাই * গ্রন্থমধ্যে এই কথা স্থানে স্থানে, নানাবিধ অলঙ্কার বিশিষ্ট হইয়া পুনরুক্ত হইয়ছে। প্রতিবাদী পণ্ডিতেরা এ কথার এই অর্থ করিবেন, যে বিদ্যা, ; সাগর বলিয়াছেন, “তোমরা কেহ কিছু জান না, ধৰ্ম্মশাস্ত্রে যাহা কিছু জানি তা আমিই ।” আমরা ইহাতে ছঃখিত হইলাম। কেননা আমাদিগের নিতান্তু বাসনা ছিল, যে আমরা ঐ পণ্ডিত দিগকে বলিব, যে “মহাশয়েরা কোন সাহসে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত বিচারে প্রবৃত্ত হইয়াছেন ? তিনি ধৰ্ম্মশাস্ত্রে অভ্রান্ত, আপনারী কিছু জানেন না।” আমাদিগের আক্ষেপ এই যে, বিদ্যাসাগর | মহাশয় আমাদিগকে সে কথা বলিতে | অবকাশ দিলেন না, আপনি সকল কথা বলিয়া রাখিয়াছেন । ইহা অপেক্ষ আর একটি গুরুতর দোষের উল্লেখ করিতে বাধ্য হইলাম । প্রাচীন বাঙ্গালীদিগের নিয়ম ছিল, এবং এখনও শ্রেণী বিশেষের লোক ভিন্ন সকল বাঙ্গালীদিগের নিয়ম আছে, যে কোন বিষয়ের বিচারে প্রবৃত্ত হইলে, বিচারকেরা : পরস্পর পূর্বপুরুষের উল্লেখ করিয়া গালি না দিয়া ক্ষান্ত থাকিতে পারিতেন না বা পারেন না। রাম যদি বলিল, যে এটা ঘট, শু্যাম যদি বলিল, না এটা পট, তবে রাম বুলিবে, “শ্যালা, তুই কি জানিস” —অমনি শু্যাম তদনুরূপ মধুবৃষ্টি করিবে। বাঙ্গালী লেখক ও বাঙ্গালী অধ্যাপকেরা এক্ষণে ও সেই রীতির অনুবর্তী। অধ্যাপকেরা বিদায়ের আশায় সভাস্থ হইয়া বিচারে প্রবৃত্ত হয়েন, দুই চারি কথার পর পরস্পরকে পাষণ্ড” “ ব্যালীক”
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।