হেমচন্দ্রের ক্রেগড় পত্র । --இ-- কেহ২ অনুমান করেন “অনেকার্থ শব্দ সংগ্রহ” অভিধান চিন্তামণির অন্তর্গত কিন্তু আমরা এ কথায় অমুমোদন করিতে পারিলাম না। এখানি স্বতন্ত্র গ্রন্থ; কেননা প্রতিজ্ঞ বাক্যে লিখিত আছে “ আহঁতদিগের নিমিত্ত আমি এই অনেকার্থ শব্দ সংগ্ৰহ করিব, ইহা এক স্বরাদি ক্রমে ছয়কাণ্ডে বিভক্ত হইরে ।” “ ধ্যাত্বাহঁতঃকৃতৈকার্থ শব্দ সনেদাহ সংগ্রহ : এক স্বরাদি ষট্ কাণ্ড্যা কুৰ্ব্বেই নেকার্থ সংগ্ৰহম” –অনস্তর “ ইত্যাচাৰ্য্য হেমচন্দ্র বিরচিতে ই নেকার্থ সংগ্রহে ই ব্যয়নেকার্থধিকারঃ ” এই বলিয়া গ্রন্থ সমাপ্তি করিয়াছেন । তথা— ** প্ৰণিপত্যাহঁত, সিদ্ধ সাঙ্গ শব্দান্নু শাসনঃ । রূঢ় যৌগিক মিশ্রাণাং নামাং মালাং তcनामाक्ष्म् ।” এই প্রতিজ্ঞায় হেমচন্দ্র অভিধানচিস্তা ক্ষিত হইতনা এবং অনেকুর্থ সংগ্রহের সমাপ্তি ব্যকও উক্ত প্রকার হইত না, অভিধান চিন্তামণির অন্তর্গত হইলে এই রূপ হইত “ ইত্যভিধান চিস্তামণেী অনেকার্থসংগ্ৰহঃ ” টীকাকার অভিধান চিন্তামণির প্রথম শ্লোকব্যাখ্যায় “সিদ্ধ সাঙ্গ শব্দীমুশাসনঃ” এই অংশের এইরূপ ব্যখ্যা করিয়াছেন “ শ্রসিদ্ধ হেমচন্দ্রাভিধং ব্যাকরণং যস্ত সোহং* ঐসিদ্ধ হেমন্দ্র নামক ব্যাকরণ যাহার সেই হেমাচাৰ্য্য আমি এই নামমালা বিস্তার করিতেছি। এতদৃষ্টে প্রতীয়মান হইতেছে যে হেমচত্রের কৃত এক খানি ব্যাকরণ গ্রন্থও ছিল, এক্ষণে তাহার আর কিছু নিদর্শন পাওয়া যায়ন । হেমচন্দ্রকৃত “ লিঙ্গানুশাসন” এবং “ শীলোঞ্ছ” অর্থাৎ স্বকৃত অভিধানের প্রত্যেক কাণ্ডের পরিশিষ্ট বর্তমান আছে । আমরা হেমকোষ অচিরে মুদ্রিত করিব তাহার ভূমিকায় গ্রন্থের সার মৰ্ম্ম সংক্ষেপে প্র মণির আরম্ভকরেন। অতএব অনেকীৰ্থ কাশ কুরিবার ইচ্ছা আছে। সংগ্রহ অভিধান চিন্তামণির অন্তর্গত হইলে উক্ত প্রকার ভিন্ন ভিন্ন প্রতিজ্ঞয়বাক্য ল রা, দা, সে ।
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।