(۹ • *ه «؟۲ ,x) هیچ আমরা ফউরের মনের কথা বলিলাম, । কিন্তু শৈবলিনীর মনের কথা বলিতে | পরিলাম না । স্ত্রীলোকের মনের কথা কে বুঝিতে পারে ? ফষ্টর চলিয়া গেলে শৈবলিনী ধীরে২ জল কলস পূর্ণ করিয়া কুম্ভকক্ষে বসন্তপবনারূঢ় মেঘবৎ মন্দ- | পদে গুহে প্রত্যাগমন করিল। যথাস্থানে হল রাখিয়া শয্যাগহে প্রবেশ করিল। ! তথায় শৈবলিনীর স্বামী, চন্দ্রশেখর । কম্বলাসনে উপবেশন করিয়া, নামাবলীতে । কটদেশের সছিত উভয় জায় বন্ধন করিয়া, ; মুংপ্রদীপ সম্মুখে, তুলটে হাতে লেখা : পুতি পড়িতেছিলেন। আমরা যখনকার ; কথা বলিতেছি তাহার, পর একশত দশ । বৎসর অতীত হইয়াছে । } চন্দ্রশেখরের বয়ঃক্রম প্রায় চত্বারিংশত । তাহার আকার দীর্ঘ, তন্থপযোগী বলিষ্ঠ । গঠন । মস্তক বৃহৎ, ললাট, প্রশস্ত, : তদুপরি চন্দন রেখা । i শৈবলিনী গুহ প্রবেশ কালে মনে২ করিলে, চন্দ্রশেখর কিছু বলিলেন না । তখন তিনি ব্রহ্মসূত্রের শাস্করভাষ্ণের অর্থ সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন । শৈবলিনী হাসিয়৷ উঠিল । তখন চন্দ্রশেখর চাছিয়া দেখিলেন, বললেন, “আজি এত অসময়ে বিছাৎ 斂 ייץ sa) _শৈবলিনী বলিল, “আমি ভাবিতেছি
- 。
চন্দ্রশেখর ১৭৭ না জানি আমার তুমি কত বকিবে ?” চন্দ্র। “কেন বকিব ?” শৈ । “ আমার পুকুর ঘাট হইতে আসিতে বিলম্ব হইয়াছে, তাই ।” চন্দ্র । “বটেও ত—এখন এলে না কি ? বিলম্ব হইল কেন ?” শৈ। “ একটা গোরা আসিয়া ছিল। তা, সুন্দর ঠাকুরঝি তখন ডাঙ্গায় ছিল, আমায় ফেলিয়া দোড়াইয়া পলাইয়া অ|সিল । আমি জলে ছিলাম ভয়ে উঠিতে পারিলাম না । ভয়ে একগলা জলে গিয়া দাভাইয়া রহিলাম। সেটা গেলে তবে উঠিয়া আসিলাম ।” চন্দ্রশেখর অন্তমনে বলিলেন, “ আর আসিও না ।” এই বলিয়া আবার শঙ্করভাষ্যে মনোনিবেশ করিলেন । রাত্রি অত্যন্ত গভীর হইল। তখনও চন্দ্রশেখর, প্রম, মায়া, স্ফোট, অপেীরুষেয়ত্ব, ইত্যাদি তর্কে নিবিষ্ট । শৈবলিনী প্রথামতঃ, স্বামীর অন্ন ব্যঞ্জন, তাহার নিভাবিতেছিলেন, “যখন ইনি জিজ্ঞাসা । করবেন, কেন এত রাত্র হইল তখন কি : বলিব ?” কিন্তু শৈবলিনী গৃহমধ্যে প্রবেশ ; | ছিল —অনেক রাত্রি পর্য্যস্ত তিনি বিদ্যা কট রক্ষা করিয়া, আপনি আহারাদিকরিয়া পাশ্বস্থ শয্যোপরি নিদ্রায় অভিভূত ছিলেন । ৯এবিষয়ে চন্দ্রশেখরের অনুমতি লোচনা করিতেন, অল্পরাত্রে আহার করিয়া শয়ন করিতে পারিতেন না । e সহসা সৌধোপরি হইতে পেচকের গম্ভীর কণ্ঠ শ্রুত হইল। তখন, চন্দ্রশেখর অনেক রাত্রি হইয়াছে বুঝিয়া, পুতি বাধিলেন। সে সকল যথাস্থানে রক্ষা করিয়া, আলস্য বশতঃ দণ্ডায়মান হইলেন। মুক্ত