ゞbra প্রবেশ করিল। বালিকা চমকিয়া উঠিয়া, ব্যস্ত হইয়া দ্বারে গিয়া দাড়াইল । দেখিল, নবাবের তাঞ্জাম। নবাব মীর কাসেমআলি খ। তাঞ্জাম হুইতে অবতরণ পূৰ্ব্বক, এই গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলেন । নবাব আসন গ্রহণ করিয়া, বলিলেন, “দলনী বিবি কি গীত গায়িতেছিলে ? যুবতীর নাম বোধ হয় দৌলতউন্নেসা। নবাব তাহাকে সংক্ষেপার্থ “ দলনী’ বলিতেন । এজন্ত পৌরজন সকলেই “ দলনী বেগম” বা “ দলনী বিবি” বলিত । দলনী লজ্জাবনতমুখী হইয়া রহিল। দলনীর দুর্ভাগ্য ক্রমে নবাব বলিলেন, “তুমি যাহা গায়িতেছিলে, গাও আমি শু নিব ।” তখন মহা গোলযোগ বাধিল । বীণার তার অবাধ্য হইল—কিছুতেই বেমুর সারে না। বীণা ফেলিয়া দলনী বেহালা লইল, বেহালাও বেসুরা বলিতে লা তথন 5習び*国l গিল, বোধ হইল। নবাব বলিলেন, “হ | ইয়াছে, তুমি উহার সঙ্গে গাও।” তাহাতে, দলনীর মনে হুইল যেন নবাব মনে করিয়াছেন, দলনীর মুর বোধ নাই। তারপর,—তারপর, দলনীর মুখ ফুটিল না! দলনী কত মুখ ফুটাইতে চেষ্টা করিল, কিছুতেই মুখ কথা শুনিল না—কিছুতেই ফুটিল না! মুখ, ফোটে ফোটে, ফোটে না । মেঘাচ্ছন্ন দিনে স্থলকমলিনীর ন্যায়, মুখ ফোটে ফোটে, ফোটে না । ভীরূস্বভাব কবির, কবিতা কুমুমের হায়, মুখ ফোটে ফোটে, ফোটে না । মানিনী স্ত্রীলোকের { बचनिर्भश्च क्षं, ०३५० ।। মানকালীন কণ্ঠাগত প্রণয়সম্বোধনের জায় ফোটে ফোটে, ফোটে না । তখন দলনী সহসা বীণা ত্যাগ করিয়া বলিল, “আমি গায়িব না।” নবাব বিস্থিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন? রাগ না কি ?’। দ। ‘কলিকাতার ইংরাজেরা যে বাদ্য বাজাইয়া গীত গায়, তাহাই একটি আনা ইয়া দেন, তবেই আপমার সমক্ষে পুন: বর্বর গীত গায়িত্ব, নহিলে আর গায়িন মা !” o মীরকাসেম হাসিয়া বলিলেন, যদি “সে পথে কাটা না পড়ে তবে অবশু দিব ।” “ কাট পড়িবে কেন?” : নবাব দুঃখিত হইয়া বলিলেন, “ বুঝি তাহা দিগের সঙ্গে বিরোধ উপস্থিত হয়। কেন তুমি সে সকল কথা শুন নাই?” “শুনিয়াছি”বলিয়া দলনী নীরব হইল। মীরকাসেম জিজ্ঞাসা করিলেন, “দলনী বিবি, অন্তমনা হইয়া কি ভাবিতেছ?” দলনী বলিল, “ আপনি একদিন বলিয়াছিলেন, যে, যে ইংরাজদিগের সঙ্গে বিবাদ করিবে, সেই পরাজিত হইবে—তবে কেন আপনি তাহাদিগের সঙ্গে বিবাদ করিত্বে চাহেন;—আমি বালিকা, দাসী এসকল কথা আমার বলা নিতান্ত অস্ত্যায়, কিন্তু বলিবার একটি অধিকার আছে । আপনি অনুগ্রহ করিয়া আমাকে ভাল বাসেন ।” নবাব বলিলেন, “ সেকথা সত্য ধ লনী—আমি তোমাকে তালৰাসি । তেী 硕1
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।