পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৪ চঞ্চল জগৎ । (বঙ্গদর্শন, ভtt, ১২৮০। সঙ্গে নয়নেক্রিয়েৰু সংস্পর্শে আলোক অমুভূত হয়। সেই প্রকার তাপীয় তরঙ্গসহিত ত্বগিন্দ্রিয়ের সংস্পর্শে তাপ অনুভূত করি। এই সকল আন্দোলন ক্রিয় মমুষ্যের ইন্দ্রি লোকরূপেই আমরা ইন্দ্রিয় কর্তৃক গ্রহণ করিতে পারি —অন্ত রূপে নহে। তবে এই আন্দোলন ক্রিয়ার অস্তিত্ব স্বীকার ক রিবার কারণ কি ? ইউরোপীয় বিজ্ঞানবি| | | দেরা তাহা স্বীকার করিবার বিশেষ কারণ নির্দেশ করিয়াছেন, কিন্তু তাহা এস্থল বর্ণনীয় নহে । পৃথিবীতলে আলোক সৰ্ব্বত্র দেখিতে পাই । অতি অন্ধকার অমাবস্যার রাত্রে, পৃথিবীতল একেবারে আলোকশূন্ত নহে। অতএব সৰ্ব্বত্ৰেই সৰ্ব্বদ। আলোকীয় অ|ন্দোলনের গতি বর্তমান । বিজ্ঞানবিদ্বেরা প্রতিপন্ন করিয়াছেন, যে আলোক, তাপ, এবং মাধ্যাকর্ষণ তিনটিই পরমাণুর গতি মাত্র। অতএব পৃথিবীর সকল বস্তুই আভ্যন্তরিক গতিবিশিষ্ট। যৌগিক আকর্ষণের বলে সেই সকল গতি সত্বেও কোন বস্তুর পরমাণু সকল বিস্রস্ত ও পৃথগভূত হয় না। পৃথিবীতলে এইরূপ। তারপর, পৃথিবীর বাহিরে কি ? পৃথিবী স্বয়ং অত্যন্ত প্রখর বেগ বিশিষ্ট, এবং অনন্তকাল আকাশমার্গে ধাবমান । পৃথিবীর অন্তান্ত গ্রহ উপগ্রহ প্রভৃতি যাহা সৌর জগতের অন্তর্গত তাহ ও পৃথিবীর স্থায় অবস্থাপন্ন সন্দেহ নাই। য়ের অগোচর—উহ। তাপরুপে এবং আ সেই সকল গ্রহ উপগ্রহে যে সকল পদাৰ আছে, তাহাও পার্থিবপদার্থের স্তায় সৰ্ব্ব, দা বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরিক গতি বিশি৯ জ্যেতিৰ্ব্বিদগণের দেীরবিক্ষণিক অনুসন্ধানে সে কথার অনেক প্রমাণ সংগৃহীত হই য়াছে । স্বৰ্য্য নামে যে বৃহৎ বস্তু এই সৌর জগতের কেন্দ্রীভূত, তাহ যেরূপ চাঞ্চল্যপূর্ণ তাহা মনুষ্যের অনুভব শক্তির অতীত। যে স্বৰ্য্যমণ্ডলের তাপ, আলোক, আকর্ষণ এবং বৈদ্যুতাদিকী শক্তি পৃথিবীস্থ গতি মাত্রেরই কারণ, সেই স্বৰ্য্যমগুলোপরে বা তদভ্যস্তরে যে নানাবিধ ভয়ঙ্কর এবং অদ্ভুত গতি নিয়ত বর্তিবে, তাহা বলা বাহুল্য। সেই চাঞ্চল্যের একটি উদাহরণ বঙ্গদর্শনের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংখ্যায় “আশ্চৰ্য্য সেৱোংপাত” নামক প্রস্তাবে বন্তি । হইয়াছিল । কিন্তু সুর্য্যোপরে এবং সুর্য্যগর্ভে যে নিয়ত গতির আধিপত্য, কেবল ইহাই নহে। স্বৰ্য্য স্বয়ং গতি বিশিষ্ট্র । বিজ্ঞানবিদেরা স্থির করিয়াছেন, যে স্বৰ্য্য স্বয়ং এই তাবৎ সৌরজগৎ সঙ্গে লইয়া প্রতি সেকেওে৪৮ মাইল অর্থাৎ ঘণ্টায় ১৭১০০ মাইল আকাশ ! পথে ধাবিত হইতেছে। এই ভয়ঙ্করবেগে এই পদার্থরাশি কোথায় যাইতেছে? কেই বলিতে পারে না কোথায় যাইতেছে। আকাশের একটি নাক্ষত্রিক প্রদেশকে ইউরোপীরের হরকুলিজ বলেন। " তন্মধ্যস্থলাড নামক নক্ষত্রাভিমুখেতি