পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बजक्4न, डा, ०९४° ।) দাড়ীর অধিকারিগণ অধ্যক্ হইয়া নাপিতানীকে দেখিতেছিল । একটা চরে শৈবলিনীর পীক হইতে ছিল—এখনও হিন্দুয়ানি আছে—একজন ব্রাহ্মণ পাক করিতেছিল । একদিনে কিছু বিবি সাজা যায় না । ফষ্টর জানিতেন যে শৈবলিনী যদি না পলায়, অথবা প্রাণত্যাগ না করে, তবে সে অবস্থা একদিন টেবিলে বসিয়া যবনের কৃত পাক, উপাদেয় বলিয়া ভোজনু করিবে—কিন্তু এখনই তাড়াতাড়ি কি? এখন তাড়াতাড়ি করিলে সকল দিক নষ্ট হইবে । এই ভাবিয়া ফষ্টর ভূত্যদিগের পরামর্শমতে শৈবলিনীর সঙ্গে ত্ৰাহ্মণ দিয়াছিলেন । ব্রাহ্মণ পাক করিতেছিল, নিকটে একজন দাসী দাড়াইয়া উদ্যোগ করিয়া দিতেছিল । নাপিতানী সেই দাসীর কাছে গেল, বলিল । “হা গা—তোমরা কোথা থেকে আ সচ গা?” চাকরাণী রাগ করিল—বিশেষ সে ইংরাজের বেতন খায়—বলিল, “তোর ভা fকরে মাগী—আমরা যেখান থেকে আসি না কেন? আমরা হিল্লী দিল্লী মক্কা থেকে আসচি ” নাপিতানী অপ্রতিভ হইয়া देनिन, "বলি তা নয়,—বলি আমরা নাপিত— তোমাদের নৌকায় যদি মেয়ে ছেলে কেহ কামায় তাই জিজ্ঞাসা করিতেছি ।” চাকরাণী একটু নরম হইল। বলিল, চন্দ্রশেখর ।

సిసిసి গেল যে তিনি আলতা পরিবেন কি না। যে কারণেই হউক, শৈবলিনী অন্তমনা হইবার উপায় চিন্তা করিতেছিলেন, বলিলেন, “আলতা পরিব।” তখন রক্ষকদিগের অনু মতি লইয়া, দাসী নাপিতানীকে নৌকার ভিতর পাঠাইয়া দিল। সে স্বয়ং পূৰ্ব্বমত পাকশালার নিকট নিযুক্ত রহিল। নাপিতানী শৈবলিনীকে দেখিয়া আর একটু ঘোমটা টানিয়া দিল। এবং তাহার একটি চরণ লইয়া আলতা পরাইতে লাগিল । শৈবলিনী কিরং কাল নাপিতানীকে নিরীক্ষণ করিয়া দেখিলেন। দেখিয়া দেখিয়া বলিলেন, “ নাপিতানী তোমার বাড়ী কোথা?” নাপিতানী কথা কহিল না । শৈবলিনী আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “নাপিতানী তোমার নাম কি?” তথাপি উত্তর পাইলেন না । “ নাপিতনী, তুমি কাদচ?” নাপিতানী মৃদু স্বরে বলিল, “ না।” “ই। কাচ ” বলিয়া শৈবলিনী নাঁপি

তানীর অবগুণ্ঠন মোচন করিয়া দিলেন।

নাপিতানী বাস্তবিক কাদিতেছিল। অবশুঠন মুক্ত হইলে নাপিতানী একটু হাসিল । শৈবলিনী বলিল, “আমি আসতে মাত্র চিনেছি, আমার কাছে ঘোমটা? মরণ আর কি! তা এখানে এলি কোথা হতে?” নাপিতানী আর কেহ নহে—সুন্দরী ঠাকুরঝি। সুন্দরী চক্ষের জল মুছিয়া "বাছা জিজ্ঞাসা করিয়া আসি।” এই | কহিল," শীঘ্ৰ যাও! আমার এই সাড়ী পর, ત્તિ সে শৈবলিনীকে জিজ্ঞাসা করিতে । ছাড়িয়া দিতেছি। এই অ্যলতার চুপত্নী