बन्नब4म, ङा, ०२८° ) " কমলাকাস্তের দপ্তর । ఫిం ( কমলাকাস্তের দপ্তর । অনেকে কমলাকাস্তকে পাগল বলিত। সাহেব দুই ঢারিট পয়সা ছড়াইয়া ফেসে কখন কি বলিত, কি করিত, তাহার লিয়া দিতেছেন । নীচে লিখিয়াদিল ৫যরিত ছিল না। লেখা পড়া না জানিত, থার্থ পে বিল।” অলঙ্কার স্বরূপ সাহে এমত নহে। কিছু ইংরাজি কিছু সংস্কৃত বের একটি লাঙ্গুল আঁকিয়া দিয়াছিল— ললিত। কিন্তু যে বিদ্যায় অর্থে পার্জন এবং হস্তে একটি মৰ্ত্তমান রন্তা দেখা যাইহইল না, সে বিদ্যা কি বিদ্যা? আসল তেছিল। সাহেব নুতন তরপে বিল দেখিয়া কথা এই, সাহেব স্থবোর কাছে যাওয়া কমলাকাস্তকে মানে মানে বিদায় দিলেন। আসা চাই। কত বড়ই মুখ, কেবল নাম কমলাকাস্তের চাকরি সেই পৰ্য্যন্ত। দস্তখত করিতে পারে—তাহারা তালুক অর্থেরও বড় প্রয়োজন ছিল না । কমলামুলুক করিল—আমার মতে তাহারাই প- কান্ত কখন দার পরিগ্রহ করেন নাই । ভিত। আর কমলাকস্তের মত বিধান, স্বয়ং যেখানে হয়, দুইটি অন্ন পাইলেই যাহারা কেবল কতক গুলা বহি পড়িয়াছে, : হইত। যেখানে, সেখানে পড়িয়া থাকিত। তাহারা আমার মতে গণ্ডমূর্থ। অনেক দিন আমার বাড়ীতেছিল। আমি কমলাকান্তের একবার চাকরি হইয়া- তাহাকে পাগল বলিয়া যত্ন করিতাম। কিন্তু ছিল। একজন সাহেব তাহার ইংরাজি ! আমিও তাহাকে রাখিতে পারিলাম না । কথা শুনিয়া, ডাকিয়া লইয়া গিয়া একটি সে কোথাও স্থায়ী হইত না। একদিন কেরাণীগিরি দিয়াছিলেন। কিন্তু কমলাকান্ত প্রাতে উঠিয়া, ব্রহ্মচারীর মত গেরুয়া বস্ত্র চাকরি রাখিতে পারিল না। আপিসে ; পরিয়া, কোথায় চলিয়া গেল। কোথায় গিয়া, আপিসের কাজ করিত না। সর- ; চলিয়া গেল, আর তাহকে পাইলাম না। কারি বহিতে কবিতা লিখিত--আপিসের সে এপর্য্যন্ত আর ফিরে নাই । টিপত্রের উপরে সেক্ষপীয়র নামক কে তাহার একটি দপ্তর ছিল। কমলাকা লেখক আছে, তাহার বচন তুলিয়া লিথিয়া ; স্তের কাছে চেড়া কাগজ পড়িতে পাইত ইখিত বিল বহির পাতায় পাতায় ছবি ; না; দেখিলেই তাহাতে কি মাথা মুণ্ড লিকিয়া রাখিত। একবার সাহেব তাহাকে থিত কিছু বুঝিতে পারা যাইত না। কখন গান্ধীবারের পে বিল প্রস্তুত করিতে বলিয়া | কখন আমাকে পড়িয়া শুনাইত—শুনিলে ছিলেন। কমলাকান্ত বিলবহি লইয়া,একটি আমার নিদ্ৰা আসিত। কাগজগুলি এক চিত্র আঁকিল, যে কতক গুলি নাগা ফ- . খানি মসীচিত্রিত, পুরাতন, জীর্ণ বস্ত্রখণ্ডে કિ.সাহেবের কাছে ভিক্ষা চাহিতেছে, বাধা থাকিত। গমন কালে, কমলাকান্ত
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।