ৰঙ্গশন, ভাং, ১৯৮৪।) মৃত মাইকেল মধুসুদন দত্ত। । ২০০৯
আজি বঙ্গভূমির উন্নতি সম্বন্ধে আর আ৷ - | বাঙ্গালা প্রাচীন দেশ। যাহারা ভূতত্ত্ব মরা সংশয় করি না—এই ভূমণ্ডলে বা - বেত্তাদিগের মুখে শুনেন যে বাঙ্গালা। স্নালি জাতির গৌরব হইবে। কেননা; নদীমুখনীত কৰ্দমে সম্প্ৰতি রচিত, তা বঙ্গদেশ রোদন করিতে শিথিয়াছে—; হারা যেন না মনে করেন, যে কালি পরশ্ব অকপটে বাঙ্গালী, বাঙ্গালী কবির জন্য হিমাচল পদতলে সাগরোৰ্ম্মি প্ৰহত হইত। রোদন করিতেছে। সেরাপ অনুমান শক্তি কেবল হুইলর
যে দেশে এক জন সুকবি জন্মে, সে; সাহেবের ন্যায় পণ্ডিতেরই শোভা পায়। দেশের সৌভাগ্য। সে দেশে সুকবি সশ! কিন্তু এই প্ৰাচীন দেশে, দুই সহস্ৰ বৎসর প্ৰাপ্ত হয়, সে দেশের আরও সৌভাগ্য। মধ্যে কবি একা জয়দেব গোস্বামী। যশ, মৃতের পুরস্কার-জীবিতের যথা- শ্ৰীহৰ্ষের কথা বিবাদের স্থল—নিশ্চয়স্থল যোগ্য যশ: কোথায়? প্ৰায় দেখা যায়, { হইলেও শ্ৰীহৰ্ষ বাঙ্গালী নহেন। জয়দেব যিনি যশের পাত্ৰ, তিনি জীবিতকালে; গোস্বামীর পর শ্ৰীমধুসূদন। যশস্বী নহেন; যিনি যশের অপাত্ৰ, তিনি; যদি কোন আধুনিক ঐশ্বৰ্য্য-গৰ্ব্বিত ইউ জীবিতকালে যশস্বী। সক্ৰেতি এবং রোপীয় অামাদিগের জিজ্ঞাসা করেন যীশু শ্ৰীষ্টের দেশীয়রা, তঁহাদিগকে অপ-! তোমাদের আবার ভরসা কি?—বাঙ্গালির মান করিয়া প্ৰাণদণ্ড করিয়া ছিল। [ মধ্যে মনুষ্য জন্মিয়াছে কে? আমরা বলিব কোপরনিকস, গেলিলীয়, দান্তে, প্রভৃতির | ধৰ্ম্মোপদেশকের মধ্যে শ্ৰীচৈতন্য দেব দুঃখ কে না জানে? আবার হেলি, সিও … | দাৰ্শনিকের মধ্যে রঘুনাথ, কবির মধ্যে য়াৰ্ড প্ৰভৃতি মহাকবি বলিয়া খ্যাত হইয়াত্ || শ্ৰীজয়দেব, ও শ্ৰীমধুসূদন। ছিলেন। এ দেশে, আজিও দাশরদি | স্মরণীয় বাঙ্গালির অভাব নাই। কুলুক রায়ের একটু যশ আছে। যে দেশের ৷ ভট্ট, রঘুনন্দন, জগন্নাথ, গদাধর, জগদীশ শ্ৰেষ্ঠ কবি যশস্বী হইয়া জীবন সমাপন | বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, গোবিন্দদাস, মুকুন্দ করেন, সে দেশ প্ৰকৃত উন্নতির পথে দা- | রাম, ভারতচন্দ্ৰ, রামমোহন রায়, প্ৰভৃতি ইয়াছে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত, যে | অনেক নাম করিতে পারি। অবনতাবস্থায় যশস্বী হইয়া মরিয়াছেন, ইহাতে বুঝা যায়, ও বঙ্গমাতা রত্নপ্ৰসবিনী। এই সকল | … বাঙ্গালা দেশ উন্নতির পথে দাড়াই- নামের সঙ্গে মধুসূদন নামও বঙ্গদেশে ধন্য হইল! কেবলই কি বঙ্গদেশে? | মাছে