বজাৰ্ণম, তা, ১২৮• ) ? প্রাপ্তগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচনা । শাস্ত্রবিদ পণ্ডিতেরা তাহার পরিশ্রমের পুরস্কার করিবেন। বাঙ্গালা ভাষা ও বাঙ্গালা সাহিত্য দ্বিতীয় ভাগ । ত্রীরামগতি স্থাসুরত্ব প্রণীত । হুগলী । ইহার প্রথম খণ্ড বঙ্গদর্শনে সমালোচিত হইয়াছিল। দ্বিতীয় খণ্ডের সমালোচনায় আমরা অক্ষম । গ্রস্কের ১৭০ পৃষ্ঠায় 3 - কার ষােহ বলিয়াছেন, তাহার অর্থ এই ; “যদি বঙ্গদর্শনের দ্যায় কোন সমালোচক আমার গ্রন্থের প্রশংসা করেন ভালই । আর যদি অপ্রশংসা করেন, তবে বুঝিব যে-সম্পাদকের গ্রন্থেরু সস্তবাতিরিক্ত প্ৰ শংসা করি নাই, বলিয়াই তিনি আমাদের গ্রন্থের অপ্রশংসা করিয়াছেন ।” স্থায়রত্ন মহাশয বঙ্গদর্শনের সম্পাদকের গ্রন্থ নিচয়ের যেপরিমাণে প্রশংসা করিয়া- . ছেন, আমাদের বোধ হয় উক্ত লেখক তাহা রওযোগ্য নহেন, এবং তজ্জন্ত তিনি দ্যায়রত্ন মহাশয়ের নিকট কৃতজ্ঞ সন্দেহ নাই । বশেষ স্থায়রত্ন এই বঙ্গদর্শনকেও অনুগ্রহ করিয়া, “ মন্দ নহে” বলিয়াছেন, এবং কালে ভালও বলিতে পারেন, এমন অল্প ভরসা দিয়াছেন । এই উপকার প্রাপ্তি বশতঃ আমরা স্থায়রত্ন মহাশয়ের গ্রন্থের সমালোচনায় পরায়ুখ। যদি আমরা এ গ্রন্থের প্রশংসা করি, লোকে বলিবে বঙ্গদর্শন প্রত্যুপকারী মাত্ৰ—যদি অপ্রশংসা ীি, স্থায়রত্ন মহাশয় বলিৰেন যে সম্ভবা ক্তি প্রশংসার যে জাকাজার আমি ༢༠ང་ | শঙ্কা করিয়াছিলাম, এ তাহার পরিচয় । হায়রত্ন মহাশয় যে অত্যন্ত সুপণ্ডিত তাহ সকলেই জানে,—তিনি যে সুচতুর এই কৌশল তাহার প্রমাণ । ’ বস্তুতঃ এ কেবল কৌশল নহে। ১৭০ পৃষ্ঠায় তিনি স্পষ্টই পরিচয় দিয়াছেন যে তিনি সমালোচকদিগের ভয়ে বিশেষ ভীত। আমরা তাহাকে বিশেষ শ্রদ্ধা করি, অতএব তাছার প্রতি পক্ষপাতী হইয়া আপন কৰ্ত্তবানুষ্ঠানে বিরত হইলাম। কেন না যদি আমরা টহার সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইতাম, তবে আমরা অপ্রশংসা করিতেই বাধ্য হইতাম। গ্রন্থ কারের সহিত প্রায় কোথাও আমাদের মতের ঐক্য নাই । আমাদিগের বিবেচনায় উল্লিখিত “ভূতত্ত্ব বিচার” ভিন্ন এই রূপ ভ্রান্তি পরিপূর্ণ গ্রন্থ আমরা অল্পই দেখিয়াছি। প্রাচীন সং স্কার গুলির রক্ষা, উভয় গ্রন্থের উদ্দেশ্য । সম্প্রদায় বিশেষের নিকট উভয় গ্ৰন্থই বিশেষ প্রশংসিত হইবে । যদিও আমরা এ গ্রন্থের প্রকৃত সমালোচনা করিব না, তথাপি উল্লিখিত ভ্রান্তির একটা উদাহরণ দিতে হইল, কেন না সে কথার জন্য মনুষ্য জাতি মিলিয়া ন্যায়রত্ন । মহাশয়ের নামে মিথ্যাপরাধের নালিশ করিতে পারে, এবং রোশেফুকল নরক হইতে উঠিয়া আসিয়া চুরির নালিশ করিতে পারে। তিনি একস্থানে লিখিয়া ছেন, যে ।
“মনুষ্য জাতির স্বভাব র্যাহারা উত্তম | রূপে পর্য্যালোচনা করিয়াছেন, র্তাহারা