अध्r***, भषि, भ२•• ।) ' জ্ঞানদাস । সাহিত্য সম্বন্ধে ইংলণ্ডের গৌরবের কাল এলিজাবেথ ও জেমসের সময় । অনেকে বলেন, লুথর কুত ধৰ্ম্মবিপ্লবের ফলে তৎকালীন সাহিত্যের এত উৎকর্ষ জন্মিয়াছিল। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগকে ইউরোপীয় সাহিত্যের একটা উৎকৃষ্ট সময় বলা যাইতে পারে। অনেকে তৎকালীন সহিত্যের উন্নতিকে ফরাশী রাজবিপ্লবের ফল বিবেচনা করেন। ফরাণী রাজবিপ্লব, কেবল রাজকীয় বিপ্লব নহে—ধৰ্ম্মবিপ্লবও বটে। তবে কি ধৰ্ম্মবিপ্লবে সাহিত্য স্বস্ট হয়? ধৰ্ম্মের সঙ্গে সাহিত্যের সেরূপ নিকট সম্বন্ধ নহে । কিন্তু মানব হৃদয়ের বন্ধনমুক্ত হইলে, তাহার গতি বেগবতী হয়। ধৰ্ম্মের উৎসাহে হৃদয় চঞ্চল হইলে হৃদয়ের গতি বেগবতী হয় । সামাজিক • হৃদয়ের গতি বেগবতী হইলে, উৎকৃষ্ট সাহিত্যের স্বষ্টি হয়। অতএব ধৰ্ম্মবিপ্লবের ফলে কখন কখন উৎকৃষ্ট সাহিত্যের উদয় হইয়া থাকে । চৈতন্যদেবের ধৰ্ম্মবিপ্লবের ঐরূপ ফল ফলিয়াছিল। বৈষ্ণব সম্প্রদায় কর্তৃক যে বহু গ্ৰন্থযুক্ত সাহিত্য শাস্ত্র হুঃ হইয়াছে, তাহা অনেকে অবগত নহেন । বৈষ্ণুর গ্রন্থকার সম্প্রদায়, বহুসখ্যক— তন্মধ্যে অনেকে সুপণ্ডিত, এবং সুলেখক । গীয়ার ন্যায়শাস্ত্র, বৈষ্ণবদিগের সাহিত্য, "ালার ব্যবস্থাশয়, এবং আধুনিকী *क, ७ई क्रांत्रिी बांत्रनिब cओब्रद! -- حیاتشتتر حسیست-ح" TiAeeiAeA AAA 할 জ্ঞানদাস । বৈষ্ণব সাহিত্য বলিতে কেবল চৈতন্তদেবের পরবর্তী গ্রন্থ বুঝায়, এমত নহে। গীতগোবিন্দাদি বৈষ্ণব গ্রন্থ বটে, কিন্তু, চৈতন্যদেবের বহুপূৰ্ব্বে লিখিত । চৈতন্যদেবের পূর্ববর্তী সংস্কৃত ও বাঙ্গালী বৈষ্ণব কাব্য সকলের বাহুল্য দেখিয়া বোধ হয়, কৃষ্ণ ভক্তি চৈতন্যদেবের পূৰ্ব্বেই বাঙ্গালায় বিশেষরূপে প্রচলিত ছিল। কিন্তু অধিকাংশ বৈষ্ণব গ্রন্থ চৈতন্যদেবের পরবর্তী। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে কতকগুলি কবি সংস্কৃতে, কতকগুলি ভাষায় লিখিয়াছেন। যাহারা সংস্কৃতে লিখিয়াছেন, তাহাদিগের গ্রন্থাবলীর বৃত্তান্ত, পণ্ডিতবর প্রযুক্ত বাবু রামদাস সেন, বঙ্গদর্শনে প্রকাশ করিতেছেন। যাহারা ভাষায় লিখিয়াছেন, তাহার ংস্কৃত লেখকদিগের অপেক্ষায়, পাণ্ডিত্যে লঘু হইতে পারেন, কিন্তু কবিত্বে নহেন। কয়েকজন বৈষ্ণব কবি কেবল ভাষায় । গীত প্রণয়ন করিয়াছেন। বৈষ্ণবেক্স সেই গীতগুলিকে “ মহাজনি পদ” বলেন। বঙ্গদেশে কীৰ্ত্তন বলিয় তাহা অদ্যাপি গীত হইয়া থাকে—কিন্তু কদৰ্য্য “ ঢপের” । প্রভাবে, সে সকলের তাদৃশ প্রাদুর্ভাব নাই । কদাচিৎ যাত্রাকরেরা ঐ সকল ! পদ গীত করে, তজ্জন্ত উহার প্রতি অনেকের অভক্তি । . যাহার প্রতি আমাদের ঘৃণা আছে, সে যাহা করে, সে কাৰ্য্য উত্তম হইলেও তাহার প্রতি আমাদের ঘৃণা হয়। কুপথ- |
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।