| | | 8७० সৰ্শতাব দিতেছিল । এই আমাদের বিয়ে ।” চজশেখর । (नअत्र~'म, मf ॐ, » २४ ● । সে রূপরাশি অমূল্য বলিয়া তুলিয়া লইয়া আসিবে ? শৈবলিনীর জ্ঞান জন্মিতে লাগিল। বুঝিল যে প্রতাপ ভিন্ন পৃথিবীতে সুখ নাই। বুঝিল, এ জন্মে প্রতাপকে পাই বার সম্ভাবনা নাই । দুই জনে পরামর্শ করিতে লাগিল । অনেক দিন ধরিয়া পরামর্শ করিল। গোপনে গোপনে পরামর্শ করে, কেহ জানিতে পারে না । পরামর্শ ঠিক হইলে, দুই জনে গঙ্গাস্নানে গেল। গঙ্গায় অনেকে প্রতাপ বলিল, আয় শৈবলিনি। সাতার দিই। দুই জনে সীতার দিতে আরম্ভ করিল। সন্তরণে দুই জনেই পটু-তেমন সাতার দিতে গ্রামের কোন ছেলে পারিত না । বর্ষাকাল— কুলে কুলে গঙ্গার জল—জল ছলিয়া দুলিয়া, নাচিয়া নাচিয়া, ছুটিয়া ছুটিয়া, যাই তেছে। দুই জনে সেই জলরাশি ভিন্ন করিয়া, মথিত করিয়া, উৎক্ষিপ্ত করিয়া, সীতার দিয়া চলিল; ফেণ চক্রমধ্যে, স্বনার নবীন বপুদ্বয়, রজতাঙ্গুরীয় মধ্যে রত্নযুগলের দ্যায় শোভিতে লাগিল । সীতার দিতে দিতে ইহারা অনেক দূর গেল দেখিয়া ঘাটে যাহারা ছিল, তাহার। ডাকিয় ফিরিতে বলিল । বালক বালিকা শুনিলনা—চলিল । আবার সকলে ডাকিল—তিরস্কার করিল–গলি দিল— দুই জনে কেহ শুনিলনা, চলিল। অনেক দূরে গিয়া প্রতাপ বলিল, “ শৈবলিনি, শৈবলিনী বলিল, “ আর কেন—এই খানেই ।” প্রতাপ ডুবিল। শৈবলিনী—ডুবিল মা । সেই সময়ে শৈবলিনীর ভয় হইল। মনে ভাবিল— কেন মরিব? প্রতাপ আমার কে ? আমার ভয় করে, আমি মরিতে পারিব না। শৈব লিনী ডুবিল না—ফিরল। সস্তরণ করিয়া কুলে ফিরিয়া আসিল । যেখানে প্রতাপ ডুবিয়াছিল, তাহার অনতিদূরে একখানি পানী বাহিয়া যাইতেছিল। নৌকারোহী একজন দেখিল, প্রতাপ ডুবিল। সে লাফদিয়া জলে পড়িল। নেীকারোহী, চন্দ্রশেখর। চন্দ্রশেখর সন্তরণ করিয়া প্রতাপকে ধরিয়া নৌকায় উঠাইলেন। তাহার বিহিত করিয়া তীরে নৌকা লাগাইলেন। সঙ্গে করিয়া প্রতাপকে তাহার গৃহে রাখি তে গেলেন । প্রতাপের মাতা ছাড়িল না । চন্দ্রশেথরের পদপ্রান্তে পতিত হইয়া সে দিন র্তাহাকে আতিথ্য স্বীকার করাইল । চন্দ্রশেখর ভিতরের কথা কিছু জানিলেন না। শৈধলিনী আর প্রতাপকে মুখ দেখাইল না । কিন্তু চন্দ্রশেখর তাহাকে দেখিলেন। দেখিয়া বিমুগ্ধ হইয়া, আপনার ব্রত-ভঙ্গ করিয়া, আপনি ঘটক হইয়া, তাহাকে বিবাহ করিয়া লইয়া গেলেন । চন্দ্রশেখর প্রতাপের দুইটি উপকার করিলেন। প্রথম, ঘটকালী করিয়া
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।