بسیجیجیجی جی جیبیسی too ৰঙ্গ দশম, মৰি, ১২৮• ) না। স্থখ থাকে না, কিন্তু দুইটি অস্থ । খের কারণ জন্মে; প্রথম, অভ্যস্ত বস্তুর ভাবে সুখ না হউক, অভাবে, গুরুতর অমুখ হয় ; এবং অপরিতোষণীয়া আকাজার বৃদ্ধিতে যন্ত্রণা হয়। অতএব পৃথিবীতে যে সকল বিষয় কাম্য বস্তু বলিয়া চিরপরিচিত, তাহা সকলই অতৃপ্তিকর, এবং হঃখের মূল সকল স্থানেই যশের অনুগামিনী নিন্দা; ইন্দ্রিয়সুখের অমুগামী রোগ; ধনের সঙ্গে ক্ষতি ও মনস্তাপ; কান্ত বপু জরাগ্রস্ত বা ব্যাধিতুষ্ট হয়; স্বনামেও মিথ্যা কলঙ্ক রটে; ধন, পত্নীজারে ও ভোগ করে ; মান সন্ত্রম, মেঘমালার স্তায় শরতের পর আর থাকে না। বিদ্যা, তৃপ্তিদায়িনী নহে; কেবল অন্ধকার হইতে গাঢ়তর অন্ধকারে লইয়া যায়; এ সংসারের তত্ত্ব জিজ্ঞাসা কখন নিবারণ করে না; স্বীয় উদ্দেশু সাধনে বিদ্যা কখন সক্ষম হয় না । কখন শুনিয়াছ কেহ বলিয়াছে, আমি ধনোপার্জন করিয়া সুখী হইয়াছি, বা আমি যশস্বী হইয়া সুখী হই য়াছি? যেই এই কয় ছত্ৰ পড়িবে, সেই বেশ করিয়া স্মরণ করিয়া দেখুক, কখন এমন শুনিয়াছে কি না। আমি শপথ করিয়া বলিতে পারি, কেহ এমত কথা কখন শুনে নাই। ইহার অপেক্ষা ধন মানদিয় অকার্যকারিতার গুরুতর প্রমাণ আর কি পাওয়া যাইতে পারে ? বিশ্বরের বিষয় এই, যে এমন অকাট্য প্রমাণ থাকিতেও মনুষ্য মাত্রেই তাহার জন্ত প্রাণপাত্ত করে । এ কেবল কুশিক্ষার গুণ । ம்ம কমলাকান্তের দপ্তর। 8ፃ¢ মাতৃস্তন্ত দির সর্বসারবত্তায় বিশ্বাস শিশুর হৃদয়ে প্রবেশ করিতে থাকে—শিশু দেখে রাত্রদিন, পিতা মাতা ভ্রাতা ভগিনী গুরুভূত্য প্রতিবেশী শত্রুমিত্র সকলেই প্রাণ পণে হা অর্থ, হা যশ, তা মান, হা অন্ন, হী রূপ, করিয়া বেড়াইতেছে । শিশু অক্ষুটবাক্যাবস্থাতেই সেই পথে গমন করিতে শিখে। কবে মনুষ্য নিত্য মুখের । একমাত্র মূল অনুসন্ধান করিয়া দেখিবে? যত বিদ্বান, বুদ্ধিমান, দার্শনিক, সংসার তত্ত্ববিৎ, যে কেহ আম্ফালন কর, সকলে মিলিয়া দেখ, পরসুখবৰ্দ্ধন ভিন্ন মঙ্গুষ্যের অন্ত সুপের মূল আছে কি না? নাই । আমি মরিয়া ছাই হইব,আমার নাম পৰ্য্যন্ত লুপ্ত হইবে, কিন্তু আমি মুক্তকণ্ঠে বলিতেছি একদিন মনুষ্য মাত্রে আমার এই কথা বুঝিবে, যে মমুয্যের স্থায়ী মুখের অন্ত মূল নাই ! এখন যেমন লোকে, উন্মত্ত হইয়া ধন মান ভোগাদির প্রতি ধাবিত হয়, এক । দিন মনুষ্যজাতি সেইরূপ উন্মতু হইয়া পরের সুখের প্রতি ধাবমান হইবে । , আমি মরিয়া ছাই হইব, কিন্তু আমার এ আশা একদিন ফলিবে! ফলিবে, কিন্তু কত । দিনে! হয়, কে বলিবে, কত দিনে । কথাটি প্রাচীন । শিখাইয়াছেন । ছন্ধের সঙ্গে সঙ্গে ধন মানা সুতরাং : সাৰ্দ্ধ দ্বিসহস্ৰ বৎসর । পূৰ্ব্বে, শাক্য সিংহ এই কথা কত প্রকারে ' বলিয়া গিয়াছেন । তাহার পর, শত সহস্ৰ । লোক শিক্ষক শত সহস্রবার এই শিক্ষা : কিন্তু কিছুতেই লোকে : শিখে ন!—কিছুতেই আত্মাদরের ইন্দ্রজাল ।
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।