AAAAAASAAAA جسسجيكي বঙ্গদর্শঙ্গ, ফts, ১২৮• 1) ج. تعتضميـع مـســــــــصاصمه ---= ভারতবর্ষের সঙ্গীত-শাস্ত্র । 8నvరి অধ্যাপক ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী প্রণীত সংগীতসার প্রথম গ্রন্থ, ইহার পূৰ্ব্বে বহুকাল হইল পদ্যে মৃত কবি রাধামোহন সেন *সংগীত তরঙ্গ” প্রকাশ করিরাছিলেন, তাহাতে সংস্কৃত ও পারস্য গ্ৰন্থ হইতে সংগীত সম্বন্ধীয় অনেক বিবরণ সঙ্কলিত হইয়াছে। গ্ৰন্থখানির কবিতাগুলিও সুমধুর এবং অনেকগুলি সস্থাৰ পূৰ্ণ গীতও আছে কিন্তু উহা সংগীত শিক্ষার উপযোগী হয় নাই। সংগীতসার অভিনব প্রণালীতে সঙ্কলিত, প্রথমে সংগীত সম্বন্ধীয় নানা জ্ঞাতব্য বিবরণ, তৎপরে নান রাগ রাগিণীর স্বরলিপি তাহতে তিন সপ্তকের মধ্যে সাঙ্কেতিক চিহ্ন দিয়া এক একটী রাগিণীর সারিগম লিখিত আছে । ইহাতে সহজে কণ্ঠে ও যন্ত্রে রাগাদি শিক্ষা করা যাইতে পারে। প্রথম শিক্ষার জন্য গ্ৰন্থখানি ভাল হইয়াছে বলিতে হইবেক । আমরা গোস্বামী মহাশয়কে রাগালাপের একখানি বিস্তারিত গ্রন্থ লিখিতে অনুরোধ করি, তাহা প্রকাশ হইলে সকলেই সাদরে এক২ খণ্ড গ্রহণ করিবেন। শ্ৰীযুক্ত বাবু শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর মহোদয় যন্ত্র ক্ষেত্র দীপিকা নামক সেতার শিক্ষার একখানি বৃহৎ গ্রন্থ সঙ্কলন করিয়াছেন, ইহাতে সেতার শিক্ষার বহুবিধ প্রণালীর স্বর লিপি আছে। কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেতার শিক্ষণ একখানি অভিনব গ্রন্থ । এখানি ইউরোপীয় প্রণালীতে সঙ্কলিত । স্বর লিপির “ গৎ” সমূহ, হাৰ্ম্মোনিয়ম ও “পিয়ানো” বস্ত্রে ংগীত প্রিয় শ্ৰীযুক্ত বাৰু অতি সহজে বাজাইতে পারা যায়। কৃষ্ণ ধন বাবু ইউরোপীয় সংগীত যে উত্তমরূপ : শিক্ষা করিয়াছেন, তাহা এই গ্রন্থ দৃষ্টে বিলক্ষণ প্রতীত হইতেছে। এই গ্রন্থের তালাধ্যায় অতি বিশদ হইয়াছে, তার সহজে প্রচলিত তালগুলি শিক্ষা করা যাইতে পারে। ত্রযুক্ত বাবু নবীনচন্দ্র দত্ত কত সংগীত রত্নীকর নামক আর একখানি গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছে। এখানিও সংগীত শিক্ষোপযোগী গ্রন্থ। আজি কালি কলিকাতায় ঐকতান বা দনের অনেকে প্রশংসা করিয়া থাকেন কিন্তু ইহাতে বিশুদ্ধ সংগীতবিদ্যার কোন উন্নতি হইতেছে না, তবে অল্পক্ষণ সিন্ধু, কাফী, খাম্বাজ ও মিশ্র সামান্য রাগিণীর * গান ভাঙ্গা গৎ’ অর্থাৎ কোন প্রচলিত গানের সুরে “ গৎ’ নানা যন্ত্র সহযোগে ভাল লাগে মাত্র । প্রথমে পাথুরিয়া ঘাটার নাট্যামোদী মহোদয়গণ কর্তৃক সংগীত পাঠশালা সংস্থাপিত হয়, তৎপরে কিয়ৎকালের মধ্যে কয়েকটী তাহার শাখা পাঠশালা স্থাপিত হইয়াছে শুনিয়া অতীব সুখী হইলাম। এই ংবাদে সংগীত প্রিয় ব্যক্তি মাত্রেই আমাদিগের ন্যায় সুখী হইবেন। এ সময় সংগীতের উন্নতি করিতে যিনি চেষ্টা করিবেন তিনিই আমাদিগের ধন্যবাদের পাত্র, কিন্তু কেহ কেহ সাময়িক পত্রে সংগীত শাস্ত্রের তর্ক করিবার ভান করিয়া কোন সম্প্রদায় বা কোন মান্য ব্যক্তিকে গালি বর্ষণ করিতেছেন দেখিয়া অত্যন্ত পরি |
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।