সন্ধান করিয়া, ভিতর হইতে এক একটি তাবটানিয়াআনিয়া,একেই গণনা করিয়া, সারি দিরা সাজান নাই। অথচ কে না বলিৰে যে রামের মুখে যে দুঃখ ভবভূতি ব্যক্ত করিয়াছেন, তাহার সহস্ৰগুণ দুঃখ সেক্ষপীয়র ওথেলোর মুখে ব্যক্ত করাইয়া ছেন ? সহজেই অনুমেয় যে যাহা ব্যক্তব্য তাহ পরসম্বন্ধীয়, বা কোন কার্য্যোদিষ্ট, যাহা অব্যক্তব্য তাহা আত্মচিত্ত সম্বন্ধীয়; উক্তি মাত্র তাহার উদ্দেশু। এরূপ কথা যে কবারে সন্নিবেশিত হইতে পারে চল এমত নহে, বরং অনেক সময়ে হওয়া আবশ্যক। কিন্তু ইহা কখন নাটকের উদ্দেশ্য হইতে পারে না । নাটকের যাহা উদ্দেশু, তাহার আনুষঙ্গিকতা বশতঃ প্রয়োজন মত কদাচিৎ সন্নিবেশিত হয় । আত্মচিত্ত সম্বন্ধীয়, উক্তিমাত্রোদিষ্ট, অব্যক্তব্য কথা, যাহা গীতিকাব্যের আত্মা, তাহার উদাহরণ স্বরূপ, অবকাশরঞ্জিনী মধ্যগত “পিতৃ হীন যুবক” ইত্যভিধেয় কাব্য হইত্ত্বে কিঞ্চিৎ নিয়ে উদ্ধৃত করিলাম। “যামিনীর স্বমধুর মুগুরনিকণ ঝিল্লিরবে ভাসিতেছে দিগ দিগন্তর, পাখার প্রহারশা করিছে কখন ভগ্ন-নিদ্র পক্ষিগণ বৃক্ষের উপর। কলকল রবে গঙ্গণ সাগরসদন যাইতেছে, অন্ধকারে ঢাকিয়া বদন । SAASAASAASAASAAAS জীবন, পবন, এবে উত্তরে অচল, নিদ্রিত ধরায় আর নাহি বহে শ্বাস, একটী পল্লব নাহি করে টল মল, একটা ফুলের নাহি স্বরতি নিশ্বাস। নিদ্রার কোমল ক্রোড়ে করিয়া শয়ন দিবসের শ্রম নর জুড়ায় এখন। কণ্টকশয্যায় যদি রাখি কলেবর, চিন্তানলে জলি, ভাসি নয়নের নীরে; ঝরিয়াছে এক বিন্দু, ঝরিবে অপর, এই অবসরে নিদ্রা নয়ন মন্দিরে প্রবেশেন যদি, তবে আইসে সঙ্গিনী যাতনিতে অভাগায় স্বল্প কুহকিনী। মায়া বলে পাপিয়সী ফিরায়ে কখন মানস তরণী মম, জীবনের স্রোতে, লয়ে যায় যথা, আহা ! শৈশবে যখন কেলিমু মনের সুখে; সাগর কপোতে খেলে যেই মতে শাস্ত সুনীল সাগরে, প্রসারিয়া পক্ষপুট জলধি উপরে। সৌভাগ্যের পূর্ণ জ্যোতিঃ শৈশবে আমার, খেলাইত যেই মতে উৰ্ম্মিমালাসনে, . নব জীবনের জলে, চুম্বি অনিবার আশার মুকুল শত সোণার কিরণে; দেখাইয় গত স্বখ চিত্র মনোহর, হাসায় এ চিত্তাক্লান্ত বিষন্ন অন্তর। কিন্তু কি সুখের তরে, চিত্ত দ্রব-করি গৃহরূপ রঙ্গভূমে ফিরিব আবার? দশমীতে ব্যোমকেশ, ত্ৰিদশ ঈশ্বরী সহ গেলে স্বৰ্গপুরে; করিয়া আঁধার
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।