.প্রতাপ যদি পলাইল, তবে রামচরণের | মুক্তি সহজেই ঘটিল। রামচরণ ইংরেজের নৌকায় বন্দীভাবে ছিল না । তাহারই গুলিতে যে ফষ্টরের আঘাত ও শান্ত্রির নিপাত ঘটিয়াছিল তাহ কেহ জানিত না। তাহাকে সামান্য ভূত্য বিবেচনা করিয়! দিব, কিন্তু তোমাতে আমাদের কোন | अल्बाबन নাই। তুমি যেখানে ইচ্ছ। যাইতে পার।” শুনিয়া রামচরণ সেলাম করিয়া যুক্তকরে বলিল, “আমি চাসা গোয়ালা—কথা জানি না—রাগ করিবেন না— আমার সঙ্গে আপনাদের কি কোন সম্পর্ক আছে ?? আমিয়টকে কেহ কথা বুঝাইয়া দিলে, আমিয়ট জিজ্ঞাসা করিলেন, “ কেন?” র। । ‘নহিলে আমার সঙ্গে তামাসা করিবেন কেন?” আমিয়ট । “কি তামাসা ?” রা। “ আমার পা ভাঙ্গিয়া দিয়া, যে খানে ইচ্ছা সেখানে যাইতে বলায়, বুঝায় যে আমি আপনাদের বাড়ী বিবাহ করিয়াছি। আমি গোয়ালারছেলে, ইংরেজের ভগিনী বিবাহ করিলে আমার জাতষাবে।” চন্দ্রশেখর । ' )۹w۴-fa, هt:, به د • চন্দ্রশেখর । সপ্তবিংশতিতম পরিচ্ছেদ। দ্বিভাষী আমিয়টকে কথা বুঝাইয়া দিরামচরণের মুক্তি । লেও তিনি কিছু বুছিতে পারিলেন না। মনে ভাবিলেন, এ বুঝি একপ্রকার এদেশী খোষামোদ । মনে করিলেন, যেমন নেটবেরা খোষামোদ করিয়া, “মা বাপ” “ভাই” এইরূপ সম্বন্ধস্থচক শব্দ ব্যবহার করে, রামচরণ সেইরূপ খোষামোদ করিয়া র্তাহাকে সম্বন্ধী বল্লিতেছে । আমিয়ট নিতান্ত অপ্রসন্ন হইলেন না । জিজ্ঞাসা করিলেন, “ তুমি চাও কি?” রামচরণ বলিল, “আমার পূ জোড়া দিয়া দিতে হুকুম হউক ৷” আমিয়ট হাসিয়া বলিলেন, “ আচ্ছা তুমি কিছুদিন আমাদিগের সঙ্গে থাক,ঔষধ দিব יין রামচরণ তাহাই চায়। প্রতাপ বন্দী হইয়া চলিলেন, রামচরণ তাহার সঙ্গে থাকিতে চায়। সুতরাং রামচরণ ইচ্ছাপূৰ্ব্বক অামিয়টের সঙ্গে চলিল । সে কয়েদ রহিল না । যেরাত্রে প্রতাপ পলায়ন করিল, সেই রত্রে রামচরণ কাহাকে কিছু না বলিয়া নৌকাহইতে নামিয়া ধীরে ধীরে চলিয়া গেল। গমন কালে, রামচরণ অস্ফুট স্বরে ইণ্ডিলমিণ্ডিলের পিতৃ মাতৃ ভগিনী স স্বন্ধে অনেক নিন্দাহুচক কথা বলিতে বলিতে গেল । =*ബങ്ക ള്ള==ജ്ജണ്
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।