| «ew সুবর্ণ গোলক । ( बन्नब*म, छज्ज, s२४० কর, আমি মুনিব, সে আজ না কাল? যতদিন আমার বয়স আছে ততদিন এই সম্পর্কই থাকিবে। এখন জল খাও।” কালীকান্ত মনে করিল, “ বাবা, এর কথার ভাব যে কেমন কেমন । আমাদের বাবু যে একটা গেছে মেয়ের হাতে পড়েছেন দেখতে পাই! তা, আমার সরাই ! ভাল ।” এই ভাবিয়া কালীকান্ত পুনৰ্ব্বার ভক্তিভাবে প্রণাম করিয়া পলাইবার উদ্যোগ করিতেছিলেন, দেখিয়া কামসুন্দরী আসিয়া তাহার গাত্রবস্ত্র ধরিল, বলিল, “ওরে আমার সোণার চাদ । আমার | সাত রাজার ধন এক মাণিক! আমার | কাছে থেকে আর পলাতে হয় না।” এই বলিয়া কামসুন্দরী স্বামীকে আসনের দিগে টানিতে লাগিল । কালীকান্ত আন্তরিক কাতরতার সহিত হাত যোড় করিয়া বলিতে লাগিল, “ দোহাই বৌঠাকুরাণী, আপনার সাত দোহাই —আমাকে ছাড়িয়া দিন—আপনি আমার স্বভাব জানেন না—আমি সে চরিত্রের লোক নই।” কামসুন্দরী হাসিয়া বলিল, “তুমি যে চরিত্রের লোক আমি বেশ জানি—এখন জল থাও ” 鬱 কালীকান্ত বলিল, “যদি আপনার কাছে কেহ আমার এমন নিন্দ করিয়া থাকে, তবে সে ঠক—ঠকাম করিয়াছে। আপনার কাছে হাতযোড় করিতেছি, আপনি আমার গুরুজন—আমায় ছাড়িয়া . नि ।” goss ബ কামম্বন্দরী রসিকতাপ্রিয়, মনে করিল, বিনাপরাধে নিন্দিতা ও ভৎসিত হইয়া যে এএকতর নূতনরসিকতা বটে। বলিল, “প্রাণাধিক, তুমি কত রসিকতা শিখিয়া আসিয়াছ, তাহা বুঝা যাইবে।” এই বলিয়া স্বামীর দুই হস্ত ধারণ করিয়া আসনে বসাইবার জন্য টানিতে লাগিল । হস্তধারণ মাত্র, কালীকান্ত সৰ্ব্বনাশ হইল মনে করিয়া “ বাবারে, গেলামরে, এগোরে, অামায় মেরে ফেল্পেরে’ বলিয়া চীৎকার আরম্ভ করিল। চীৎকার গুনিয়া গৃহস্থ সকলে ভীত হইয়া দৌড়াইয়া আইল। মা, ভগিনী, পিসী প্রভৃতিকে দেখিয়া, কামসুন্দরী স্বামীয় হস্ত ছাড়িয়া দিল। কালীকান্ত অবসর পাইয়া, উর্দুশ্বাসে পলায়ন করিল। 参 গৃহিণী কামসুন্দরীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি লা কামী—জামাই আমন করে উঠলো কেন ? তুই কি মেরেছিস্ ?” বিস্মিত কালসুন্দরী মৰ্ম্মপীড়িত হইয়৷ কহিল, “ মারিব কেন। আমি মারিব কেন—আমার যেমন পোড়া কপাল!” { ক্রমে ক্রমে মুর কাদনিতে চড়িতে লাগিল । —“আমার যেমন পোড়া কপাল—কোন, আবার্গী আমার সৰ্ব্বনাশ করেছে—কে । ওষুধ করির ছে—” বলিতে বলিতে কামসুন্দরী’র্কাদিয়া হাট লাগাইল । সকলেই বলিল, “ স্থা তুই মেরেছিল নহিলে অমন কোরে কাতরাবে কেন ?? এই বলিয়া সকলে, কামকে “ পাপিষ্ঠা” * ডাইনী” । রাক্ষসী” ইত্যাদি কথায় ভৎসনা করিতে লাগিল। কামসুন্দরী
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।