কমলাকাস্তের দপ্তর ।
- च्rच *ग्', 'sङ्ग, २२७ = ।)
স্থর শুনি,–কিন্তু ধৈবর্ত, ঋষভ, গান্ধার প্রভৃতি নাম ব্যবহার করি না এবং হস্তী, বৃষ, পশু, পক্ষীগণ আমার সারিগমে স্থান পার না। আমার সারিগমের প্রথম সুর, ব্যঘ্ৰ গৰ্জ্জনবৎ—তাহার নাম হুঙ্কার – বলবানেই তাহ গাইয়া থাকে। না পোলেয়ন বোনপাট নামে প্রসিদ্ধ গায়ক, এই স্বরে সিদ্ধ ছিম্বেন । কুকুরের ধ্বনির ন্যায় যে স্বর, সেই আমার ঋষভ স্বর ; তাহার নাম তেরি মেরি ঘেউ ঘেউ ; বিবাদ প্রিয় পরদ্বেষী লোকেরাই এই স্বর গাইয়া থাকেন ; এই মুর গালিগালাজ নামক আধুনিক টপ্পার জান। পেচকের ন্যায় মৃদুগম্ভীর যে স্বর, সেই আমার গান্ধার; তাহার নাম শুধু “হ ।” পাণ্ডিত্যাভিমানী বিজ্ঞতাপ্রিয় লোকেবাই এ সুরে গাইয়া থাকেন। বড় লোকের সঙ্গে এই স্বরে গান জমাইতে পারিলে, বিশেষ ঈষ্টসিদ্ধি আছে। বানরের মুমধুর স্বরের ন্যায় যে স্বস্বর, তাহাই আমার মধ্যম, তাহার নাম কিচিমিচি। দুই ঢারি জন বঙ্গীয়লেখক বেস্বরে আছেন ; তদ্ভিন্ন আমরা আর সকলেই এই সুরে অতি সুনিপুণ । তুমি, বিহঙ্গরাজ কোকিল! তুমিও আমার সারিগমে বাদশ নাই; তোমার পঞ্চম ছাড়া যে সারিগম, সে সারিগমই নয় ; অতএব তুমি আমার পঞ্চমেই থাক যতদিন এ সংসারে কামিনী কলকণ্ঠে প্রণয় সম্ভাষণ থাকিবে, ততদিন সে স্বরের উপমা, তোমার কণ্ঠে ভিন্ন আর কিছুতে পাইব না। আমার ধৈবতের
- —
恋やり《。 s নাম “দেহি দেহি”—ভোক্তার পাতের । কাছে, অল্পদুরে যে ধীর স্বভাব বিড়াল | | | | শান্তভাবে বসিয়া থাকে, এই ধৈবত তাহার “মেও মেও” শব্দের ন্যায়। " উনবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালীর অনবরত এই সুর সাধিতেছেন—প্রায় সিদ্ধ হইয়া উঠিলেন। ছাগরবের ন্যায় যে স্বর, সে আমার নিষাদ ; ইহার নাম রোদন। স্ত্রীলোকের ইহাতে বিশেষ অধিকার । গর্দভী দেখিলে গর্দভ সে স্বরে প্রচার করেন, সেই আমার সপ্তম ; এই স্বরের । নাম আদিরস । এখন আয় পাখি! তোতে আমাতে একবার পঞ্চম গাই। তুই ও যে আমিও সে— সমান দুঃখের দুঃখী, সমান মুখের মুখী। তুই এই পুষ্পকাননে, বৃক্ষে বৃক্ষে . আপনার আনন্দে গাইয় বেড়াস্-আমিও । এই সংসারকাননে, গৃহে গৃহে, আপনার । আনন্দে এই দপ্তর লিখিয়া বেড়াই—আয় । ভাই, তোতে আমাতে মিলে মিশে পঞ্চম গাই । তোরও কেহ নাই—আনন্দ আছে, ' আমারর কেহ নাই—আনন্দ আছে; তোর পুঁজিপাট ঐ গল; আমার প্রক্তিপাট, এই আফিঙ্গের ডেলা; তুই এ সংসারে । পঞ্চমস্বর ভাল বসিমৃ—আমিও তাই ; তুই পঞ্চমস্বরে কারে ডাকিস্ ? আমিই বা । কারে? বলদেখি পাখি কারে? যে সুন্দর, তাকেই ডাকি; যে ভাল, , তাকেই ডাকি ; যে আমার ডাক শুনে, তারেই ডাকি । এই যে আশ্চৰ্য্য ব্ৰহ্মাও দেখিয়৷ কিছুই বুঝিতে না পারিয়া বিস্মিত