* যে বাঙ্গালিরা. ভিক্ষণ করেন, কিন্তু তাহা অভাব হেতু নহে কেবল স্বভাব হেতু । তাহারা বলেন যে আমরা নাম ফের করিয়া তিক্ষা করি । ভিক্ষাও করি অথচ ভিক্ষাকে তিক্ষ বলি না। আমাদের পদ ও প্রয়োজন অনুসারে ভিক্ষার নানা প্রকার নাম দিই। যথা, রাজারাজড়ার ভিক্ষার নাম নজর। জমীদারের ভিক্ষার নাম মাগন। কুটুম্বের ভিক্ষার নাম বিদায়। সমতুল্যের ভিক্ষার নাম মৰ্য্যাদা । পূজ্যের ভিক্ষার নাম প্রণামী । স্নেহপাত্রের ভিক্ষার নাম আশীৰ্ব্বাদী । বিবাহ উপলক্ষে বরের ভিক্ষার নাম পণ । বরযাত্রির ভিক্ষার নাম গণ । কন্যাযাত্রির ভিক্ষার নাম ডেলা ভাঙ্গানী । যুবতীর ভিক্ষার নাম শয্যা তোলানী । কেবল পোড়া দরিদ্র ব্যক্তির ভিক্ষার নাম ভিক্ষাই রহিয়াছে। নিন্দকের আরও বলেন যে এখানে সকলই বিপরীত। ধনবান জমীদারগণ দরিদ্র প্রজার নিকট ভিক্ষা করেন । দাম্ভিক কুলীন উপায় হীনা পত্নীর নিকট ਿ। করেন । এই নিন্দকেরা বিবেচনা করেন যে আমাদিগের যৎকিঞ্চিৎ কেহ দান করিলেই অামার সন্মানিত বোধ করি। এই জন্য আীয়ের বাটতে বিদায় লই, বরযাত্রে
- ჯ• ዽ : ... -؛ 薄掩 萍 s , , ;
- - - .# - * r ox.
- একশ্রেণীরনিকের আমাদের ভিন্ধুক গণ লই, সামান্য লোকের বাটাতে আহার বলিয়া উপহাস করেন। তাহারা বলেন | করিয়া কখন মৰ্যাদা বলিয়, কখন বা
দক্ষিণা বলিয়া কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ লই। নিনকেরা আরও বলেন যে আমরা ञांखग्रा भद्र* cरुवन ठिकाँहै कब्रेि । ཨ་ག་ বার छूभिर्छ इईबा भाट्ज३ cयोडूक नई, আবার অন্নপ্রাশনে লই । পুনরায় উপনয়নে ভিক্ষা করি । ८गरे नमब भांडा | মাতুলানী প্রভৃতি সকলের নিকট ভিক্ষা করি। তখন প্রাকৃত গ্রস্তাবে বুলি স্কন্ধে করিয়া ভিক্ষা করি। লক্ষপতি হইলেও হইবে । ভিক্ষা যে,আমাদের জীবনের উদ্দেশু চিরকালের আশা ভরসা তাহা এই ; সময় শিখিতে হইবে। অন্নপ্রাশনে যাহাই ! হউক, উপনয়ন অবধি আমাদের ভিক্ষা আরম্ভ হয়, পরে রাজাই হই আর প্রজাই । হই ভিক্ষ আমাদের অত্যজ্য । তখন । জমীদার হইয়া ভিক্ষা করি, সরকারি কার্য্য করিয়া ভিক্ষা করি, বেদিতে বসিয়া ভিক্ষা করি। টোল বাধিয়া ভিক্ষা করি। দেবতা পুষিয়া ভিক্ষা করি। কন্যার বয়স বাড়াইয়া ভিক্ষা করি। লোকের বিবাহে ভিক্ষা করি। লোকের শ্রাদ্ধেভিক্ষা করি। আবার আপনার শ্রাদ্ধেও তিক্ষণ করি। কিন্তু এই শেষ ভিক্ষাটি—শারফতে শ্ৰাদ্ধাধিকারী। বাঙ্গালির ব্রাহ্মণীও বড় মঙ্গ নন। তিনি গৃহে পদার্পণ মাত্রেই মুখ দেখাইয়া কিছু কিছু ভিক্ষা করিয়া দেন।