পাতা:বঙ্গদর্শন-নবম খন্ড.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৯ } হৃদয়ের গভীরতা অনন্ত, হৃদয়ের ক্ষেত্র অনস্তব্যাপী । এবং সেই জনা হৃদয় হৃদয়ের পাত্রকে অনন্তে উৎসর্গ না করিয়া থাকিতে পারে না । লীয়রের কষ্ট দেখিয়া অtমদের এত কষ্ট কেন হয় ? তাহার দুৰ্ব্বল মনই ত তাহtর যন্ত্রণার প্রধান কারণ । তবে কেন আমরা তাহাকে ‘ঠিক হইয়াছে, “বেশ হইয়াছে’ বলিয়। র্তাহার নিকট হইতে চলিয়া যাইতে পারি না ? পারি না কেন— নf, এতে পাইয়t,—রাজ্য, ধন, জন, রাজসন্মান সব পাইয়া কেবল একটু মানসিক বল পাইলেন না এবং সেই स्नं न ब्रॉङ, थन, सन, झtछ म*मtन, c*itष প্রাণপৰ্য্যন্ত হীরাইলেন ! আবার ওদিকে তাহার কন্যাদ্ধয়ের কথা মনে হইলে ভাবি যে, যে এত ভালবাসিতে পারে এবং এত ভালবাসা খুঁজে.সে সব পাইল, কিন্তু একটু সস্তানভাগ্য পাইল না ! তখন হৃদয় কঁদিয়া বলে, লীয়র যদি অপৃষ্টের হাতের—ব্ৰহ্মাণ্ডের মহাকবির হাতের খেলুনা নন, ত সে খেলনা কে ? লীয়রের কি দোষ ? লীয়র বিশ্বের দুর্ভেদ্য রহস্যের রঙ্গের পদার্থ বই ত নয় ? হৃদয়ের এই ভাব এবং সেই জন্য হৃদয় লীয়রের জন্য এত ব্যাকুল । অতএব হৃদয়ে অদৃষ্টের আসন, অদৃষ্ট। >b為 হৃদয়ে অদৃষ্টের উৎপত্তি, অদৃষ্ট হৃদয়ের পরিপোষক । হৃদয়রূপ ক্ষেত্রে যাহার জন্ম এবং হৃদয়ের যে পুষ্টিসাধন করে সে কি ফেলিয়। দিবার সামগ্ৰী ?—সে কি মনুষ্যজাতির, জগতের, বিশ্বের অনস্ত মঙ্গলের কারণ নয় ? দেখিলাম, অদৃষ্টের জন্ম—জ্ঞানে এবং হৃদয়ে । এক জ্ঞানমূলক বিজ্ঞান কেমন করিয়া তাহাকে উড়াইয়া দিবে ? তাই বলি, অদৃষ্টবাদী ভারত যেন ইউরোপীয় বিজ্ঞানের দাস্তিক কথtয় মজিয়া তাহার অমূল্যনিধি অদৃষ্টকে ছাড়িয়া না দেয় । যাহ মানুষকে না মারিয়া রাখে, তাছাই মানুষের জীবনযাত্রীর সস্বল । দাস্তিক বিজ্ঞান দুঃখিকে মরিতে বলে। কিন্তু দুঃখী মরিলে সুধী ও কি মরেন না ? যতক্ষণ দুঃখীর দুঃখ মোচন কয়িতে প{ও ততক্ষণই ত তোমার বাচিয়া থাকা সার্থক । তাই বলি, ভারত যেন ইউরোপীয় বৈজ্ঞানিকের ঠাট্টরি ভয়ে अछूछेदtप्त छ्t८ङ् नt । श्रछठेदtन झाक्लिष्टा যথার্থই ভারতের দুরদৃষ্ট ঘটিবে । ভারতের শিক্ষা অসম্পূর্ণ হুইবে মনুষ্যত্ব কমিয়া যাইবে । ভারতে মনুষ্য-সমাজ বিশৃঙ্খল হইবে । ভারত দুঃখভারে অতল জলে ডুবিৰে !