পাতা:বঙ্গদর্শন-নবম খন্ড.djvu/২৭৭

১২৮৯ } ডাক্তার সাহেব আসামীকে হাসপাতালে লইয়। যাইবার হুকুম দিতে পারেন। জজ কাটিল সাহেব বিগনেল সাহেবের অমতে কোন হুকুম দিতে সাহস করিতেন না, তথাপি তিনি বলিলেন, যে এ বিষয়ের দরখাস্ত করিলে বিবেচনা করা যাইবে । আর জামিন লইয়। খালাস দেওয়া সম্বন্ধে নিজামতে দরখাস্ত করা হউক। স৷ সাহেব সেইমত দুই আদালতে দুই দরখাস্ত করিলেন । কার্টিস সাহেব চারপাই দিলেন এবং নিজামত আদtলত হইতে হুকুম হইল, যে জামিন লইয়া আসামীকে ছাড়িয়া দেওয়ার আপত্তি নাই । কিন্তু জজ কাটিস সাহেব নিজামতের সে হুকুম তামিল করিতে অসম্মত হইলেন । তিনি বলিলেন, যে এ অঞ্চ. লেয় লোকের জtলরাজার জন্য যেরূপ মাতিয়া উঠিয়াছিল এখন অlর তত নাই । এ সময়ে তাহারা জালরাজাকে পাইলে আবার সেইরূপ মাতিয়া উঠিবে। সুতরাং জলরাজাকে ছাড়িয়া দেওয়া যুক্তিসিদ্ধ নহে। নিজামত আদা, লত কাজেই সেই মতে মত দিলেন । রাজা প্রতাপচাদের মৃত্যু সম্বন্ধে গবর্ণ মেণ্টপক্ষের প্রমাণ দেওয়া হইলে জালরাজ{ তাহ খণ্ডন করিবার কোন বিশেষ চেষ্টা না করিয়া কেবল এইমাত্র দেখাইলেন, যে এই সময় রটনা হইয়tছিল ८घ *ऊां*$ाम भ८ब्रन नाझे, श्रख्ठांङदान ब्रिाप्छन । छालच्नछ। ब्र खेकि८६तत्व বলেন যে, যে স্থলে বড় বড় লোকে (t জtল প্রতীপট{জ । २१२ বলিতেছে আসামী সত্যই প্রতাপচাদ, সে স্থলে মৃত্যুর প্রমাণ অন্যথা করিবার অীর প্রয়োজন কি ? কিন্তু সে কথার বিপরীতে জজ সাহেব বলিলেন, যে যখন প্রতাপচাদের মৃত্যু হওয়া স্পষ্ট প্রমাণ হইয়াছে, তখন তঁtহাকে কেছ সেনাক্ত করিলে আর কি হইবে ? ভালরাজা আপনার মৃত্যু রটনার হেতু এইরূপ বলেন – “বিমাতা মহারাণী কমলকুমারী আমার পরম শত্রু ছিলেন, আমার বয়স যখন ষোল কি সতর, তখন তিনি দুইবার আহারের সঙ্গে , অামায় বিষ দেন । একবার আমি তাহ ফেলিয়া দিই, অর একবার তাহ একট। ইন্দুরকে খাইতে দিই,ইন্দুর তাহ খাইয়। তৎক্ষণাৎ মরে। সেই অবধি অামার অন্ন আমি সতন্ত্র পাক করাইতাম , পরাণ আর বসন্তলাল বাবু আমার সৰ্ব্বনাশ করিবার নিমিত্ত সহস্ৰ কঁiদ পাতিভেন, আমি তাহা হইতে কৌশলে উদ্ধার হইতাম । কিন্তু শেষ উiহারা অামার পিতার মন ভার করিয়া দিলেন । তাহার আর কোন উপায় করিতে পরিলাম না । “আমি সেই অবধি অধঃপাতে গেলাম। অদৃষ্টদোষে গুরূতর পাপগ্ৰস্ত হুইলাম। তখন কৃষ্ণকান্ত ভট্টাচার্য্যের নিকট ব্যবস্থা জিজ্ঞাসা করায়, তিনি বলিলেন, "এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত তুষানল তাহ অসক্তে চতুর্দশ বৎসর অজ্ঞাতবাস। কিন্তু এরূপ ভাৰে অজ্ঞাতবাস করিবে, যেন