পাতা:বঙ্গদর্শন-নবম খন্ড.djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》**為 হইয়া দেখিতেন, চারি দিকে টপ টপ, করিয়া শিশির বিন্দু পড়িতেছে । তখনই তাহার বোধ হইত বন-দেবতারা অামার দুঃখ দেপিয়া কান্দিতেছেন, অমনি তিনি সঙ্কুচিত ও লজ্জিত হইতেন । উত্তরদিক্ হইতে বায়ু বহিতে লাগিলে, তিনি সে বায়ু বক্ষে গ্রহণ করিতেন, ভাবিতেন যে ইহার! অবশ্যই আমার প্রিয়ার অঙ্গ স্পর্শ করিয়৷ আসিয়াছে । এইরূপে অতি কষ্টে কীৰ্ত্তিক, অগ্রছায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাঙ্কন, চৈত্র,বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ, এই আট মাস কাটিয়া গেল । ভাবনায় তাহীর শরীর কৃশ হইয়। গেল ; তাহার ক্ষীণ হস্ত হইতে বলয় খসিয়! পড়িল । এমন সময়ে সৰ্ব্ব প্রথম মেঘ দশনা দিল ; মেঘ দেখিলে প্রিয়সহবাসে ও লোকের মন উৎকণ্ঠিত হয় ; বোধ হয় যেন কিছু হfরাইয়াছি, বোধ হয় যtহ হারাইয়াছি তাহা অার পাইব না । কিন্তু যাহার প্রিয় বিরহী, বল দেখি তাহtদের মন কত ব্যাকুল হয় ; তাহারা ভাবে যাহা গিয়াছে তাহা আর পাইব না, তাহা না পাইলে আমাদের জীবনের প্রয়োজন নাই । যাহার যtহtর জন্য জীবন,যtহাতে पूर ५, ठाँझाँ झाँक्लिग्नां निम्नां ७ नि:मांझ ञ*দার্থ ভারভূত দেহে প্রয়োজন কি ? গরিব যক্ষ মেঘ দেখিয়া ক্ষেপিয়া উঠিল । মেঘ যে জড়পদার্থ, ধূমময় ব্যতীত আর কিছুই লয়, এ কথা তা হtর মনেও রহিল না ; মেঘ উত্তর দিকে যাইতেছে । আহা ! অ{মার প্রিয়া এতদিনে জীবিত আছে মেঘদূত । KabrᏱ কি না, যদি থাকে, মেঘ দেখিলে সে অণর প্রাণ রাখিতে পরিবে না ; যে দুরে অtসিয়াছি,সংবাদ দি বার, সংবাদ লইবার, লোকও নাই, এই মেঘ দিয়া যদি একটা খবর পাঠাইতে পারি, হয়ত প্রিয়। বঁচিলেও বাচিতে পারে । সে এই ভাবিয় কতকগুলি কুর্চির ফুল তুলিয়া মেঘকে অর্ঘ্য দিল, দিয়া বলিল “মেঘ ! তুমি বড় বংশে জন্মিয়tছ, তুমি সস্তপ্তদিগের দুঃখ বিমোচন কর, তামি অতি কাতর, তোমার শরণাগত, আমার দুঃখ দুব কর ; তুমি ইন্দ্রের প্রধান অমাত্য, তোমার অগম্য স্থান নাই, অামার বিরহে প্রিয়ার প্রাণ মলিন কুমুমের ন্যায় অতি কষ্টে বৃন্তে লাগিয়া আছে । কখন খসিয়া পড়িবে জানি না ; তুমি তাহাকে গিয়া আমার এই সংবাদটী দিবে। তাহা হইলে একটী স্ত্রীলোকের জীবন রক্ষা হয় ; অtfম আজি হইতে তোমার ভাই হইলাম ; তুমি ভায়ের কাৰ্য্য কর ; মনে করি ও না যে আমার প্রিয়ার—আহা !—কিছু হইয়াছে, তাহার এখনও অtশ{ অাছে অামি ফিরিয়া যাইব ; কিন্তু বোধ হয় সে স্নানকুসুম অর বুস্তে থাকে না ; তুমি যাও, গিয়া তাহীকে অামার সস্বাদ দিয়! জীবিত কর । এই কথা বলিতে বলিতে, এই কথা ভাবিতে ভাবিতে, যক্ষের চক্ষে মেঘের যা কিছু জড়ত্ব ছিল তাহা দূরীভূত হইল; তিনি মেঘকে শুভক্ষণ সুযাত্রা দেখাইয়া দিলেন ; বলিলেন বলীকাকুল তোমার