পাতা:বঙ্গদর্শন-নবম খন্ড.djvu/৪৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sసెతి মরিয়া যাইব—এত ধন মনুষ্যের ভোগে কথন হয় না । , “ভাল দেখিই না কেন কুবেরের কত ধন আছে ?” এই বলিয়া প্রফুল্ল আবার খুড়িতে লাগিল। আবার ঠং ! —আবার সেইরূপ ঘড়া—আবার উপরে মোহর, নীচে হীরা, পান্না, চুনি। প্রফুল্ল বেশ করিয়া সব পুৰিল । মনে ভাবিল, “আরও যদি থাকে, তা আমি চাই না । অামি যা পাইয়াছি, রাখতে পারিলে দিনাজপুরের রাণীর সঙ্গে টক্কর দিতে পারিব।” প্রফুল্ল সিড়ি দিয়া উঠিয়া গেল । বড় পরিশ্রম হইয়াছিল। প্রফুল্ল গোছালে গিয়া আবার গরু দুইয়া ফুধ খাইল । তার পরে খড়ের শয্য রচনা করিয়া শুইল । এক সেই জঙ্গলের ভিতর ভগ্ন অট্টালিকায় শয়ন করিতে বড় ভয় করিতে লাগিল । প্রফুল্লের বড় সাহস—তাহার পরিচয় আমরা যথেষ্ট দিয়াছি ; তথাপি ভয় করিতে লাগিল । বিশেষ সেই ঘরে সেই দিন মানুষ মরি'য়াছে—প্রফুল্ল আলো নহিলে শুইতে পারিল না, তেল খুজিতে লাগিল। তেল পাইল না—কিন্তু খুজিতে খুজিতে দুইট মোম বাতি পাইল । তাই জালিয়া, খড়ের বিছানা করিয়া প্রফুল্ল শয়ন করিল। শয়ন করিয়া প্রফুল্পের ঘুম হইল না । আরও ঘড়ী অাছে কি ? না আর ধন পৃথিবীতে থাকিতে পারে না। থাকিলই বা? আর লইয়া কি হইবে ? दशमर्शम । ( कjङ्कन তবু দেখিলে ক্ষতি কি ? না—দেখিব না । না দেখিলেও ঘুম হয় না। ঘুম হইল না—কাজে কাজেই প্রফুল্ল আবার বাক্তি জালিয়া স্বরঙ্গে নামিল। আবার সাৰল লইয়া মাটি খুড়িতে লাগিল—আবার ঠং করিয়া সাবল ঘড়ায় বাজিল । আবারএক ঘড়। ধন বাহির হইল । এইরূপে প্রফুল্ল বার ঘড়া ধন পাইল । রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর অতীত হইলে পৰ প্রফুল্ল হাত পা ধুইয়। আবার আসিরা শয়ন করিল । এবার বোধ হয় পরিশ্রমের ফলে একটু নিদ্র। আসিল । কিন্তু অকস্মাৎ ভয়ানক কোলাহলে প্রফুল্লের নিদ্রাভঙ্গ হইল । যেন একশত লোক , মার মার । কাট কাট ! শব্দ করিতেছে । প্রফুল্ল থর থর কঁাপিতে কঁাপিতে তৃণশয্যা হইতে উঠিল । বেশ করিয়া মনেভিনিবেশ পূৰ্ব্বক শব্দ শুনিতে লাগিল । শব্দ তাহার দ্বারে । মার মার ! কাট কাট শব্দ নহে, তবু অনেক লোকের কোলাহল ধ্বনি বটে । সৰ্ব্বনাশ এজঙ্গলে এত লোকের শত্ব-এ নিশ্চিত ভূত । নিতান্ত তা না হয় তত্ত্বে ডাকাত । য়ে রে হৈ হৈ শব্দ মধ্যে প্রফুল্প, একটা শব্দ বেশ বুঝিতে পারিল । প্রফুল্ল ঘরের স্বার বন্ধ কল্পিয়া গুইয়াছিল, সেই স্বারে যেন সহস্ৰ লোকে ঠেঙ্গাইতেছে । স্বার ভাঙ্গিয় বার-ক্ষমার থাক্ষে নৰ । প্রফুল্ল তখন মনে মনে সকল দেবতাক্ষে ভাকিল ৷ একবার ভাবিল যে ভক্ত তুলিয়া স্বরঙ্গে নামিয়া গিয়া লুকান্ধিত