পাতা:বঙ্গদর্শন-নবম খন্ড.djvu/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పి శt సి) জগতের সমস্ত সৌন্দর্য্য বর্ণনা করিম রমণী-সৌন্দৰ্য্য দ্বার। তাহার উপসংহার করিলেন । দেখাইলেন রমণী-সৌন্দৰ্য্য স্বভাব সৌন্দর্য্য হইতে উচ্চতর ; উহাই সৌন্দর্ঘ্যের পরাকাষ্ঠী। যে অনুপম রূপবতীর রূপ পূর্বে বর্ণনা করিয়াছি, কবি দেখাইলেন সেই রমণীকুল ললামভূত। যক্ষপত্নী করতলে কপোল বিন্যাস করিয়। অনবরত ক্ৰন্দন করিতেছে, অনবরত অশ্র প্রবাহে ত{হার নয়ন স্ফীত হইয়াছে। সেই মুখের উপরে তৈলখুন্য রুক্ষ অলকাবলী বিকীর্ণ হুইয়া রহিয়াছে। বোধ হইতেছে যেন, কৃষ্ণবর্ণ গ্ৰীণ মেধাস্তরালে চন্দ্রমণ্ডল ঈষৎ দৃষ্টিগোচর হইতেছে । কবি তাছাতেও তৃপ্ত হইলেন না। তিনি সেই পরমরূপৰতী পরম গুণবতী পতিপ্রাণ রমণীর ੋਡ মধ্যে প্রবেশ করিলেন, ভূতভোতিক পরিহার করিয়া চিন্তুচৈন্তিক জগতে অবগাহন করিলেন । পরমটুপবিত্র প্রণয়ীর বিরহে পত্তিপ্রাণ প্রণরিণীর হৃদয়ের ভাবগুলি বাছিয়া বাছিয়। টুলইয়া আমাদিগকে উপহার দিলেন । ifতনি দেখাইলেন, যক্ষ-পত্নী কখন স্বামীর মঙ্গল কামনায় দেবতাদের পূজা করিতেছেন, শারিগর নিকট আসিয়া হিলাস করিতেছেন, “সখি তুমি ত তাহার অতি পর প্রিয় ছিলে, তাহার কথা কি তোৰাৱ মনে হয় ?” কখন বা তাহার প্রাণ নাগ-বিরহে কিরূপ কৃশ হইয়াছেন, মনে । মনে তাহাই ধ্যান করিয়া চিত্রপটে তাছাই so মেঘদূত । চিত্রিত করিতেছেন । কখন বা স্বামীর নাম দিয়া বিরহ-গান রচনা করতঃ বীণাযোগে তাহা গান করিতে যাইতেছেন । প্রতি লারই নয়নজলে বীণা-তন্ত্রী ভিজিয়। যাইতেছে । আর তিনি গানের তাললয় ভুলিয়া যাইতেছেন । কখন বা দ্বারদেশে রক্ষিত পুষ্পগুলি গণির দেখিতেছেন বিরহের তার কত দিন বাকী আছে । এই কোমল তার প্রতিকৃতি সমস্ত দিল বরং নানাবিধ মঙ্গল কার্য্যে ব্যাপৃত থাকেন, কিন্তু রাত্রে একাকিনী সেই সুখভবনে, সেই সুখশয়নে তঁহীর আর যন্ত্রণার পরিসীমা থাকে না, ক্রমাগত পূৰ্ব্ব কথ। মনে পড়ে, ক্রমেই হৃদয়ের সন্তাপ বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে। যেমন যক্ষ-পত্নী কোমলী, তাহীর প্রণরী যক্ষও তেমন কোমলহৃদয় । তিনি মেঘকে বলিয়া দিতেছেম, “डाई cद्र ! पनि cन उथन घूमाईक्षा থাকে, তাহকে জাগাস্ না, যদি কোমরূপে একটু নিদ্রা গিয়া থাকে, নিশ্চয়ই সে স্বপ্নে হামাকে পাইবে । তাঁহাকে জাগাইর বিরহের উপর আবার বিরহ দিস না ।” - যে দৌত্যের জন্য এত আড়ম্বর, যে দৌত্যের জন্ত জগতের সমস্ত সৌন্দর্য্যের । সংগ্রহ, যে দৌত্যের জন্ত নৰ্ম্মদার দক্ষিণ হইতে মেঘকে অলকায় প্রেরণ, সে দৌত্যের প্রধান কথা এই "তুমি কেমন चत्रांछ् ?’ ੰ . “তুমি কেমন আছ !" এ কথা মা महा যখন তখন यात তার সহিত সাক্ষাৎ -