পাতা:বঙ্গদর্শন-নবম খন্ড.djvu/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৯ ) পাদকটক। হিন্দুস্থানে ইহা "পৈজনৃ” ও বঙ্গদেশে “পাইজোর” নামে বিখ্যাত । পাদপদ্ম— “ত্রিপঞ্চশৃঙ্খলাযুক্তে) নানারজুখস্তৈঃ কৃতে । কীলক ইব সন্ধিতে পাদপদ্মাবিতরিতে ॥” ৩৫টা শৃঙ্খলযুক্ত (অঙ্গুলিতে বাধিবার জষ্ঠ) বহুবিধ বহুরত্বের দ্বারা গঠিত, কালকের ন্যায় সন্ধিত-এরূপ পদভূষণের নাম পাদপদ্ম । ইহা এক্ষণে "চরণঢাপ” ও "চরণপদ্মষ্ট নামে বিখ্যাত । কিঙ্কিণী “কিঙ্কিণাঃ স্বর্ণরচিত| গুণাগুল্ফিতবিগ্ৰহ । নাদবত্যঃ স্বরম্যাস্তাঃ পাদঘর্ঘfরকাভিধা: ॥" স্বর্ণের ক্ষুদ্র ঘন্টিক সকল স্থত্রের দ্বারা গ্রথিত, এরূপ শব্দায়মান পদলিস্কারের নাম কিঙ্কিণী ও পাদঘর্ষরিকা অর্থাৎ পায়ের “ধারা” ও “মুংযুর” নামে খ্যাত । পাদকণ্টক— “তাদৃগুপসমীকার নানারতুৈধিনিৰ্ম্মিতাঃ। ब्रष्ट्रोक्राष्ट्रश्न । ধ্বলিহীনাঃ সুশোভাঢ্যtঃ কণ্টকাঃ পরিকীৰ্ত্তিতাঃ ॥” ঠিক সেইরূপ আকারের রত্বনিৰ্ম্মিত ঘুংযুর যদি ধ্বনিবর্জিত হয়, তাহা হইলে তাহাকে পাদকণ্টক বলা যায়। মুদ্রিকা—

    • অীয়তাশ্চ স্বরস্তুণশচ

কণ্টক রত্ননিৰ্ম্মিতাঃ । স্থূলশ্চি ধ্বনিসংযুক্তাঃ কথিত মুদ্রিক বরাঃ ॥” : আয়ত ও সুরক্ত রত্ননিৰ্ম্মিত কণ্টক যদি মোটা ও শব্দকারী হয়, তবে তাহাকে মুদ্রিক নাম দেওয়া যায়। এক্ষণকার “কড়াইদার মল’ আর এই মুদ্রিক প্রায় তুল্য কাৰ্য্যকারী।* - এই সকল অলঙ্কারের মধ্যে প্রায় সমস্তই"স্ত্রীলোকের ব্যবহার্য্য বটে ; কিন্তু হিন্দুস্থানী পুরুষদিগকেও এই সকলের কোন কোমঠীকে কিঞ্চিৎ বিকৃত করিয়া ধারণ করিতে দেখা যায় । পুরুষের জন্ত শেখর, মুকুল, শিরবেষ্টন, (শির পেচ ) এবং কিরাট ও মুকুট—এই কএক প্রকার শিরোভূষণ নির্দিষ্ট আছে মাত্র। স্ত্রীরামদাস সেন । পদে হুবর্ণ কি অন্য কোন রত্ন ধারণ করিতে নাই, এ সংস্কার কেবল দক্ষিণাত্যবাসীfদশ্নের নাই । অদ্যপি মাস্তবারির নির্ভয়ে স্বর্ণনিৰ্ম্মিত পাদভূষণ ধারণ করিয়া থাকে এবং তাঁহাতে হীৰুকাদি বিলপ্ত্য করিতে সংকুচিত হয় না। এই মনোমোল্লাস রচয়িত সোমরাজ একজন দাক্ষিণাত্যবাদী রাজা । সেই জনাই তিনি স্বারভুরি পদাভরণ রচনা করিতে বলিয়াছেন। -