পাতা:বঙ্গদর্শন-নবম খন্ড.djvu/৫৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৯ ) ঘরে চুল কাটিতেছিল-মাটি খুঁড়িতে খুড়িতে একট। সেকেলে—তখনকার পক্ষেও সেকেলে, মোহর পাওয়া গেল । কৃষ্ণগোবিন্দ সেখানে আরও খুঁড়িল। এক ভাড় টাকা পাইল । এই টাকাগুলি না পাইলে কৃষ্ণগোবিন্দের দিন চলা ভার হইষ্ঠ । এক্ষণে সচ্ছদে দিনপাত হইতে লাগিল। কিন্তু কৃষ্ণগোবিন্ধের এক নুতন জালা হইল। টাকা পাইয় তাহার স্মরণ হইল যে, এই রকম পুরাতন বাড়ীতে অনেকে অনেক ধন মাটির ভিতর পাইয়াছে। কৃষ্ণগোৰিন্দের দৃঢ় বিশ্বাস হইল, এখানে আরও টাকা আছে । সেই অবধি কৃষ্ণগোবিন্দ অমুদিন প্রোথিত ধনের সন্ধান করিতে লাগিল । খুঁজিতে খুজিতে অনেক সুরঙ্গ, মাটির নীচে অনেক চোরকুঠারি বাহির হইল । কৃষ্ণগোবিন্দ বtতিক গ্রস্তের ন্যায় সেই সকল স্থানে অসুসন্ধান করিতে লাগিল, কিন্তু কিছু পাইল না । এক বৎসর এইরূপ ঘূরিয়া ঘূরিয়া কৃষ্ণগোবিন্দ কিছু শাস্ত হইল। কিন্তু তথাপি মধ্যে মধ্যে নীচের চোরকুঠারিতে গিয়া সন্ধান করত । একদিন দেখিল এক অন্ধকার ঘরে, এক কোণে একটা কি চকচক করিতেছে । দৌড়িয়া গিয়৷ তাহা তুলিল—দেখিল মোহর ! ই দুরে মাটি তুলিয়াছিল, সেই মাটির সঙ্গে উহা । উঠিয়াছিল । কৃষ্ণগোবিন্ম তখন কিছু করিল না, দেবী চৌধুরাণী । & 8 Y এবার হাটবারে বৈষ্ণবীকে বলিল যে, আমার বড় অমুখ করিয়াছে, তুমি হাট করিতে যাও । বৈষ্ণবী সকালে হাট করিতে গেল। বাবাজি বুঝিলেন, বৈষ্ণবী এক দিন ছুটি পাইয়াছে, শীঘ্র ফিরিবে না । কৃষ্ণগোবিন্দ সেই অবকাশে সেই কোণ খুড়িত লাগিল । সেখানে বার ঘড়। ধন বাহির হইল । পূৰ্ব্বকালে উত্তরবাঙ্গালায়, নীলধ্বজবংশীয় প্রবল পরাক্রান্ত রাজগণ রাজ্য করিতেন । সে বংশের শেষ রাজা নীলাম্বর দেব । নীলাম্বরের অনেক রাজধানী ছিল—অনেক নগরে অনেক রাজভবন ছিল । এই একটি রাজভবন । এখানে বৎসরে দুই এক সপ্তাহ বাস করিতেন। গৌড়ের বাদশাহ একদা উত্তর বাঙ্গালী জয় করিরার ইচ্ছায় নীলাস্বরের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করিলেন । নীলাম্বর বিবেচনা করিলেন যে, কি জানি যদি পাঠানের রাজধানী আক্রমণ করিয়া অধিকার করে, তবে পূৰ্ব্বপুরুষদিগের সঞ্চিত ধনরাশি তাহদের হস্তগত হইবে । আগে সাবধান হওয়া ভাল । এই বিবেচনা করিয়া যুদ্ধের পূৰ্ব্বে নীলাম্বর অতি সঙ্গোপনে রাজভাণ্ডার হইতে ধন সকল এই খানে আনিলেন । স্বহস্তে তাহ মাটিতে পুতিয়া রাখিলেন । আর কেহ জানিল না যে কোথায় খন রহিল। যুদ্ধে নীলাম্বর বন্দী হইলেন। পাঠানসেনাপতি তাহাকে গৌড়ে চালান হাটবায়ের অপেক্ষা করিতে লাগিল । করি । তার পর মীর তীহাকে মনুষ্য