পাতা:বঙ্গদর্শন-নবম খন্ড.djvu/৫৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t8 २ ुन्नार्थन । (RSចុ লোকে কেহ দেথে न' ँ তাহার অতএব এক দিন তাহারা জন কং ক শেষ কি হইল কেহ জানে না। তিনি জুটিয়া সেখানে ডাকাইতি করিতে আর কখন দেশে ফেরেন নাই। সেই অবধি তাহার ধনরাশি সেই খানে পোতা রহিল। সেই ধনরাশি কৃষ্ণগোবিন্দ পাইল, তার পর প্রফুল্ল পাইল । কার ধন কে খায় ! কৃষ্ণগোবিনা ঘড়াগুলি সাবধানে পুতিয়া রাখিল । বৈষ্ণবীকে একদিনের তরে এ ধনের কথা কিছু জানিতে দিল না । কৃষ্ণগোবিন্দ অতিশয় কৃপণ, ইহা হইতে একটি মোহর লইয়াও কখনও খরচ করিল না। ; এ ধন গায়ের রক্তের মত বোধ করিত । সেই ভীড়ের টাকাতেই কায়ক্লেশে দিন চালাইতে লাগিল । - তার পর, বড় ডাকাইতের ভয় হইল। বাবাজী হাট হইতে নিত্য ডাকাতের গল্প শুনিয়া আসিত ; আরও দেখিত যে, এই বনে ডাকাতের মত লোক সৰ্ব্বক্ষণ যায় ; বোধ হয় এ বনে ডাকতদের একটা আডিডা থাকিবে। সে কথা বাস্তবিক সত্য। ডাকাতেরাও দেখিত যে, বৈরাগী সপ্তাহে সপ্তাহে বন হইতে হাটে যার, হাট করিয়া বনে প্রবেশ করে । ডাকাতের সন্ধান লইতে লাগিল । ভাঙ্গা বাড়ী দেখিয়া গেল। জানিল যে, এই খানে বৈষ্ণব বৈষ্ণবী বাস করে, কিছু কাজ কৰ্ম্ম করে না, অথচ সচ্ছন্দে দিনপাত করে। বুঝিল ইহাদের কিছু অাছে। - আসিল। ভীড়ের টাকা গুলি লুটিয়া লইল । তার পর “আর কি আছে দে," বলিয়া কৃষ্ণগোবিনাকে বাধিয়া মশাল দিয়া পোড়াইতে লাগিল। কৃষ্ণ cशादिना किङ्कहे निन न दद्र२ अन्ननब्र বিনয় করিয়া বলিল, “আমার আর কিছুই নাই। মারিয়া ফেল,—ফেল, কিন্তু আর কিছু পাইবে না ! বরং অামায় ছাড়িয়া দিলে কিছু পাইবে । আমার টাকা আছে সত্য, কিন্তু টাকা, এখানে নাই । আমি মুর্শিদাবাদে চাকরি করিতাম, শেঠের বাড়ী অামার টাকা গচ্ছিত আছে । বছর বছর মেখানে গিয়া আমি সুদ নিয়া আসি । আমি স্বীকার করিতেছি যে, যখন আমি স্বদ আনিব, তোমরা আসিলে তোমাদের কিছু দিব । সব দিব না। সব যদি নাও, তবে অামি এ দেশ থেকে পালাইব; আর পাইবে না । আর যা ইচ্ছাক্রমে দিব, তাহা যদি লইয়া সস্তুষ্ট হও, তবে বছর বছর অসিও, বছর বছর দিব ।” ডাকাঁতেরা দেখিল এ বনাবস্ত মনা নয়। আপাততঃ আর কিছু ত পাওয়া যার না—তাহারা স্বীকৃত হইয়া বুড়াকে ছাড়িয়া দিল । ৰুড় একটা দিন অবধারিত করিয়া দিল । ডাকাইভের চলিয়া গেল । বুড়া, দুই চারি দিন কায়ক্লেশে