পাতা:বঙ্গদর্শন-নবম খন্ড.djvu/৫৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৯ ) কাটাইয়। শেয়ে ঘড়া হইতে কিছু মোহর বাহির করিয়া একটা ভাঙ্গা হঁড়িতে পূরিয়া তাহাতে কাদ। মাখাইয়। বৈষ্ণবীকে দেখাইল, বলিল, “কৃষ্ণ দয়া করিয়াছেন, তারার কিছু পাইয়াছি।’ তাহ খরচ করিয়া দিন চালাইতে লাগিল । ডাকাতেরা অবধারিত তারিখে আসিলে তাহীদের কিছু দিল । - এরূপে দুই চারি বৎসর গেল। ডাকাতেরা তাহাকে বিশ্বাস করিতে লাগিল । সেও ডাকাত দিগকে বিশ্বাস করিক্তে লাগিল । এমন কি কোন ডাকাতের ঘরে থাবার না থাকিলে, সে আসিয়া কৃষ্ণগোলিন্দের কাছে টাকাটা সিকেট ধার লইয়া যাইত । ডাকাতের সাধ্য দেবী চৌধুরাণী । Q89 হইলেই ঋণ পরিশোধ করিত-কেন না। নহিলে আবার চাহিলে পাইবে না । এইরূপ করিতে করিতে কৃষ্ণগোবিন্দ তাহাদের দলের মহাজন দাড়াইয়। গেল । শেষে সে দল মধ্যে একজন গণ্য হইল । তাহাকে কোন ডাকাইতিতে যাইতে হইত না ; সে কেবল অসময়ে টাকা যোগাইত। তাহার আসল ফেরৎ পাইত, কিন্তু স্থদ পাইত না । কিন্তু তৎ পরিবর্তে সকল ডাকাইতির লাভের এক ংশ পাইক । তাহাতেই তাহার দিনপাত হইতে লাগিল ; রাজা নীলাম্বরের ধন আর ছুইতে হইল না। সেই ডাকাতের দল—আজ প্রফুল্লের সম্মুখে উপস্থিত । একাদশ পরিচ্ছেদ । ডাকাইতের প্রফুল্লকে দেখিয়া বলিল “অ’ মোলো! এটা কে ? তুই এখামে কেন ? বুড়ো কোথায় ?” প্রফুল্প সকল সাহস জমা করিয়t বলিল, “তিনি মরিয়াছেন।”

  • আঁঃ এমন বুড়ো মরেছে,কে মারলে ? আমরা থাকৃতে বুড়ো মরে ?

প্র । তিনি জরবিকারে মরেছেন । ডা । কবে জর হলো ? মিছে কথা ! তুই তাকে ধরিয়া দিয়েছিল। প্র । উঠনে তাকে গোর দিয়াছি— গিয়া একজন না হয় দেখিয় আইস । দুই চারি জন ডাকাত দেখিতে ছুটিল । অপরের প্রফুল্লকে ধমক চমক করিতে লাগিল । ডাকাইতের বলিতে লাগিল “তার বৈষ্ণবী কোথায় ? তুই কে ?” প্র। বৈষ্ণবী, তার যা কিছু ছিল, তাহা লইয়। পলাইয়াছে । ডী । অ মোলো! এত বড় স্পৰ্দ্ধা !