পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ই ৬ বিদ্য লোকের মুখেও এরূপ আপত্তি শুনিয়াছি বলিয়াই এ কথার প্রসঙ্গ করা যাইতেছে । র্তাহার বলেন যে, য:হার প্রণয় এত গভীর, যাহার সহিষ্ণুতা এমন অপার, তিনি যদি না মরিয়া আবার অভিনব বিবাহ সূত্রে বদ্ধ হয়েন, তাহা হইলে জগতের আরও মঙ্গল । ইহার উত্তরে আমরা বলি, যে আরও মঙ্গল হউক বা না হউক, তাহ দেখিবায় আবশ্যক হইতেছে না, কেননা তিনি বাচিয়া থাকিলেই বা আর বিবাহ করিভে পাইতেন কই ? বিধবার বিবাহ শাস্ত্রবিরুদ্ধ। কেবল শাস্ত্রবিরুদ্ধহষ্টলেও ক্ষতি ছিল না,—অশাস্ত্র অনেক প্রথা সমাজ মধ্যে প্রচলিত আছে,–কিন্তু ইহা দেশাচারবিরুদ্ধ ; এবং আমরা হিন্দুসমাজের কথা বলিতেছি । দ্বিতীয়তঃ, যদি কোন অবলা, আমাদের এই এঙ্গে বর্ণেকুলের সমাজের মতানুসাবে, প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর পত্যস্তর পরিগ্রহ কfরতে ইচ্ছা কবেন, তাহাতে কাহার ও আপত্তি নাই। যে স্থলে পুরুষের দুই বার বিবাহ হইতে পারে, সে স্থলে স্ত্রীলোকের ও হওয়৷ উচিত । আপনার সে নিয়মের বাধ্য হইতে পারি না, সে নিয়মে অন্যকে বাধ্য করা অন্যায় । জানি, বুঝি, মানি ; কিন্তু যখন আদে বিবাহুই হইতে পারে না, তখন অনর্থক ধরিয়া রাখিলার ফল বঙ্গদর্শন। (আষাঢ় । কি ? দুঃখভোগের জন্ত তাহীকে ধরিয়া রাখিবার তুমি কে ? তবে যে সহমরণ প্রথার জন্য হিন্দুসমাজের এত দুনাম, শাস্ত্রকারদিগের এত অখ্যাতি, ইহার অর্থ সম্পূর্ণরূপে বুঝিয়া উঠ যায় না স্বীকার করি, ভারতে স্ত্রীলোকের উপর পুরুষের অনেক অত্যাচার ছিল এবং আছে— কোথার নাই ?—কিন্তু সতীদাহ তাহার অন্তর্গত নহে। দুগ্ধপোব্য বালকের সঙ্গে দুগ্ধপোষা বালিকার পরিণয়,অবশ্য অত্যাচার। কুলীন কস্তার চিরকেীমাৰ্য্য, অবশ্য অত্যাচার। মৃতভৰ্বকার চিরবৈধব্য অবশ্য অত্যাচার। কিন্তু সহমরণ অত্যাচার নহে। মৃত্যুতেই যার যাতনার অবসান, মৃত্যুতেই যার শাস্তি, মৃত্যু তাক্তার পক্ষে অমঙ্গল নহে। যে স্থলে বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ, সে স্থলে সহগমনের স্বাধীনতা থাকা উচিত। শাস্ত্র এমন নতে যে বিধবামাত্রকেই বলপূৰ্ব্বক পোড়াইতে হইবে । শাস্ত্র এমহ নহে যে বিধবামাত্রকেই স্বামীর মুক্ত দেহের সঙ্গে চিতারোহণ করিতে হইবে । যার ইচ্ছা হয়, সে মরুক ;– ইহাতে অত্যাচার কি ? • তবে শাস্ত্রকারদিগের কলঙ্ক এই ষে, বিধিটা একতরফা করিয়াছিলেন । পরাশর যেমন লিখিয়াছিলেন, যে সহমুতী বিধবা সাড়ে তিন কোট বৎসর স্বৰ্গভোগ -一 - 一一·‘一一一·一一一一 * নষ্টে মৃতে প্ৰব্ৰজিতে ক্লাবে চ পতিত পতে ইত্যাদি—পরাশর সংহিতার এ বচন বাগদত্ত কস্তার পক্ষে, মৃতভক্তৃকার পক্ষে নহে।