>S)& বঙ্গদর্শন । আষাঢ় ) কৃষ্ণকাস্তের উইল । সপ্তদশ পরিচ্ছেদ । রোহিণীর নিশ্বাস প্রশ্বাস বহিতে লাগিলে, গোবিন্দলাল তাহাকে ঔষধ পান করাইলেন । ঔষষ বলকারক— ক্রমে রোহিণীর বলসঞ্চার হইতে লাগিল। রোহিণী চাহিয়া দেখিল—সজ্জিত রম্য গৃহমধ্যে মন্দ২ শীতল পবন বাতায়নপথে পরিভ্রমণ করিতেছে—একদিকে স্ফটিকাধারে স্নিগ্ধ প্রদীপ জলিতেছে— আর একদিকে হৃদয়াধারের জীবনপ্রদীপ জলিতেছে। এ দিকে রোহিণী, গোবিনলাল হস্তপ্রদত্ত মৃতসঙ্গীবনী স্বরা পান করিয়া, মৃতসঞ্জীবিত হইতে লাগিল— আর একদিকে তাছার মুতসঞ্জীবনী কথা শ্রবণপথে পান করিয়া মৃতসঞ্জীবিত হইতে লাগিল। প্রথমে নিশ্বাস, পরে চৈতন্য,পরে দৃষ্টি, পরে স্মৃতি, শেষে বাক্য দুরিত হইতে লাগিল। রোহিণী বলিল, “ আমি মরিয়াছিলাম, আমাকে কে रँीफ़ाईल ?” áð গোবিন্দলাল বললেন, “যেই বাচাক, তুমি যে রক্ষা পাইয়াছ এই যথেষ্ট।” রোহিণী বলিল, “আমাকে কেন বঁাচাইলেন ? আপনার সঙ্গে আমার এমন কি শক্ৰতা যে মরণেও আপনি প্রতিবাদী ?” গো । তুমি মরিবে কেন ? রো। মরিবারও কি আমার অধিকার নাই ? গো ! পাপে কাহারও অধিকার নাই । আত্মহত্যা পাপ । রো। আমি পাপ পুণ্য জানি না— আমাকে কেহ শিখায় নাই। আমি পাপ পুণ্য মানি না—কোন পাপে আমার এই দণ্ড ? পাপ না করিয়াও যদি এই দুঃখ, তবে পাপ করিলেই বা ইহায় বেশী কি হইবে ? আমি মরিব । এবার না হয়, তোমার চক্ষে পড়িয়াছিলাম বলিয়৷ তুমি রক্ষা করিয়াছ। ফিরেবার, বtহাতে তোমার চক্ষে না পড়ি সে যত্ন করিব । গোবিন্দলাল বড় কাতর হইলেন ; বলিলেন, “তুমি কেন মরিবে ?” “চিরকাল ধরিয়া, দণ্ডে দণ্ডে, পলে পলে, রাত্রিদিন মরায় অপেক্ষ, এক বীয়ে মরা ভাল ।” গো । কিসের এত যন্ত্রণ ? cब्रा । ब्राजेिनिन नाक्र१ छूषा, झनब्र পুড়িতেছে—সম্মুখেই *ौङल छल, किड़ ইহজন্মে সে জল স্পর্শ করিতে পারিব না । আশাও নাই। ' গোবিন্দলাল তখন বলিলেন,ষে “আর এ সব কথায় কাজ নাই—চল তোমাকে शृंप्इ ब्रांशिग्न स्रॉनि ।” রোহিণী বলিল, “ মা আমি একই शाझेद् १” 酸 গোবিন্দলাল বুঝিলেন, আপত্তিটা কি।
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।