১২৮৯ ) আমার মালা গাথ । الم আমার মালা গাথা । এক ছড়া মালা গাঁথিতে বড়ই সাধ হলো। স্বৰ্যমুখী এতক্ষণ মুখ তুলিয়া আকাশপানে চাহিয়াছিল, সন্ধ্যা হইল দেখিয়া আস্তে আস্তে মস্তক অবমত করিল; আমিও মালা গাথিবীর জন্য একগাছি স্থতা লইয়া বাগানের দিকে চলিলাম। মুক্ত দ্বার দিয়া কাননে প্রবেশ করিলাম। এই কানন ভ্রমণে কাহারও নিষেধ নাই ; সাধারণ সকলের জন্যই বাগানটি প্রস্তুত হইয়াছে। সন্ধ্যার মন্দ সমীরণে উদ্যানস্থ পুষ্পের গন্ধ চতুর্দিকে ৰিক্ষিপ্ত হইতে লাগিল, গাছের পাতাগুলি অল্পে অল্পে চুলিতে লাগিল আর কেমন একপ্রকার চিত্তসস্তোষজনক শব্দ হইতে লাগিল । বঙ্কুির্জগতের সহিত আমাদের অন্তরাত্মার কোন সম্বন্ধ আছে কি না জানি না,কিন্তু এই পৰ্য্যস্ত বলিতে পারি যে সমীরণভরে দোদুল্যমান বৃক্ষপত্রের সঙ্গে যুঙ্গে আমার মনও ছলিতে লাগিল; ঝিল্লিগণের বি কি রব বড় মধুর বোধ হইল আর সেই সঙ্গে আমার হৃদয় যন্ত্র বাজিয়া “উঠিল। আমি যেন কি অন্বেষণ করিতে লাগিলাম, যেন কোন यदा शंब्रांशेब्राहि किछ कि cय cन जवा তfহা স্বরণ করিতে পারিলাম না। অনেক প্রকার অসম্ভব চিস্তার উদয় হইল। ভাবিলাম কিংশুকে যদি গন্ধ থাকিত, স্বপক্ষ ফল বদি না পচিত, বিছাতের श्रांप्लांक शशि बग्ननन्निश्रृंरुद्र झईऊ व्ञांद्र আমার যদি এই সকল পুষ্পের ন্যায় ভুবনমোহিনী শক্তি থাকিত তাহা হইলে বেশ হইত। এইরূপ ভাবিতেছি এমন সময় দেখি কতকগুলি ফুল শুকাইয়া ভূপতিত হইল। পতনকালীন সরসর শব্দে যেন বলিতে লাগিল—“ memento. horœ movissimoe.' gè è^itw*«f*J আমার অন্তরে লাগিল, আমি আমার শেষের দিন স্মরণ করিলাম ; তখন বুঝলাম যে আমার এই ক্ষণভঙ্গুর দেহ আজি হউক কালি হউক দুদিন পরে হউক, ঐ বৃত্তচু্যত পুষ্পের ন্যায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হইবে। না না-পুষ্পের সহিত আমার তুলনা কোথায় ? পতনকালে ফুলটি যেন হাসিতেছিল, যতক্ষণ বৃক্ষে ছিল ততক্ষণ বৃক্ষের শোভাবৰ্দ্ধন করিয়াছে, সৎগন্ধ দানে কত লোকের চিত্তসস্তোয করিয়াছে, আপনার কর্তব্য কৰ্ম্ম সাধন করিয়া ধবংস হইল, এ ধ্বংসে দুঃখ নাই । কিন্তু আমি —আমি সৎগন্ধ বিতরণে কয়জনের চিত্ত সন্তোয করিয়াছি, কাহার শোভা বৃদ্ধি করিয়াছি ? কাহারও নয়। তবে এ পৃথিবীতে আসিয়া কি করিলাম? যখন আমার ५हे यौवन বুৎ কালস্রোতে মিশাইবে তখন কি হাসিতে পাইব না ? যাই হউক আর ভাবিব না, মিছা ভাবনায় সব ভুলিয়া গিয়াছি । হাতের স্থত।
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।